Dr Indranil Saha

Dr Indranil Saha Dr. Indranil Saha’s focus is on providing the best medical care for hopeful couples.
(4)

বুদ্ধদেববাবু মারা যাওয়ার পর শ্রী নারায়ণ রায় লিখেছিলেন: এই খবরটা শুনে ভীষণ ভীষণ খারাপ লাগছে। উনি কম্যুনিস্ট ছিলেন, তবে...
08/08/2025

বুদ্ধদেববাবু মারা যাওয়ার পর শ্রী নারায়ণ রায় লিখেছিলেন: এই খবরটা শুনে ভীষণ ভীষণ খারাপ লাগছে। উনি কম্যুনিস্ট ছিলেন, তবে আজ ওনার মৃত্যুর খবরটা শুনে কম্যুনিস্টদের সম্পূর্ণ অন্য মেরুর এক ব্যক্তিত্ব ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের একটা কথা খুব মনে পড়ছে। কথামৃতের এক জায়গায় ঠাকুর বলছেন,

"একজন লোক মিষ্টান্ন খেতে খুব ভালবাসেন কিন্তু তিনি এমন জায়গায় থাকেন যার মিষ্টান্ন খাওয়ার সুযোগই নেই। আর একজন মিষ্টান্ন ভক্তের চারিদিকে মিষ্টান্ন থরে থরে সাজিয়ে রাখা সত্বেও তিনি লোভ সম্বরণ করে একটি মিষ্টান্নও খাচ্ছেন না। এই দ্বিতীয় ব্যক্তির ত্যাগ অনেক বেশি"।

বুদ্ধদেব বাবু ছিলেন সেই দ্বিতীয় গোত্রের মানুষ, যাকে বলে Rarest of the rare.... আজকের ভারতীয় রাজনীতিতে যে ধরনের মানুষকে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুজতে হয়। তাঁর স্মৃতিতে তাঁকে আমার অন্তরের প্রণাম জানাই।

08/08/2025

' আমার একটু থাইরয়েড আছে । একবার থাইরয়েডের ওষুধ শুরু করলে সারা জীবন খেতে হবে। 'লোকের মনে নানা প্রশ্ন থাকে যার সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না। ডাঃ ত্রিবর্ণা সিনহা চক্রবর্তী সেই প্রশ্নের উত্তরগুলো লিখলেন।

।। থাইরয়েড এবং থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট – নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কথা।।

🔹এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের সমস্যাগুলোর মধ্যে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা খুবই কমন — বলা যায়, ডায়াবেটিসের পরেই এর স্থান।
🔹থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ কিন্তু জন্মের পরপরই (Newborn stage) দেখা দিতে পারে । আবার প্রবীণ বয়সেও হতে পারে।
অর্থাৎ, শিশু থেকে বৃদ্ধ — কেউই একে এড়াতে পারে না।
🔹পরিসংখ্যান বলছে, মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি দেখা যায়। হরমোনজনিত পরিবর্তন, গর্ভাবস্থা, পিরিয়ড ও মেনোপজ — এসব কারণে মহিলারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।

◾ কিন্তু ভালো খবরটা হোলো...
👉🏻থাইরয়েড সমস্যার ডায়াগনোসিস খুব সহজ । খুব সাধারণ রক্তপরীক্ষা (TSH, T3, T4) দিয়েই বোঝা যায়।
👉🏻 এবং এর চিকিৎসাও খুব সহজলভ্য ও কার্যকর । শুধু নিয়মিত ওষুধ আর ফলো-আপ করলেই যথেষ্ট।

◾ যদি সময়মতো ধরা পড়ে এবং নিয়ম মেনে চিকিৎসা করা যায়, তাহলে একেবারে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব । প্রতিদিনের কর্মক্ষমতা, পড়াশোনা, গর্ভধারণ,কোনো কিছুতেই সমস্যা হয় না।

◾আমরা সবাই জানি—থাইরয়েড গ্রন্থি গলার সামনে থাকা ছোট্ট একটা প্রজাপতির মতো দেখতে গ্ল্যান্ড।
এই গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসরণ হয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন —
T4 (Thyroxine) এবং T3 (Tri-iodothyronine)।

◾ এই হরমোন আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি কোষে কাজ করে । শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে,
অর্থাৎ:🔹শক্তি উৎপাদন,🔹 হৃদস্পন্দন, 🔹দেহের তাপমাত্রা,🔹হজম প্রক্রিয়া,
🔹মুড ও মানসিক স্বাস্থ্য,🔹হাড়ের স্বাস্থ্য,
🔹এমনকি কিডনি ফাংশনও এই হরমোনের প্রভাবে চলে।

◾তাই, থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যদি বেশি কাজ করে (Hyperthyroidism), বা কম কাজ করে (Hypothyroidism), তাহলে তার প্রভাব পড়ে শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে।
ক্লান্তি, ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া থেকে শুরু করে ডিপ্রেশন, হজমের গোলমাল — এসবের পেছনে কখনো কখনো থাকে এই ছোট্ট গ্ল্যান্ডটার গলদ।

◾থাইরয়েড রোগ মানেই কি Hypo বা Hyper? চলুন একটু বুঝে নিই...

