04/04/2025
এক নজরে শিশুর বাল্য ও কিশোর জীবন কতটা গুরুত্বপূর্ণ:--
(১) শিশুকে পাঁচ বছর বয়স থেকে খেলাধূলা আর হাসি গানের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা অভ্যাস করাতে হবে। শুধু গৃহশিক্ষক রাখলেই চলবে না। মা-বাবাকে সম্পূর্ণ তৎপর হতে হবে। মা-বাবা উভয়েই চাকুরী করলে ছেলে মেয়েকে এমন একজন স্ত্রীলোকের কাছে রেখে যেতে হবে যার মধ্যে মাতৃসুলভআচরণ পাওয়া যাবে। তার মধ্যে দুনম্বরী ভাব থাকলে চলবে না। অফিসের ছুটি হলেই যেন মা-বাবা শিশুকে সান্নিধ্য দেন-এদিকে খেয়াল রেখে সর্বদা চলতে হবে। তা না হলে মা-বাবার প্রতি শিশুদের আগ্রহ ও উৎসাহ কমে যাবে।
আজকের ভোগসর্বস্বতার যুগে ছোট পরিবারের প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়ছে। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, বেড়েছে মানুষের পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।
এসব মাথায় রেখে সব মা বাবাই ছেলেসর্বস্ব হয়ে উঠেছেন। সবাই চান ছেলেকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার করতে। তবে আশা না থাকলে মানুষ বাঁচবে কেমন করে? আর তার জন্যেইতো পড়াশোনা। আবার লক্ষ্যহীন জীবন হালছাড়া নৌকার মতন-A ship with out rudder. তাই শিশুর ভবিষ্যতের লক্ষ্য বা আকাঙ্ক্ষা দরকার।
(২) শিশুকে সুস্থ সবল রাখার জন্য প্রথম থেকেই সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে। দেহ দুর্বল ও অসুস্থ হলে মনও দুর্বল হবে। পড়াশোনার দিকে ঝোঁক থাকবে না। এছাড়া বাল্য থেকে শিশুর কাছে কোনোরূপ হতাশ ভাব দেখাবেন না।
(৩) ভাল রেজাল্ট করাতে হলে- (১) মা বাবাকে ছেলের পেছনে সময় দিতে হবে। গৃহ-শিক্ষকের সঙ্গে মা-বাবাকে হতে হবে তৎপর। (২) ছোটবেলা থেকে অঙ্কের দিকে জোর দিতে হবে। তাছাড়া ইংরেজির ভিত ঠিক না করলে শিশু কোনোমতেই ইংরেজি ভাষা আয়ত্বে আনতে পারবে না। (৩) ক্লাসের পড়ার কোনো বিষয়কে অবহেলা করা চলবে না। যাকেই অবহেলা করবে সেই বিষয়টিই শিশুর উপর প্রতিশোধ নেবে। গল্পচ্ছলে গণিত ও ইংরেজি শেখাতে হবে শিশুকে। (৪) অঙ্ক ও ভৌতবিজ্ঞানে শিশু যদি বেশি জোর দেয় তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। (৫) বাবা মায়ের কর্তব্য হবে শিশুকে মাঝে মাঝে ছোট ছোট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা। (৬) যে ছেলে যে বিষয়টি ভাল পছন্দ করে সেই বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে তাকে পড়তে বলা প্রতি বাবা-মায়ের কর্তব্য। (৭) পড়াশোনার সাথে খেলাধূলা চালিয়ে গেলে অধ্যয়ন তপস্যার মহাভারত অশুদ্ধ হবে না-এটাও বাবা-মাকে জানতে হবে। কারণ All works and no play makes a jack and dull boy. আবার শুধু পড়লে হবে না। রাস্তা-ঘাটে