Dr Sujoy Dasgupta

13/09/2025

13/09/2025

দাদা, দু গালে একে দেবো?
দশ টাকা!
দাদা, হেয়ার ব্যান্ড 20 টাকা দেবো?

ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের খেলা যেই দেখতে যান না কেনো, এদের মতো ছেলেদের ঠিক দেখতে পাবেন! ফুটবল মরশুমটায় এই ছোট্ট ছোট্ট জিনিস বিক্রি করে সংসারের অর্থ যোগান দেয় এরা!

কল্যাণী থেকে বারাসাত, নৈহাটী থেকে বারাকপুর স্টেডিয়াম, অথবা যুবভারতী তো আছেই, সব জায়গায় এরা আছে! একবার মনে আছে, যুবভারতীতে খেলা দেখতে গেছিলাম, একটা ছেলে(ছবির ছেলেটার মতো বয়েস)কাকুতি মিনতি করছে, বেচারা সকাল থেকে একটাও ব্যান্ড বিক্রি করতে পারেনি! খারাপ লেগেছিলো! তবু এরা আছে বলেই ফুটবলটা আজও রঙিন আছে ! সেটা লাল হলুদ হোক বা সবুজ মেরুন!

জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়, তবে তোদের এই লড়াই নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে টিকিয়ে রাখার লড়াই ! যে যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস! দেখা হবে আবার, ময়দানের কোনো রাস্তায়!!!হাতে ব্যান্ড, পতাকা নিয়ে!

দাদা,ব্যান্ড দেবো!!! 20 টাকা !!!
দাদা, দু গালে একে দেবো!!! দশ টাকা !!

ছবি এবং লেখা সৌজন্যে সামাজিক মাধ্যম

13/09/2025

Soumya Chattopadhyay লিখেছেনঃ

পিজির সামনে এম্বুলেন্স থেকে যে ছেলেটা একটাও স্ট্রেচার পায়নি বলে পাঁজাকোলা করে নিজের মাকে নামাচ্ছে, ছোট্ট কুঁকড়ে যাওয়া মায়ের শরীর। ছেলেটার অনেক দূরে বাড়ি, অনেক। গলতার বাড়ি থেকে ভোরবেলা বেড়িয়ে ছিল মাকে নিয়ে। মা ওঠে অনেক ভোরে। ছেলেটা যখন মাকে দাওয়ায় দেখে তখন অর্ধেক বন্ধ মুখ বেঁকে গেছে। ঘাম কপালে গলায়। নাক দিয়ে রক্ত দু-তিন ফোঁটা। সেখান থেকে ভ্যানো করে মাকে নিয়ে এসেছে ছেলেটা। গলতা, বোরা পার করলে তবে আরামবাগ।

আরামবাগ হসপিটালের ডাক্তারবাবু ছেলেটাকে বলেছে একবার কোলকাতা গিয়ে দেখো যদি। এম্বুলেন্সের বন্দোবস্ত করেছে ছেলেটা। পিজির বাইরে ফড়ের দল ছেলেটাকে মাপছে, বলছে দশহাজার টাকার কমে হবে না। অন্তত দশ। ছেলেটা বলছে, কাঁদছে না কিন্তু, একদম কাঁদছে না। শুধু বলছে। বলছে, 'শরীরটা শক্ত হয়ে গেছে দেখো মায়ের। ঠাণ্ডা গা মায়ের, তোমরা একবার দেখবে? একবার দেখো।' ছেলেটা তাকিয়ে আছে মায়ের মুখের দিকে। বেঁকে যাওয়া মুখ দেখে মনে হচ্ছে যেন একচিলতে হাসি। ছেলেটাকে ঘিরে ধরেছে দালালের দল। কানের কাছে সরীসৃপের মতো হিসহিস করছে, বলছে, 'আচ্ছা .. আটহাজার টাকা দিলেই হবে। ক্যাশ দাও, ক্যাশ',..ছেলেটাকে আঙ্গুল তুলে দেখাচ্ছে, ঐ দেখো, সাইডেই তো এটিএম।