“আমার থাইরয়েড আছে”—এই কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি।
আসলে বেশিরভাগ সময়েই এর মানে বোঝায় Hypothyroidism, কারণ এই অবস্থাটা এতটাই কমন যে, ‘থাইরয়েড’ শব্দটা শুনলেই আমরা "হাইপোথাইরয়ডিজম " কেই বুঝি।

কিন্তু বাস্তবটা একটু ভিন্ন।
👉 Hypothyroidism আর Hyperthyroidism — এই শব্দদুটো কোনো নির্দিষ্ট রোগের নাম নয়।
এগুলো আসলে রক্তে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কমে গেছে (Hypo) বা বেড়ে গেছে (Hyper) — এই অবস্থা বোঝায় ।

◾ অর্থাৎ, এগুলো হলো রোগের উপসর্গ বা ফলাফল, আসল রোগটা এর পেছনে লুকিয়ে থাকে — যেমন:
🔹Hashimoto's thyroiditis
🔹Graves’ disease
🔹পিটুইটারি সমস্যা
🔹গ্ল্যান্ডে টিউমার বা অন্যান্য অস্বাভাবিকতা।

তবে ঠিক আছে, এগুলো নিয়ে আলোচনাটা একটু জটিল হতে পারে —
তাই আজ আমরা প্রচলিত ও সহজভাবে বোঝা যায় এমন কিছু দিক নিয়েই কথা বলি।

◾এবার, অনেকেই বোঝেন, গলার কাছে ফুলে গেলে, তবেই থাইরয়েডের সমস্যা হয়।
কিন্তু, বাস্তব টা তা নয়। গ্ল্যান্ড না ফুলে গেলেও থাইরয়েড সমস্যা থাকতে পারে।
◾Hypothyroidism-এর উপসর্গ :
Hypothyroidism-এর উপসর্গগুলো অনেকটাই নন-স্পেসিফিক — মানে, এগুলো অন্য অনেক রোগেও হতে পারে। তাই রোগটা সহজে চোখে পড়ে না।

👉 লক্ষণগুলো কী কী হতে পারে?
🔹সবসময় ক্লান্তি লাগে
🔹শরীর যেন ভালো লাগে না,
🔹মন খারাপ বা অবসাদ (ডিপ্রেশন),
🔹অলসতা বেড়ে যাওয়া,
🔹ওজন বেড়ে যাওয়া,
🔹ঠান্ডা সহ্য হয় না,
🔹চুল পড়ে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া,
🔹পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে পড়া...ইত্যাদি।

◾এই উপসর্গগুলো কম বেশি প্রায় সকলেই জানেন।
কিন্তু ...অনেকেই এসব উপসর্গকে গা সওয়া করে ফেলেন —
ভাবেন, "আচ্ছা... স্ট্রেসের জন্যই হবে হয়তো! " বা "একটু ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেলেই ঠিক হয়ে যাবে ! "....
কিন্তু এগুলো যদি হাইপোথাইরয়েডিজমের ইঙ্গিত হয়, তাহলে আর দেরি না করে একটা রক্ত পরীক্ষা (TSH, T3, T4) করিয়ে নেওয়াই ভালো।
🔹 কারণ?
এই রোগের ডায়াগনোসিস যেমন সহজ, তেমনি চিকিৎসাও খুব কার্যকর।
কিন্তু যদি পরীক্ষাই না করান, তবে রোগটা ধীরে ধীরে গোটা শরীরের মেটাবলিজমকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই সন্দেহ হলে, চুপ না থেকে রক্ত পরীক্ষা করুন।
বাঁচান নিজের শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্য।

◾ অন্যদিকে Hyperthyroidism এর একটু কম দেখা যায়। তবে এর উপসর্গ গুলো comparativelySpecific : যেমন অতিরিক্ত ঘাম, ওজন কমে যাওয়া, হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া, হাত কাঁপা,ঘুম কম হওয়া, চোখ উঁচিয়ে আসা (Graves’ disease).. ইত্যাদি।

