Dr Indranil Saha

Dr Indranil Saha Dr. Indranil Saha’s focus is on providing the best medical care for hopeful couples.
(1)

27/10/2025

আইভিএফ প্রেগনেন্সি নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর।
#ইন্দ্রনীল

27/10/2025

আইভিএফ প্রেগনেন্সি নিয়ে আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর।
#ইন্দ্রনীল

27/10/2025
 #ইন্দ্রনীল
27/10/2025

#ইন্দ্রনীল

27/10/2025

আজকাল নরমাল ডেলিভারি থেকে সিজার মনে হয় বেশি হচ্ছে এবং সিজার নিয়ে প্রচুর লোকের মনে প্রচুর প্রশ্ন। আমরা চেষ্টা করব সেগুলোর সঠিক উত্তর আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে।

#ইন্দ্রনীল

27/10/2025

27/10/2025

প্রেগনেন্সির সময় থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়া নিয়ে আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর।

#ইন্দ্রনীল

রিক্সাওয়ালা দু’টুকরো আলু আর দেড়খানা রুটি আমার হাতে দিয়ে বলল, "খেয়ে ল্যান বাবু। রাতে না খেলে পিত্তি পড়বে। অথচ আমি নিজের র...
27/10/2025

রিক্সাওয়ালা দু’টুকরো আলু আর দেড়খানা রুটি আমার হাতে দিয়ে বলল, "খেয়ে ল্যান বাবু। রাতে না খেলে পিত্তি পড়বে। অথচ আমি নিজের রাতের ভাগ থেকে কাউকে দিতে পারব না।" আমার ৫০০/-টাকার নোটটা নিয়ে যখন গিয়েছিল আমি আগে চিন্তা করেছি ভাগল না-কি?

ঘটনাটা চাকরি জীবনের প্রথম দিকে। ট্রেনে যখন এটাওয়া গিয়ে পৌঁছালাম। গভীর রাত। স্বাভাবিকভাবেই দোকানপাট সব বন্ধ। রিকশায় উঠে এ হোটেল, সে হোটেল খটখট করছিলাম। শেষমেশ একটি হোটেলে এসে ঘর পেলাম কিন্তু খাবার পেলাম না। রিক্সাওয়ালারও ১০০ টাকার মতো ভাড়া হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে ৫০০ টাকার নোট দিয়ে বলেছিলাম ভাঙিয়ে আনতে, রিক্সাওয়ালা রিক্সায় চেপে বেরিয়ে গিয়েছিল। হাঁ হাঁ করে উঠেছিলাম এই ভেবে যে আমার টাকাটা গেল। হোটেলের ছেলেরাও বলেছিল এতখানি বিশ্বাস করা উচিত হয়নি।
কিন্তু রিক্সাওয়ালা ফিরে এসেছিল। খুচরো টাকার সাথে একটা ছোট্ট প্লাস্টিকে ভরে দিয়ে গিয়েছিল রুটি আর আলুর তরকারি। এটা তার ভাগের খাবার। একটি হোটেলে এসে তার রাতের খাবার বলে রাখে। তিনটে করে রুটি আর একটু তরকারি। সেখান থেকে নিজের খাবার নিয়ে, ভাগ দিয়েছিল আমায়। সঙ্গে ভাঙানি চারশত টাকা....
এই জীবনে শিক্ষাই নিয়ে গেলাম। দিতে আর পারলাম কই...
লেখা: তমোঘ্ন নস্কর