বরানগর মেট্রোস্টেশানে নেমেই হাইরোডের পাশের ঢালু দিয়ে একটা পিচরাস্তা নেমে গেছে। রোজ একটা স্ট্রীটলাইট জ্বলে, আজ নেই। বছর তিরিশের একটা মেয়ে হনহন করে হাঁটছে। জোরে হাঁটায় নাকের পাটা ফুলে উঠেছে, মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম। ২০১৬ থেকে ২০২৫, নটা বছর কেটে গেছে। স্কুল- সার্ভিস পরীক্ষা, লিস্টে নাম, কোর্ট-কাছারি, পার্টীর দাদা সবকিছু মিলিয়ে লম্বা নটা বছর। স্কুলটিচার হবার স্বপ্ন থেকে আয়া হবার নবছর। নাইট শিফটে পয়সা বেশী। আগের বাড়িটাতে নাইট শিফটে ফেরার সময় ভোরবেলা লিফটের ভেতর কোলাপ্সিবল গেটের ওপর জাপটে ধরেছিলো মেয়েটাকে।

শুধু আবছা মনে পড়ে লোকটার দোক্তার দাগওয়ালা দাঁত, মুখটা ব্রণর দাগে এবড়ো খেবড়ো। এই বাড়িটাতে টুকটাক গ্রীলের ঝুল ঝাড়া, আদা রসুন বাটা এগুলোও করতে হয়। আয়া সেন্টারে কমপ্লেন যাতে না করে, তাই মেয়েটা রাজী হয় আজকাল। মেয়েটা কুঁকড়ে যাচ্ছে একটু একটু করে রোজ। বাবার একমাসে ইনসুলিন বাক্সের দাম পাঁচ হাজার সাতশো তিরিশ টাকা। মেয়েটা হাঁটছে হনহন করে, আজ রাস্তায় আলো নেই একটা। নাইট শিফটে পয়সা বেশী।

বাইপাসে ধারে মারলিন গ্রুপের সোসাইটির ভিতরটা আশ্চর্য একটা জগত। সবুজ কার্পেটের মত ঘাস, আর পাম গাছ। ফ্ল্যাটের সিকিয়রিটি গার্ড একটা বুড়ো হাবড়া লোক। লোকটা গ্রামের লোক, যাত্রা করেছে, গান গেয়েছে, গান বেঁধেছে কতো একটা বয়সে। সত্তর ছুঁই ছুঁই লোকটা শেষ রাতের আঁধার আর প্রথম ভোরের আলোয় একটা নীলরঙের ইউনিফর্ম পরে তাকিয়ে আছে শুনশান বাইপাসের দিকে। পায়ের তলায় ঘাসপাতা বৃষ্টি ভেজা, মাটির এক আশ্চর্য গন্ধ। মাটিরই তো লোক সে।

পূবদিক ফরসা হচ্ছে, জ্বলজ্বল করছে একটা তারা। চারবছর আগে আজকের দিনটাতেই বুড়োটার জোয়ান ছেলেটা চলে গেছিলো। মহামারী এসেছিলো, দুনিয়াজুড়ে অসুখ। শক্ত- সমর্থ ছেলেটা কদিনের জ্বরে চলে গেলো। বুড়ো বাপটার কিচ্ছুটি হলো না, বাপ বেঁচে রইলো। অপরাধী বাপটা সিকিয়োরিটি গার্ড হয়ে গেলো। বাপটা দেখছে পূব আকাশের তারাটাকে, আশপাশে নীলচে রঙের ভোর। পুজো আসছে, বুড়োটা এই সোসাইটির বাবুদের কাছে বোনাস পাবে। বোনাস মানে টাকা, অনেকগুলো। নাতিটাকে স্কুলে দেবার বয়স হচ্ছে।

আরেকটা ভোর হচ্ছে কোলকাতার বুকে। বুড়োটাকে একজন বোনাস দিচ্ছে, পুজোর একমাস আগেই। কড়কড়ে পাঁচশো টাকার একটা নোট। বলছে, ইয়ে রাখলে তু, .. বুড়োটা হাসছে, বলছে... ওকে,স্যার। বুড়োটার চোখে জল, ভোরের আলোয় পূব আকাশের নক্ষত্র মুছে যাচ্ছে একটু একটু করে। বুড়োটা তো বোকা, ভাবছে চোখের জল মুছে নিলেই আবার সে নক্ষত্র স্পষ্ট হয়ে যাবে। গলতার ছেলেটা মুখাগ্নি করবে। বসে আছে মায়ের পাশে চুপটি করে। মায়ের একরাশ চুল, ফরসা গোড়ালিতে আলতা গড়িয়ে গেছে। ডোম পেচ্ছাপ করে সবে বিড়ি ধরিয়েছে। ছেলেটা দেখছে মাকে, কাঁদছে না কিন্তু, একদম কাঁদছে না। মেয়েটা বাড়ি ফিরছে, ভোরের ট্রেনে এলোমেলো হাওয়া, ঘুম এসে গেছে মেয়েটার।