◾Thyroid Function Tests:
আমরা সবাই জানি, থাইরয়েড টেস্ট মানেই TSH, T3, T4।

কিন্তু এই টেস্টগুলোর আসল সম্পর্ক আর ব্যাখ্যাটা কি ?
🔹TSH (Thyroid Stimulating Hormone) কী কাজ করে?
TSH এক ধরনের হরমোন, যা তৈরি হয় আমাদের মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে।
এর মূল কাজ হলো থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে সক্রিয় করে তোলা, যাতে সেটি যথাযথ পরিমাণে T3 (Tri-iodothyronine) এবং T4 (Thyroxine) হরমোন ক্ষরণ করে।
আবার রক্তে T3 ও T4 যখন পরিমিত পরিমাণে থাকে, তখন শরীর ফিডব্যাক মেকানিজম-এর মাধ্যমে TSH-এর উৎপাদন কমিয়ে দেয় — যেন হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
◾ তাই, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, TSH-এর মাত্রা সবসময় T3 ও T4-এর সঙ্গে উল্টো পথে চলে।
উদাহরণ দিয়ে বুঝলে সহজ হবে:
👉🏻 Hypothyroidism হলে:
TSH বেড়ে যায়⬆️ আর T3, T4 কমে যায়⬇️
👉🏻 Hyperthyroidism হলে:
TSH কমে যায় ⬇️ আর T3, T4 বেড়ে যায়।⬆️

🔹 তাহলে তিনটেই একসাথে কেন করা হয়?
কারণ, শুধুমাত্র TSH দেখে সব সময় রোগের সম্পূর্ণ চিত্র বোঝা যায় না।
T3 ও T4-এর রিপোর্ট না থাকলে বুঝতে অসুবিধা হয় যে—
👉 সমস্যাটা থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে, না কি পিটুইটারি গ্রন্থিতে।তাই টেস্ট করাতে গিয়ে শুধু TSH নয়, অনেক সময় T3 ও T4 রিপোর্টও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

◾ তবে কিছু ক্ষেত্রে শুধু Serum TSH করাই যথেষ্ট। যেমন...
🔹 Screening Test:
যখন জানতে চাই একজনের থাইরয়েড স্বাভাবিক (Euthyroid) কিনা।
🔹 Newborn Screening:
নবজাতকের মধ্যে Hypothyroidism ধরা পড়লে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।
🔹 Treatment Follow-up:
Hypothyroid রোগীদের T4 রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি চলছে কিনা, তার ফলাফল বোঝার জন্য।

◾থাইরয়েড টেষ্ট সংক্রান্ত কিছু Myths and Facts ::
1)Thyroid টেষ্ট করতে কি Fasting blood sample লাগে?
উত্তর - না।
থাইরয়েড টেস্টের জন্য Fasting blood sample প্রয়োজন নেই, তবে Blood সকালে দিলে ভালো।

2) টেস্টের দিন ওষুধ খেলে রিপোর্ট খারাপ হবে ? ✅ আংশিক সত্য। সকালের ডোজ নিলে T4 কিছুটা বেড়ে যায়, তাই রক্ত দেওয়ার আগে ওষুধ খাবেন না। রক্ত দেবার পর খেতে পারেন।

3) শুধু TSH করলেই চলবে ?
সব সময় নয়, অনেক ক্ষেত্রে T3 ও T4 করার দরকার।

4) থাইরয়েড মানেই সারাজীবন কষ্ট ? একদমই না।
ওষুধ খাওয়া মানে শরীরে হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখা, যাতে অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অনেক ওষুধ ই তো সারাজীবন খেতে হয়, যেমন প্রেশার, সুগার এর ওষুধ ।

5) থাইরয়েড থাকলে গর্ভধারণ সম্ভব নয় ?
একেবারেই ভুল ধারণা।
নিয়মিত চিকিৎসায় সুস্থ সন্তান জন্ম সম্ভব।

◾ টেস্টের দিন কি করণীয়?
🔹সকালে রক্ত দিন । দিনের বেলায় TSH সামান্য পরিবর্তিত হয় (Circadian rhythm), তাই সকালে টেস্ট করা ভালো।
🔹রক্ত দেওয়ার আগে থাইরয়েডের ওষুধ খাবেন না।
🔹অন্য ওষুধ (BP, ডায়াবেটিস) সাধারণত চলতে পারে।
🔹হাই ডোজ বায়োটিন, স্টেরয়েড, অ্যামিওডারন, লিথিয়াম নিলে ডাক্তারকে অবশ্যই জানান।

◾ মনে রাখবেন:
🔹থাইরয়েড সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ খুব স্পষ্ট নাও হতে পারে। কিন্তু নিয়মিত চেকআপ করলে সহজেই ধরা পড়ে ও চিকিৎসায় একদম স্বাভাবিক থাকা যায়।

🔹আর একটা কথা, যারা ওষুধ খাচ্ছেন, তারা নিজে নিজে ওষুধ বন্ধ বা ডোজ পরিবর্তন করবেন না। নির্দিষ্ট গ্যাপ এ রক্ত পরীক্ষা করুন আর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