ফেসবুক থেকে পাওয়া
26/10/2025

ফেসবুক থেকে পাওয়া

26/10/2025

অটিজম-একজন বাবা, একজন ডাক্তার,একজন সংগঠকের মনের কথা।
লিখলেন ডাঃ রুদ্র সিনহা

যখন প্রথম আমার ছেলের অটিজমের ডায়াগনোসিস পেলাম, তখন আমার বয়স ছিল ৩৫। আমাদের ডাক্তারদের জীবনে এই সময়টায় সাধারণত পড়াশোনা, ট্রেনিং শেষ করে ক্যারিয়ার শুরু করার বয়স। জীবনের নিয়ন্ত্রণ যেন তখনই হাতে আসছে — এমন এক সময়।
আমি স্বীকার করি, পরের দুই বছর আমি গভীরভাবে বিচলিত ছিলাম — একজন বাবা হিসেবে, এবং আরও বেশি একজন ডাক্তার হিসেবে। বুঝতে অনেকটা সময় লেগেছিল যে এই ডায়াগনোসিস কোনও “সমস্যা” নয়, যেটা সময়ের সঙ্গে বা ওষুধে সেরে যাবে। এটা আজীবনের সঙ্গী — আমার সন্তানের, এবং আমাদের সবার।
মা, বাবা, ছেলে — এই তিনজনের সঙ্গে আর এক পরিচয় জুড়ে গেল, অটিজম।
একটা সত্য আমরা প্রতিটি বাবা-মা মনে মনে জানি — একটাই প্রশ্ন আমাদের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাড়া করে বেড়ায়:
“আমরা না থাকলে আমাদের সন্তানের কী হবে?”
এই প্রশ্নের কোনও পেশা নেই, কোনও শ্রেণি নেই, কোনও ধর্ম বা মতাদর্শ নেই।
আপনি ডাক্তার হন, ব্যবসায়ী হন, শিক্ষক, কর্মচারী বা সমাজসেবী; আপনি হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলিম বা নাস্তিক; রাজনৈতিকভাবে বাম, ডান বা মধ্যপন্থী — শেষ পর্যন্ত সবাই একই জায়গায় এসে দাঁড়াই।
দুই বছর সেই মেনে নেওয়ার লড়াই চলেছিল। তারপর বুঝতে পারলাম, যখন আমি আমার ছেলেকে নিজের মতো করে থাকার জায়গা দিলাম, বোঝার চেষ্টা করলাম — তখন ও একেবারে শান্ত। মেল্টডাউন, বিহেভিয়ার — সব যেন গলে গেল। চার বছর বয়সে ওকে সাধারণ স্কুল থেকে তুলে নিয়ে একটি স্পেশাল স্কুলে ভর্তি করলাম। তখন আমরা স্কুলকে বলেছিলাম —
“ও যদি খুশি মনে স্কুলে যেতে চায়, যাবে। যদি না চায়, জোর করব না।”
এই সময় আমি অনেক রিসার্চ করলাম, আর জানলাম — অটিজমের কোনও নিরাময় নেই।
এটা সারাজীবনের।
তখনই একটা শান্তি এল — যদি কোনও “চিকিৎসা” নেই, আর যদি আমার সন্তান সুখে থাকে নিজের জগতে, তাহলে ওকে “রোগী” হিসেবে দেখা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
হয়তো এটা জীবনের অন্য এক ধরণ, অন্য এক দৃষ্টিকোণ।
একটা সময় বামহাতি হওয়াকেও “বিকৃতি” বা “অসুখ” মনে করা হত।
আজ কে খেয়াল রাখে কে কোন হাতে লেখে?
তৃতীয় উপলব্ধিটা ছিল — অটিজমকে মেডিকেল মডেলে নয়, সামাজিক মডেলে বোঝা দরকার।
ডাক্তার বলে আমার পূর্বধারণা ছিল চিকিৎসার দিকে। কিন্তু অভিজ্ঞতা শেখাল, যতই আমরা বয়স্ক হই, ততই বুঝি — থেরাপি বা ওষুধের বাইরে, আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে সমাজের গ্রহণযোগ্যতার উপর।
আমাদের প্রয়োজন এমন এক সমাজ, যেখানে অটিস্টিক মানুষরা নিজেদের মতো করে জায়গা পাবে — গ্রহণযোগ্যতা ও অংশগ্রহণের সুযোগ নিয়ে।
কিন্তু আমরা প্রায়ই উল্টোটা করি — আমরা তাদের ঘিরে রাখি, আলাদা করি, চিকিৎসার নাম করে সীমাবদ্ধ করে ফেলি।
চতুর্থ উপলব্ধি এল বন্ধুদের কাছ থেকে। অনেকে সদিচ্ছা নিয়ে বলেছিলেন, “বিদেশে চলে যাও — ওখানে সুবিধা বেশি।”
আমি বিদেশের অনেক পেরেন্টস গ্রুপে যোগ দিলাম — ইউকে, ইউএস, অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু দেখলাম, ওরা কি সত্যিই ভালো আছে?
বরং উল্টো — বেশি একাকীত্ব, সরকারি নিয়ন্ত্রণ, পরিষেবার রেশনিং, আর খরচ অন্তত পাঁচগুণ বেশি।
কলকাতা আর ভারত বরং অনেক মানবিক।
এখানে সহানুভূতি আছে, পরিষেবা আছে, আর ক্রমবর্ধমান দক্ষতা আছে।
আর এই গতিতে, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে, আমরা বিশ্বের সেরা মানের অটিজম সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করতে পারব — আমি বিশ্বাস করি।
আর শেষ উপলব্ধিটাই ছিল সেই বীজ, যেখান থেকে অটিজম কনভেনশন জন্ম নিল।
আমরা যত সম্পদই রেখে যাই না কেন, যত আত্মীয়ই প্রতিশ্রুতি দিক, যত নাম বা জনপ্রিয়তাই অর্জন করি — কিছুই সত্যিকার অর্থে আমাদের সন্তানের উপকারে আসবে না, যদি না আমরা একে অপরের সন্তানের পাশে দাঁড়াই।
আজ আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে হবে — আমরা কি সত্যিই এমন একজন অটিজম শিশুর বা প্রাপ্তবয়স্কের পাশে দাঁড়াচ্ছি, যাদের বাবা-মা আর নেই? তাহলে আমরা কীভাবে আশা করতে পারি, যে অন্য বাবা-মা আমার সন্তানের পাশে দাঁড়াবেন যখন আমরা আর থাকব না? এটাই সত্যি। এবং এটাই সমাধান।
এটি আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব,
কারণ আমাদের সন্তানদের যত্নে আর কেউ নেই — শুধু আমরা।
হয়তো অন্য কোনও পথও আছে — আমরা সবাই মিলে তা খুঁজে নিতে চাই।
মঞ্চ এখন প্রস্তুত, আর কিছু দিন অপেক্ষা।