প্রতি জন্ম থেকে প্রতিটি মৃত্যু, আয় থেকে ব্যয়, প্রতিটা অধ্যায় লিখছে শহর। ঐ ছেলেটা, মেয়েটার, বুড়োটার নাম লিখছে এখন। এই এক্ষুনি, এই বাক্যটা লেখার সময়। আরেকটা ভোর, ... যেমন হয়ে এসেছে অনন্তকাল ধরে, আমাদের আজ কাল পরশুর গল্পে।

12/09/2025

Managing Committee Members of the Bengal Obstetric and Gynaecological Society (BOGS), 2025-26

12/09/2025

একটি বছর ষোলোর ছেলে আত্মহত্যা করেছে এবং তারা বাবা-মা, ওপেন এ.আই এবং স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে আইনি মামলা দায়ের করেছেন৷ ছেলেটি চ্যাট জিপিটিতে আত্মহত্যার পদ্ধতি অনুসন্ধান করে। ঘরের বর্ণনা দিয়ে জানতে চায় কোন জায়গায় ফ্যান থেকে ঝুলে পড়লে মৃত্যুর আগে অবধি তাকে কেউ খুঁজে পাবে না..

ব্যাপার হলো চ্যাটজিপিটি তার এই প্রতিটি ধারণা এবং প্রশ্নকে জাস্টিফাই করে৷ তাকে প্রতিরোধ করার বদলে প্রভোক করে। এই সমস্ত এ.আই মডেলের প্রগ্রামিংই এই পদ্ধতিতে করা। আপনার যে কোনও ভুল, ভ্রান্ত প্রশ্নকেও এরা সকলেই জাস্টিফাই করবে। আপনাকে শুধরে দেওয়ার বদলে আপনাকে গ্রাহ্যতা দেবে। যাতে আপনি আরও ইন্ডালজ হন। কারণ বিরদ্ধমত আজকাল কেউ শুনতে চায় না। সেইভাবেই ছেলেটির ধারণা গ্রাহ্যতা পেতে পেতে তার আত্মহত্যাপ্রবণতা এমন চরম মাত্রায় পৌঁছায়— যে ছেলেটি মারা যায়। মাত্র ষোলো বছর বয়সে!

তার বাবা-মা এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। কেন এই ধরণের চ্যাটবটে কোনও অ্যালার্ট থাকবে না? কেন একজন মানুষ মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে জেনেও তার পথ প্রতিরোধের বদলে তাকে আরও সেই খাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে? এইসূত্রেই লাক বাই চান্সে শাহরুখের করা আমার প্রিয়তম ক্যামিওর কথা মনে পড়ে। উনে মত ভুলনা, যো তুমহে তব জানতে থে, যব তুম কুছ নেহি থে৷ কিউঁকে ইয়েহি হ্যায়ঁ, যো তুমহে হামেশা সচ বোলেঙ্গে..

সমস্যা হলো, মানুষ ইয়েসম্যানে পরিণত হয় সফল মানুষের। তার ছায়ায় নিজেরও আখের গুছোতে৷ তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত। আর থাকা যায়ও। কারণ সেক্ষেত্রে আপনি একটা উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। কিন্তু এ.আই-এর ক্ষেত্রে সেই ব্যারিয়ার নেই। আপনি, জীবনের যে কোনও স্টেজে, যে কোনও বয়সে— যত শূন্য বা ভ্রান্ত কথাই লিখুন সে আপনাকে সঙ্গে দেবে। জাস্টিফাই করবে। কারণ তার ইমোশান নেই৷ তার কাছে আপনি নেহাৎ একটা ডেটাবেস। যাকে তোষামোদ করা তার কাজ। দ্যাটস ইট৷ আপনার উপকার হোক বা আপনি চুলোয় যান তার কিচ্ছু যায় আসে না। কিন্তু আপনার প্রিয় বন্ধুর আসে..