◾ আবার এমন কিছু পরিস্থিতি আছে যেখানে থাইরয়েড টেস্টের ফলাফল ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে।
যেমন:
🔹 অসুস্থ শরীর (Non-thyroidal illness): বিভিন্ন কারণে (ইনফেকশন, অপারেশন, স্ট্রেস ইত্যাদি ) শরীর অসুস্থ থাকলে TSH, T3, T4-এর স্বাভাবিক সম্পর্ক পাল্টে যেতে পারে।মানে রিপোর্টে গন্ডগোল আসতে পারে । অথচ থাইরয়েড ঠিকই আছে !
🔹গর্ভাবস্থা:
প্রথম তিন মাসে হরমোনের ওঠানামা স্বাভাবিক। এসময় TSH একটু কমে গেলেও দুশ্চিন্তার কিছু নাও হতে পারে।
🔹ওষুধের প্রভাব:
বায়োটিন, স্টেরয়েড, ডোপামিন, লিথিয়াম, এন্টিসিজার ওষুধ — অনেক ওষুধ TSH বা T3-T4-এ হস্তক্ষেপ করতে পারে।
🔹সাপ্রেসড পিটুইটারি (Secondary Hypothyroidism):
এই ক্ষেত্রে TSH স্বাভাবিক বা কম থাকে, অথচ T4 , ও কম! তাই অনেক সময় শুধু TSH দেখে মিস হয়ে যায়।

সংক্ষেপে:
থাইরয়েড টেস্ট ব্যাখ্যা করার আগে তাই সবসময় রোগীর ওষুধের তালিকা, সাম্প্রতিক অসুস্থতা, গর্ভাবস্থা, আয়োডিন গ্রহণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
সে কারণে ,সবসময় একজন চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করা এবং রিপোর্ট দেখিয়ে পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

07/08/2025

*শিশুকে খাবার গেলাবেন না*
*সে খেতে শিখুক*
ডাঃ পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

শিশু চিকিৎসক শিশুকে সাধারণত ছমাস বয়সে ভারি খাবার খাওয়ানো শুরু করতে বলেন। তার মূল কারণ হলো, ততদিনে শিশু অনেকখানি বেড়েছে। সুতরাং শুধুমাত্র দুধ থেকে সে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না।
এই তরল থেকে অর্ধ তরল ও ভারি খাবার শুরু করার কালটা ঝক্কির। তাই অভিভাবকদের কতগুলো বিষয়মনে রাখতে হবে।

--তরল খাবার খাওয়া ও ভারি খাবার
খাওয়া পদ্ধতিগত ভাবে এক নয়। কারণ তরল খাবার যেমন ঢক করে গলায় সেঁধিয়ে দেওয়া যায়,ভারি খাবারের ক্ষেত্রে সেরকম সম্ভব নয়। তাকে মুখের ভিতর নাড়াচাড়া করে চিবিয়ে লালা মিশিয়ে অর্ধ তরল করে তারপর গেলা সম্ভব হয়। এটা শিশুর কাছে একটা নতুন শিক্ষা, সুতরাং তাকে শিখতে হয়। সময় লাগে।

--আপনার কাজ হলো সেই শেখাতে তাকে সাহায্য করা। ভারি খাবার আপনি যদি পিষে অর্ধ তরল করে বাটি চামচ দিয়ে গিলিয়ে দেন, তাতে কিন্তু তার শিক্ষাটা বিলম্বিত হয়। সুতরাং ধৈর্য্য রাখুন। এক থেকে দেড় মাসে সে শিখে যাবে। চেষ্টা করুন বসিয়ে খাওয়াতে। ধরে নিন প্রথম প্রথম সে কিছুই পারবে না।

--খাবার পিষে খাওয়ালে আরো একটা ঝুঁকি হলো, খাবারের মাধ্যমে শরীরে সংক্রমণ প্রবেশ করানো। ব্লেন্ডার, মিক্সি বা ছাঁকনি যা দিয়েই আপনি খাবার ছাঁকুন না কেন, সে খাবারে জীবানু ঢুকবে। কারণ ওগুলো স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি দূষনহীন করছেন না।

--আমাদের দেশের অভিভাবকেরা আরো একটা ভুল করেন। নবজাতককে দুঘন্টা বা আড়াই ঘন্টা পর পর খাওয়াতে থাকা তাঁরা এটা ভুলে যান বা মানতে চান না যে শিশু বড় হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বড় হচ্ছে তার পাকস্থলী। কমছে খাদ্য পাকস্থলী থেকে নিচে নামার গতি। তাই ছমাস, এক বছর বয়স হয়ে গেলেও তাঁদের শিশুকে দু থেকে আড়াই ঘন্টা পর পর খাওয়ানোর উৎসাহ কমে না। এতে করে শিশুর অর্ধেকটা খালি হওয়া পেটে তাঁরা টার্গেট পূরণ করার মতো খাবার ঠুসতেই থাকেন। এতে শিশুর খাবারের প্রতি ভীতি জন্মায় অথবা সে বাড়তি খাবার বের করে দেয়। তাঁরা ভাবেন শিশুর বদহজম হয়েছে বলে সে বমি করছে।