গত শনিবার এক মাঝবয়সী ভদ্রমহিলা, প্রতিমা দেবী (নাম পরিবর্তিত), চেম্বারে ঢুকলেন। বসেই বললেন,“ডাক্তারবাবু, আমি কিন্তু পেশে...
26/10/2025

গত শনিবার এক মাঝবয়সী ভদ্রমহিলা, প্রতিমা দেবী (নাম পরিবর্তিত), চেম্বারে ঢুকলেন। বসেই বললেন,
“ডাক্তারবাবু, আমি কিন্তু পেশেন্ট নই, আমার মেয়েই পেশেন্ট।”

জিজ্ঞাসা করলাম, “তাহলে উনি আসেননি কেন? বয়স কত আপনার মেয়ের?”
তিনি বললেন, “বয়স চৌদ্দ। কিন্তু ও আসতে পারবে না।”
“কেন? কী হয়েছে?”

প্রতিমা দেবী একটু থেমে বললেন,
“ও ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। গত এক বছর ধরে পিরিয়ড শুরু হয়েছে, কিন্তু প্রতি মাসে খুব বেশি ব্লিডিং হয়। আর যখন পিরিয়ড হয়, ও নিজের হাইজিন মেন্টেন করতে পারে না। জামাকাপড়, বিছানা সব নোংরা করে ফেলে। তাই ভাবছিলাম, পিরিয়ড বন্ধ রাখার কোনো উপায় আছে কি? যেমন ধরুন, ইউটেরাস বাদ দেওয়া বা অন্য কিছু?”

তাঁকে বোঝানো হল, “দেখুন, ইউটেরাস বাদ দেওয়া এই বয়সে খুবই কঠিন ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। একবার করলে সেটা আর ফেরানো যায় না। বরং আমরা কিছু ওষুধ দিতে পারি যাতে পিরিয়ড কমে যায় বা তিন-চার মাস পরপর হয়। এগুলো রিভার্স করা যায়, মানে চাইলে পরে বন্ধও করা যায়।”

তিনি আগ্রহ নিয়ে বললেন, “হ্যাঁ, কী কী উপায় আছে বলুন।”
বিস্তারিত ভাবে সব বুঝিয়ে বলা হল।