এই তোষামোদ প্রবণতাই শিশুদের মধ্যে চ্যাটবটকে বন্ধু হিসাবে ভাবার প্রবণতা বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ সব কথাতেই হ্যাঁ শোনার যে আনন্দ তাই তাদের অ্যাডিক্ট করে তুলছে এই স্বভাবের প্রতি৷ বন্ধু এবং লাইফ কোচের মতো তারা তাদের সমস্ত ধারণা উগরে দিচ্ছে চ্যাটবটে এবং ভুল-ঠিক বিন্দুমাত্র বিবেচনা না করে চ্যাটবট তাকে জাস্টিফাই করছে...

আরেকটি গবেষণায় জানা গেছে ভবিষ্যত প্রজন্মের মূল সমস্যা হবে ইন্টেলেকচুয়াল ওবেসিটি। অর্থাৎ অতিরিক্ত পরিমাণে এ.আই ব্যবহার মানুষের কগনিটিভ এবিলিটিকে দ্রুতহারে ধ্বংস করবে। কমবে ক্রিটিকাল থিংকিং এবং প্রব্লেম সলভিং-এর ক্ষমতা৷ কম্পিউটার এবং স্মার্টফোন আসার পর যেমন খেলার মাঠে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্যতা। শারীরিকভাবে অবক্ষয় হয়েছে আমাদের গোটা জেনারেশানের। তেমনভাবেই এ.আই-এর চূড়ান্ত প্রয়োগ পরবর্তী জেনারেশানকে ক্রমাগত মেন্টালি ওবিস করে তুলবে..

তবে সমাধান কী? শারীরিক জিমের মতো মেন্টাল জিমের সূচনা। কনশাসলি অ্যানালগে ফেরত যাওয়া৷ কাগজ-কলমের ব্যবহার বাড়ানো। সার্চ করার আগে নিজস্ব ব্রেন স্টরমিং-এর অভ্যেস। কিন্ডেলের পরিবর্তে হাতে তুলে নেওয়া বই। প্রতিদিন নিয়ম করে প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো এবং আরও যেভাবে পারা যায়, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম যন্ত্র মানবমস্তিষ্ককে সচল রাখা..

তবে কিছু ভালোদিকও রয়েছে৷ রয়েছে কিছু স্বস্তির খবরও। Ai can think but not feel. And it will take years to make them feel. And there is almost a certainty that this can't be possible. একজন মানুষের যে দু:খ, আনন্দ, ব্যথা। তার যে অনুভূতি। তাই তার সৃজনশীলতার মূল উৎসস্থল। AI-এর কাছেও এসবের অ্যাক্সেস রয়েছে৷ তবে ডেটা হিসাবে। অনুভূতি হিসাবে নয়। সে ইমিটেট করবে৷ অতীতের সমস্ত তথ্যের পারমুটেশান-কম্বিনেশানে একটা কিছু দাঁড় করানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু তুমুল বৃষ্টির পর রামধনুকে দেখার চোখ তার নেই। চূড়ান্ত মনভাঙার যন্ত্রণাও সে ভাবে না কখনও এবং প্রত্যেক মানুষের এই ব্যথার অনুভব ভিন্ন। যা ডেটা হিসাবে উপস্থিত নেই কোথাও।

কনসাসনেসকে বিজ্ঞান আজও স্পর্শ করতে পারেনি৷ সে শূন্যে পৌঁছে নক্ষত্রের বুকে নতুন প্রাণের সন্ধান পেলেও নতুন প্রাণের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা থেকে সে এখনও বঞ্চিত। মৃত্যুকে রুখতেও সে অপারগ চিরকালীন। ইনফরফেশান যুগ থেকে আমরা প্রবেশ করছি বুদ্ধিমত্তার যুগে। যেখানে নলেজের আর কোনও মূল্য থাকবে না। প্রকৃত বেঁচে থাকার একমাত্র পথ হবে বোধ। Wisdom..

ফিলোজফিকে আরও, আরও বেশি প্রয়োজন হবে মানুষের..