--তাছাড়া শক্ত খাবারের ক্যালোরি ভ্যালু অনেক বেশি। সেগুলোর নামতে সময় লাগে বেশি। সুতরাং দুটো খাবারের মাঝে ব্যবধান ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। যে শিশু শক্ত খাবার খেতে শিখে যায় তার দৈনিক চার থেকে পাঁচবার খাবার পরিমাণ মতো দিলে যথেষ্ট।

--শিশু স্বর্গ থেকে নেমে আসা ঈশ্বর বা দেবদূত নয়, সে আপনাদের পরিবারের। আপনাদেরই একজন। সুতরাং তার জন্য স্পেশ্যাল কিছু তৈরি করার দরকার নেই। আপনার ডাল, আপনার ভাত, আপনার মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, ছানা, মাখন, রুটি, সুজি ,চিঁড়ে, ছাতুতে তার দিব্যি পুষ্টি হবে, যদি আপনি চিকিৎসকের কাছে জেনে নেন কোন খাবারটা কতখানি দিতে হবে।
-- সুতরাং সিনথেটিক খাবার, আমন্ড,কাজু ,কিসমিস, মাখানা, গাদা গাদা ভিটামিন, ইত্যাদি আপনার সখপূরণের বিষয়, শিশুর দরকারের নয়।

-- শিশু শিশু হলেও মানুষ। তারও জিভে স্বাদগ্রন্থি আছে। সেও চায় বির বিভিন্ন খাবারের স্বাদ আলাদা আলাদা ভাবে নিতে। সুতরাং ভাত ডাল ভাজা তরকারি মাছ আলাদা আলাদা ভাবে রাখুন, যেভাবে আপনারা খান। খাবারে যেন স্বাদ থাকে। খাবার খেয়ে শিশুর যেন মনে না হয় যে সে ওষুধ গিলছে।

--যত কম বয়সে সম্ভব, শিশুকে নিজেদের সঙ্গে খাওয়াতে বসুন। খাওয়ার মধ্যে সামুদায়িক ব্যাপারটা থাকলে শিশু খেতে উৎসাহ পায় বেশি। সেটাকে তার টাস্ক বা শাস্তি মনে হয় না।
--আপনাদের এলাকায় যেসব খাবার সহজলভ্য সেসব খাবারই শিশুর খাদ্য হিসাবে নির্বাচন করুন। দু মাইল দূরে গিয়ে শিশুর জন্য শিঙ্গি মাগুক মাছ বা কাঁঠালি কলা কেনার দরকার নেই। তাজা রুই, কাতলা, এমনকি তেলাপিয়া বা শিঙ্গাপুরি কলাও খাদ্য হিসাবে এদের সমকক্ষ।

--শিশুর একঘেঁয়ে লাগতে পারে বলে রোজ রোজ খাবারে নতুনত্ব আনার ভুল করবেন না। এত ভ্যারাইটি হয় না এটা শিশুকে বুঝতে দিন। আপনি যেমন শেখাবেন সে তেমন শিখবে। এই সিগন্যালিংটা করুন। নতুবা পায়ে হাঁটতে একঘেয়েমি হচ্ছে বলে হাতে হাঁটছি, ব্যাপারটা ঠিক সেরকম হবে।

-- আর প্লীজ প্লীজ প্লীজ, শিশু খাচ্ছে না বলে তাকে মোবাইল বা টিভি দেখিয়ে খাওয়াবেন না। তাহলে সব বরবাদ। সে খাবারের প্রতি অমনোযোগী হয়ে উঠবে তাতে। সেই খাবার গেলাতে হবে আপনাকে। সে শিখবে না। মনে থাকে যেন।

--মনে রাখবেন, শিশুকে খাওয়ানো আপনার টার্গেট ফুলফিল করা নয়। বরং শিশুর নিজে খেতে শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্যাসিভ ফিডিংয়ের বদলে অ্যাকটিভ ফিডিং অর্থাৎ আপনার খাওয়ানোর থেকে শিশুর নিজের খাওয়া আজ থেকে আপনার টার্গেট হোক।

ঠিক এক বছর আগেও মেয়েটা বেঁচেই ছিলো...ছবি: Jayanta Biswas
06/08/2025

ঠিক এক বছর আগেও মেয়েটা বেঁচেই ছিলো...
ছবি: Jayanta Biswas

06/08/2025

শিক্ষক: কয়েকজন সমাজ সংস্কারকের নাম বলো?
ছাত্র: রামমোহন,বিদ্যাসাগর, আমার বাবা।
শিক্ষক: তোমার বাবা আবার কী করলেন?
ছাত্র : উনি সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে সমাজ সংস্কার করেন।