কিন্তু কথার ফাঁকে হঠাৎ দেখলাম, তাঁর চোখে জল।
“ডাক্তারবাবু, এই মেয়েকে নিয়ে আমার খুব কষ্ট হয়,” তিনি বললেন। “ওর বাবা তিন বছর আগে মারা গেছেন।”
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “তাহলে আপনি একাই সব সামলান? মেয়ে স্কুলে যায়?”
“হ্যাঁ, বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের একটা স্কুলে পড়ে। কিন্তু বুদ্ধিশুদ্ধি খুব একটা বাড়েনি, নামমাত্র পড়াশোনা করে।”

চেম্বারের বাইরে তখন রোগীরা অধৈর্য হয়ে উঠছেন—“একজন পেশেন্টের এতক্ষণ লাগে নাকি?”

কিন্তু প্রতিমা দেবী থামলেন না। বললেন,
“এখন তো শুনি প্রেগন্যান্সির সময়েই নাকি জানা যায় বাচ্চার ডাউন সিনড্রোম আছে কিনা। আমাদের সময় তো এসব ছিল না। তখন আমার বয়স ছিল পঁচিশ।”

“আসলে ২০১১ সালে আপনার মেয়ের জন্মের সময়ও এই টেস্টগুলো ছিল। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে ভাবা হতো ৩৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদেরই এই টেস্ট দরকার, কিন্তু এখন আমরা বলি—প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলারই এই স্ক্রিনিং করা উচিত। কারণ প্রতিটা বাচ্চাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই টেস্টে শুধু ডাউন সিনড্রোম নয়, আরও অনেক জন্মগত ত্রুটি—যেমন হার্ট, কিডনি, বা মস্তিষ্কের গুরুতর সমস্যা—ধরা যায়। যদি এমন কিছু ধরা পড়ে যা চিকিৎসায় সম্ভব নয়, তাহলে প্রয়োজনে গর্ভপাত করে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়। শুধু দরকার ঠিক জায়গা থেকে অত্যাধুনিক টেস্ট করা”

তিনি চুপ করে কিছুক্ষণ বসে রইলেন, তারপর বললেন,
“জানেন, আমার ৩০ বছর বয়সে আরেকটা প্রেগন্যান্সি হয়েছিল। বাচ্চাটা জন্মেছিল, কিন্তু তিন মাসের মাথায় মারা যায়। হার্টে ফুটো ছিল, বুকেও ইনফেকশন হয়েছিল। পরে জানা যায়, সেও ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিল।”

তারপর যে কথাটা বললেন, সেটা শুনে সত্যিই মনটা ভারী হয়ে গেল।
তিনি বললেন,
“ডাক্তারবাবু, অনেক কষ্টের কথা বলছি, কিন্তু এখন ভাবি—বাচ্চাটা মারা গিয়েছিল, তাতেই হয়তো ভাল হয়েছে। না হলে আজ আমি কীভাবে দুটো ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত বাচ্চাকে একা মানুষ করতাম? একটাকে নিয়েই হিমশিম খাচ্ছি।”

তার কথায় একটা অসহায় বাস্তবতার ভার ছিল।
চেম্বারের বাইরে এখনও রোগীদের আওয়াজ, কিন্তু ভিতরে একটা গভীর নীরবতা নেমে এল।

মনে পড়ল—অক্টোবর মাস হচ্ছে Down Syndrome Awareness Month। অথচ এখনো আমাদের সমাজে ডাউন সিনড্রোম নিয়ে পর্যাপ্ত সচেতনতা নেই।

ডাউন সিনড্রোমই হলো শিশুদের জন্মগতভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। অথচ সময়মতো সচেতনতা, স্ক্রিনিং, আর পরামর্শ থাকলে অনেক পরিবারকে এই অসহনীয় কষ্ট থেকে বাঁচানো যেত।

লেখা: ডাঃ সুজয় দাশগুপ্ত

26/10/2025

ডিপ্রেশন মানে শুধু কান্নাকাটি করা বা ঘরের কোণে একা একা বসে থাকা নয় ডিপ্রেশনের আরো অনেক সিম্পটম আছে।

#ইন্দ্রনীল

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Indranil Saha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Indranil Saha:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram