04/07/2024
স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য 🙏
আমাকে_যেতে_হবেই
🌹🌼🌸🌼🌸🌼🙏❤️🙏🌼🌸🌼🌸🌼🌹
''আমি চল্লিশ পেরােবাে না। যে-বাণী দেওয়ার ছিল, তা আমি দিয়ে দিয়েছি। আমাকে যেতে হবেই! বড় গাছের ছায়ায় ছােট ছােট গাছগুলাে বাড়তে পারে না। তাদের জায়গা করে দেবার জন্যই আমাকে যেতে হবে।''
১৮৯৭ সালের ১১ আগস্ট স্বামী অচ্যুতানন্দকে বলেছিলেন— আর পাঁচ ছয় বৎসর মাত্র জীবিত থাকবো।
১৯০১ খ্রীস্টাব্দে ঢাকায় বলেছিলেন— আমি বড়জোর একবছর আছি।
শ্রীরামকৃষ্ণের ভবিষ্যদ্বাণী —'ও (নরেন) যখন নিজেকে জানতে পারবে, তখন আর দেহ রাখবে না।'
একদিন পুরানো বিষয়ের আলোচনা প্রসঙ্গে একজন গুরুভ্রাতা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, স্বামীজী, এখন কি আপনি বুঝতে পেরেছেন, আপনি কে ?
স্বামীজী নিঃসঙ্কোচে উত্তর দিলেন—'হাঁ, পেরেছি বই কি ?'
শেষদিনে অর্থাৎ ১৯০২ খ্রীস্টাব্দের ৪ঠা জুলাই স্বামীজীর বয়স হয়েছিল— ৩৯ বৎসর, ৫ মাস, ২৪ দিন।
ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন— আমি চল্লিশ পেরোবো না!!!
এভাবে মৃত্যুকে যে আলিঙ্গন করতে পারে, বেঁচে থাকার অধিকার শুধুমাত্র তাঁরই।
বিশ্ববিখ্যাত নোবেলজয়ী মনীষী রোমাঁ রোলাঁ লিখেছেন—
''রামকৃষ্ণের ও তাঁহার এই মহান শিষ্যের মৃত্যুর ব্যবধান ছিল মাত্র ষোলো বৎসর। কিন্তু এই কয়েক বৎসরেই বিবেকানন্দ আগুন জ্বালাইয়া দিয়াছিলেন। চল্লিশ বৎসরেরও কম বয়সে এই মল্লবীর চিতাশয্যা গ্রহণ করেন।
কিন্তু সে চিতাগ্নি আজও নির্বাপিত হয় নাই। প্রাচীন কালের ফিনিক্স পক্ষীর মতোই তাহার চিতাভস্ম হইতে নূতন করিয়া ভারতের বিবেক - সেই ঐন্দ্রজালিক পক্ষী - উথিত হইয়াছে। উথিত হইয়াছে ভারতের ঐক্যে এবং তাহার মহান বাণীতে মানুষের বিশ্বাস। এই বাণীর কথা ভারতের প্রাচীন স্বপ্ন দ্রষ্টারা বৈদিক যুগ হইতে চিন্তা করিয়া আসিয়াছেন ; এই বাণীর হিসাব নিকাশ আজ ভারতবাসীকেই অবশিষ্ট মানবজাতির নিকট দিতে হইবে।