প্রায় আমরা সবাই সামাজ মাধ্যমে আমাদের সামাজিক দায় সারছি।পরের প্রজন্ম তাই শিখবে আর পথে নেমে প্রতিবাদ হয়তো হারিয়ে যাবে।

#ইন্দ্রনীল

Happy Birthday Tom, from Jerry আলাপ ১৯৯১ এ। মাত্র একবছরের সিনিয়র। মিল, কলেজের ক্যান্টিনে সারাদিন কাটানো, লোকের পিছনে লা...
06/08/2025

Happy Birthday Tom, from Jerry

আলাপ ১৯৯১ এ। মাত্র একবছরের সিনিয়র। মিল, কলেজের ক্যান্টিনে সারাদিন কাটানো, লোকের পিছনে লাগা, wicked sense of humour। অমিল, দুটো বিরুদ্ধ দলের ছাত্র সংগঠন। সেটা নিয়ে এখন হাসাহাসিও করি।
রাত জেগে নরমাল ডেলিভারী করা, ২৮ /২৯ সপ্তাহের বাচ্চাগুলোকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া, বিপদের সময়ে একে অপরের পাশে থাকা আর জীবনের কঠিন সময়েও হাসতে পারা এই নিয়ে আমাদের দিন কেটে যায়। সাথে অবশ্যই আনন্দ আর মানসদা,আমাদের চারজনের সংসার।
আমাদের ডেলিভারী করা এক পুচকু একবার বলেছিল, আমি ইন্দ্রনীল সাহা হবো, ভাই লোকেশ পান্ডে। এর থেকে বেশী আর কী চাওয়ার থাকতে পারে।
শুভ জন্মদিন ডাঃ লোকেশ পান্ডে 💕💕

#ইন্দ্রনীল

ডাঃ সঞ্চারী রায় লিখলেনবেশ কিছুদিন ধরে টিভিতে কলকাতা ইউনিভার্সিটির অন্তর্বতীকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের শিক্ষা ও শিক্ষাঙ...
05/08/2025