বিছানায় শুয়ে সেগুলো রোমন্থন করা দরকার। তবে পড়া মনে থাকবে। (৮) পড়াশোনার প্রতি শিশুদের যাতে কম্পিটিশন মনোভাব থাকে সেদিকে লক্ষ্য দেওয়া বাবা-মায়ের কর্তব্য। (৯) শিশুকে শাস্তি দিলে ভাল রেজাল্ট হয় না। আবার শিক্ষককে গুলিয়ে খাইয়ে দিলেও নয়। ভাল রেজাল্ট শিশু ও তার মা বাবার একাগ্রতা, অধ্যাবসায়, আকাঙ্ক্ষা ও বুদ্ধি-বিদ্যার ওপর নির্ভর করে। তবে প্রস্তরোেহপি ঘৃষ্যমান ক্ষীয়তে। তেমনি পড়াশোনাকেওবারবার ঘসতে মাজতে হয়। যাকে বলে রিপিটেশন। শুধু পড়াশুনো কেন, কোনো কাজই রিপিটেশন ছাড়া সাকসেসফুল হয় না।
(৪) ছেলে কোনো পথে এগোবে-তা মা বাবাকেও একটু চিন্তা করতে হবে। যারা অবশ্য বোঝেন না তাদের কথা বাদ দিলাম। কোনো বৃত্তিতে লোকের চাহিদা বেশি সেদিকে বাবা-মা ও ছেলে সজাগ থাকবেন।
(৫) মাধ্যমিক পাশের পর সন্তানের যোগ্যতা, আপনার সামর্থ্য, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সন্তানের মেধা সব মিলিয়ে সন্তানকে নিয়ে ঠিক করতে হবে বাবা-মাকে-তাদের ছেলে কোনো পথে পা দেবে। Correct self appraisal and self confidence hold the key to any planning in life. নিজের প্রতি আস্থা রেখে নিজের জীবিকা কী হবে তা শিশুকে সাজিয়ে নিতে হবে। নিজের সামর্থ্য ও যোগ্যতা দিয়েই সন্তানকে পড়াশোনা ও কর্মপথে এগোতে হবে। If the best has equded you, the second best shouqd be tied. সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে জীবিকা নির্ধারণ করলে জীবনে আর হতাশ হতে হবে না।
(৬) অনেক সময় বাবা-মা ছেলেকে বিজ্ঞান পড়তে বলেন, ছেলের কিন্তু কমার্সের দিকে ঝোঁক। এ নিয়ে মতদ্বৈত সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ছেলেকেই তার কেরিয়ার গড়তে নির্দেশ দিতে হবে।
(৭) স্নাতক স্তরে অনার্স নিয়ে পড়তে হলে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। আর সেজন্য বাবা-মাকে সচেষ্ট থাকতে হবে। ছেলেকে কঠিন বিষয়গুলোর জন্য উপযুক্ত গৃহশিক্ষকের হাতে সমর্পণ করতে হবে। টাকাপয়সা খরচের ভয় করলে বা কার্পণ্য করলে সন্তান মানুষ হবে না। ধনশালী ব্যক্তিদের ছেলেরা ভাল রেজাল্টের জন্য প্রতি বিষয়ে এক একটি শিক্ষক নিয়ে পড়াশোনা করে।
(৮) সবশেষে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য বাড়াতে হলে (১) ভালবাসা (২)
শাসন (৩) স্বাধীনতা (৪) নিরাপত্তা (৫) সহায়তা (৬) স্বীকৃতি (৭)
রক্ষণাবেক্ষণ ও
(৮) বিশ্বাস অবশ্যই প্রয়োজন।
বিশদ তথ্যর ও কাউন্সিলের জন্য যোগাযোগ করুন:---
Amit Khastagir [Consultant YogaTherapist &Counselor Psychologist]✍️📖🧘🧠
DM-- amitkhastagir777@yahoo.com 📧
amitkhastagir.a1234@gmail.com 📧
Yoga Trainer Amit
YOG Shakti ROG MUKTI