ডাঃ সঞ্চারী রায় লিখলেন
বেশ কিছুদিন ধরে টিভিতে কলকাতা ইউনিভার্সিটির অন্তর্বতীকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে স্পষ্ট ও নির্ভীক মতামত শুনতে পাচ্ছিলাম । চারদিকে আমাদের মত এত ভীতু নির্বিরোধী ও নুয়ে পড়া মানুষের মাঝে এমন দৃপ্ত ভঙ্গিতে কথা বলার মত সাহস আর ব্যক্তিত্ব খুব বেশি কারোর দেখিনা তেমন। তাও আবার এমন পদে আসীন হয়ে। সুতরাং উনি যে অনেকের সম্ভ্রম আদায় করে নেবেন আর তার চেয়েও বেশি মানুষের চক্ষুশূল হবেন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সম্প্রতি গোল বেঁধেছে আঠাশে আগষ্ট শাসক দলের ছাত্র পরিষদের জন্মদিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের পরীক্ষার দিন ধার্য হওয়ায়।1955 সালের 28 আগষ্ট বিধান চন্দ্র রায়ের তৈরী কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠার দিনটি কি করে TMCP এর জন্মদিন হয়ে যায় তা অবশ্য আমার মোটা মাথায় ঢোকেনি। শাসকদলের ছাত্রদল নাছোড়। তারা ঐ দিনটি সেলিব্রেট করার জন্য পরীক্ষা স্থগিত করতে চায়। উপাচার্য শান্তা দত্ত ও তাঁর যুক্তিতে অনড়। তাঁর কথা---
1.যদি একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম তিথিতে পরীক্ষা স্থগিত করি তবে অন্য দলগুলোও নিজেদের জন্মতিথিতে এমন সব আব্দার করবে।
2.সরকারি ক্যালেন্ডারে সরকার তো এমন দিনে আগে থেকেই লাল দাগ দিয়ে রাখতে পারতো, তবে আমরা ঐ শুভদিনটি বাদ দিয়েই রুটিন বানাতাম।
3. যা চাও বাছারা আমাকে ঘিরে হাল্লা না করে লিখিত দাও। ( তারপর বুঝে নিচ্ছি)
4. তিনমাস আগে থেকে মাথা খাটিয়ে অসংখ্য পরীক্ষার দিনক্ষণ ধার্য হয়েছে। এখন হঠাৎ করে কি ভাবে দিন বদল করবো।
ছাত্ররা তো রেগে কাঁই। তারা ওনাকে অনুপ্রবেশকারী উপাচার্য বলে দেগে দিয়েও ক্ষান্ত হলোনা, তারা ইউনিভার্সিটির গেটে জমায়েত হয়ে চিল চিৎকার জুড়ে দিল উনি নাকি এক হাতে বিজেপি ও এক হাতে সিপিএমের ঝান্ডা ধরা একজন জালি উপাচার্য!! দিল্লির নির্দেশে চলেন। ওনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে লাগলো তারা। ওনার নাকি 28 টি পেপারের মধ্যে 24 টা পেপার UGC care journal এ নেই। তা ওরা ওদের মত খবর নিয়েছে, আমিও একটু খোঁজ খবর নিয়ে জানলাম এই উপাচার্য উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। খুব ভুল যদি না করি তো সেইবছর মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন ইন্দ্রানী সেন। (ছেলেদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছিলেন দুই ডাক্তার, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডঃ শুভঙ্কর চৌধুরী ও পিডিয়াট্রিশিয়ান ডঃ দেবাশিস বিশ্বাস)। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে যে ছয়টি গোল্ড মেডেল দেওয়া হয় তার সব কটি এই শান্তা দেবীই পেয়েছিলেন ছাত্রাবস্থায়। আর রইলো পড়ে UGC care journal এ publication এর প্রশ্ন। ছাত্রদের অভিযোগ সত্যি কিনা জানিনা তবে এটা জানলাম যে 2024 সালে UGC care journal list dissolve করার সিদ্ধান্ত হয়েছে ও নোটিফাই করা হয়েছে। সুতরাং UGC care list এর অস্তিত্বই নেই বর্তমানে। উচ্ছন্নে যাওয়া বখাটে কিছু ছেলে শান্তা দেবীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিচার করতে এলে তা রাজ্যের শিক্ষিত সমাজের কাছে এক নিদারুণ উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। জানতে ইচ্ছে করে এর আগে শাসকদলের সমর্থিত উপাচার্য যিনি ছিলেন তাঁর CV ও এই ছাত্ররা যাচাই করেছিল কিনা।
সে যাই হোক, ছাত্রদের চাপের কাছে উনি নতি স্বীকার করলেন না। শুরু হলো উপাচার্য কে নজির বিহীনভাবে অপমান করা। এরপরেও যখন ছাত্রদল বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে গেল সরকারি তরফে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব সত্যি সত্যি লিখিত অনুরোধ ও পাঠিয়ে দিলেন পরীক্ষার দিন পুনর্বিবেচনা করার জন্য । চিঠি পেয়ে হতবাক উপাচার্য কবিতা উদ্ধৃত করে বলেন, "শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে।"
তাঁর পরের বক্তব্যটি অসাধারণ ও চমকপ্রদ--
রুলিং পার্টির most unrully গ্যাং রেপিস্ট, গ্যাং ডাকাত, গ্যাং বদমাইশ ছাত্রদলকে যদি শাসক দলের সুপ্রিমো বলতেন, তোরা নিজেদের কার্যকলাপে আমার মুখে চুনকালি দিয়েছিস, তোদের জন্মদিন পালন এবছর হবেনা, এটাই তোদের শাস্তি তবে তাঁর সম্মান বাড়তো।
আজ সকালে সিন্ডিকেটে তিনি সরকারি চিঠি ও পরীক্ষার দিন পুনর্বিবেচনা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন । সদস্যেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে সিন্ডিকেট তাঁর মতেই শীলমোহর দিয়েছে। অর্থাৎ 28 আগষ্ট পরীক্ষা বাতিল নয়। সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এক অত্যন্ত সাহসী ও সদর্থক পদক্ষেপ বলে ধরা যেতে পারে। পথ দেখাক CU..... 1857 সালে তৈরি এশিয়ার প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা অক্ষুন্ন থাকুক এই প্রার্থনা থাকলো🙏🙏🙏🙏

05/08/2025

ডিপ্রেসন মানে পাগল নয়, মাথা খারাপ নয়, সারাক্ষণ কান্না কাটি কর নয়। আমি, আপনি যে কারোর যে কোনো সময় এর কবলে পড়তেই পারি। যেমন আমদের ডায়াবেটিস , ব্লাড প্রেসার হয়, তেমনি ডিপ্রেসন। এই নিয়ে ভুল ধরনা ভঙ্গি, আরও কিছু প্রাণ না অকালে ঝরে যায়।

ডাঃ সৌরভ দে, যিনি এই রোগটাকে খুব ভালো করে জানেন, তিনি সব ট্যাবু ভেঙে আপনাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। ধন্যবাদ সৌরভ, প্রাউড ওফ ইউ। 💕

#ইন্দ্রনীল

05/08/2025

।।শিশুদের জ্বর গোপন রেখে স্কুলে পাঠাবেন না।।
লেখা: ডাঃ পলাশ বন্দ্যোপধ্যায়

এ সময়টা খুব জ্বর হচ্ছে শিশুদের। সঙ্গে চোখও উঠছে। জ্বরের সঙ্গে কখনও গলা ব্যথা, কাশি, শ্বাস কষ্ট; সঙ্গে গা হাত পা ও মাথা যন্ত্রণা, বমি, পেটে ব্যথা, পেট খারাপ ইত্যাদি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জ্বর চিকিৎসা সত্বেও ছাড়ছে না। শিশুকে হাসপাতালে ভরতি করতে হচ্ছে। অসম্ভব কাহিল হয়ে পড়ছে শিশু।
কি কারণে জ্বর, সে প্রসঙ্গে আলোচনা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু যেটা জানার বিষয় তা হলো এ জ্বর, এ চোখ ওঠা, দুটোই খুব ছোঁয়াচে। তাই চিকিৎসক হিসাবে আমার দু একটা আবেদন আছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ,অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নাগরিকদের কাছে।

**অভিভাবকেরা শিশুদের স্কুল যাওয়া থেকে বিরত করুন। যতদিন না তারা সুস্থ হয়েছে বলে চিকিৎসক মনে করেন। পরীক্ষা থাকলে দরকার হলে চিকিৎসকের কাছে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে তা স্কুলে দাখিল করুন।ইঁদুর দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার চাপে পড়লে কিন্তু শিশুর স্বাস্থ্যহানি হবে। ছোট রোগ আরও বড় হয়ে আয়ত্বের বাইরেও চলে যেতে পারে। কারণ যে কোনও রোগে শরীরের সামগ্রিক প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে।
**স্কুল কর্তৃপক্ষও দেখুন যেন কোনও অসুস্থ্য শিশু স্কুলে এসে অন্য শিশুদের মধ্যে তার রোগ না ছড়ায়। একটি সুস্পষ্ট নীতি নির্ধারণ করে জানিয়ে দিন অভিভাবকদের। তাঁদের অভয় দিন, বলুন পরীক্ষার ব্যাপারটা আপনারা বুঝে নেবেন। এ বয়সে স্বাস্থ্য সবথেকে বড় প্রায়োরিটি, অন্যথা ভগ্নস্বাস্থ্যের ভবিষ্যৎ নাগরিক জীবনের আরও কঠিন পরীক্ষাগুলোতে মুখ থুবড়ে পড়বে। সবাই মিলে একটু ভাবুন প্লীজ।

*অভিবাবকেরা রোগ গোপন করে শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন না।
*জ্বরের ওষুধ খাইয়ে জ্বর কমিয়ে শিশুকে পরীক্ষা দিতে পাঠাবেন না।
*পুরনো প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ খাওয়ানোর মতো আত্মঘাতী কাজ করবেন না।

04/08/2025

পলাশীতে ব্রিটিশরা সিরাজকে হারিয়েছিল আজ সিরাজ ব্রিটিশদের।
🇮🇳শোধ বোধ।🇮🇳

04/08/2025

বিনোদ ঘোষালের সুপারহিট লেখা সগৌরবে রমরম করে চলছে।

বাংলা ভাষার 'দুড়াবস্থা' দেখে কেঁদে কঁকিয়ে ওঠা এক চ্যানেলের সঞ্চালক এক উঠতি বাংলা সিরিয়াল অভিনেতা গ্যানস পিডিয়ারকে(আসল নাম গণেশ পোদ্দার) জিজ্ঞাসা করলেন,
হাই, গ্যানস, এই যে বেঙ্গলিদের প্রতি আই মিন একটা হিউমিলিয়েশনের কোহশিস চলছে। হোয়াট ইজ ইয়োর অপিনিয়ন?
গ্যানস নিজের চুলটা বার পনেরো ঠিক করে নিয়ে বললেন, ও ইয়া আমি রিসেন্টলি শুনলাম কি আমাদের বেঙ্গলিদের ওপর একটা কীসব হয়েছে। আই ওয়জ সো বিজি উইদ মাই শুটিং। বাট আই লাভ বেঙ্গলি। আই লাভ মাই মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ। ইউ নো বিকজ আই লাভ বুম্বাদা, আওয়ার দিদি এন্ড আওয়ার টলিউড ইন্ডাস্ট্রি, স্বরূপদা ইজ সো হাম্বল। একটা ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা মিটে গেছে। সো বেঙ্গলি ইজ সো..ইউ নো...আই লাভ ঋতুদি, ইয়া আই অলসো লাভ র‍্যাসগুল্লাহ। আই লাভ আওয়ার ক্যাভিগুরু, জ্যানা গ্যানা...সো আই রিকোয়েস্ট অল মাই ফ্যানস প্লিজ ওয়াচ বেঙ্গলি ফিল্মস...থ্যাংক ইউ সো মাচ। মুয়াহহ!

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Indranil Saha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Indranil Saha:

Share