Arindam Mukhopadhyay এর লেখা

11/09/2025

Dr Soumen Das লিখেছেনঃ

রাশিয়ান ভ্যাকসিন

এই চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। কিন্তু আমরা সকলে যেন ক্যান্সার সেরে গেল ভেবে উৎসব শুরু করে দিয়েছি। বাস্তব হলো—এখনও অনেকটা পথ বাকি।

মাত্র ৪৮ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা হয়েছে। সবার শরীরে ইমিউন রেসপন্স তৈরি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ক্যান্সারের আকার কমেছে গড়ে ৬০-৭০ শতাংশ। কোন স্টেজে এই ফল পাওয়া গেছে, তার স্পষ্ট তথ্য নেই। তুলনায় সার্জারি, কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনে ক্যান্সার অনেক বেশি পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বড় কোনও আন্তর্জাতিক মানের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও এখনও হয়নি।

👉 ক্যান্সার ভ্যাকসিন বলতে বোঝায় শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে সে ক্যান্সার কোষকে চিনে আক্রমণ করতে পারে।
👉 ভ্যাকসিন হতে পারে প্রিভেনটিভ (সংক্রমণ-জনিত ক্যান্সার প্রতিরোধে যেমন HPV ভ্যাকসিন) বা থেরাপিউটিক (বিদ্যমান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যেমন mRNA বা অনকোলাইটিক ভ্যাকসিন)।
👉 রাশিয়ান mRNA ভ্যাকসিন কাজ করে শরীরের নির্দিষ্ট ইমিউন সিস্টেমকে অ্যাকটিভ করে। এই mRNA-এর কাজ অনেকটা শত্রুকে চেনানো এবং সেনাবাহিনীকে খবর দিয়ে যুদ্ধে আহ্বান করা। এখানে “র” এজেন্ট হলো ভ্যাকসিন, শত্রু হলো ক্যান্সার কোষ, আর সেনাবাহিনী হলো আমাদের ইমিউন সিস্টেম।

কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ—বৃহৎ ও দীর্ঘমেয়াদি ট্রায়াল ছাড়া এর কার্যকারিতা প্রমাণিত নয়। তাই একে এখনই “চিকিৎসার ভবিষ্যৎ” বলা যাবে না।

🔍 প্রশ্ন রয়ে যায়—এটি সত্যিই ভ্যাকসিন, নাকি ইমিউনোথেরাপির আরেক নতুন রূপ?

11/09/2025

Why should both husband and wife go to the doctor in case of male infertility?

No matter what the problem is, both should come to the same doctor to decide what treatment to take.

1. As time goes by, the s***m count gets worse, so if you treat only the wife's report, it may turn out that the s***m count is zero.

2. While treating only the husband, it is seen that the wife's age increases or the number of eggs decreases. Therefore, treatment should be done early.

Success story
A gentleman came to us with s***m problems. He kept saying, "First treat me, fix my s***m, then I will bring my wife."
We insisted, "That is not possible. Medicine will not fix your s***m-problem. If you delay, there will be nothing more to do."
Then he brought his wife. It turned out that the wife was close to 40 years old and her AMH was very low. Then they decided to do IVF.
If they had just insisted on fixing the s***m-problem, there might not have been any results.

11/09/2025

অতিরিক্ত বাইক চালানো এবং লিঙ্গ শিথিলতার সম্পর্ক

কীভাবে বাইক চালানো ED (Erectile Dysfunction)-এর কারণ হতে পারে:

কঠিন চাপের ফলে স্নায়ু ও রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত
বাইক চালানোর সময় সিট মলদ্বার ও যৌনাঙ্গের মাঝামাঝি এলাকার (perineum) উপর চাপ ফেলে—এখানে লিঙ্গের স্নায়ু ও রক্তনালি থাকে। দীর্ঘ সময়ে এই চাপ থেকে সমস্যা হতে পারে।

রক্তপ্রবাহ হ্রাস
একটি গবেষণায় দেখা গেছে নরওয়েতে পুরুষদের লম্বা দুরত্বের বাইক চালানোর ফলে ১৩%-এ ED এর সমস্যা দেখা গিয়েছিল।

তবে এতেও সবক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই:

সাপ্তাহিক ৩ ঘণ্টার বেশি চালানোর ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।
Massachusetts Male Aging Study অনুযায়ী যারা প্রতি সপ্তাহে ৩ ঘণ্টার বেশি বাইক চালায়, তাদের মধ্যে ED হওয়ার ঝুঁকি বেশি—but যারা কম সময় চালায়, তাদের মধ্যকার ঝুঁকি কম।

মানবদেহের বৈচিত্র্য ও অন্যান্য কারণ
হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ, ধূমপান/মদ্যপান ইত্যাদি কারণে ED হতে পারে; শুধুমাত্র বাইক চালানোর কারণ নয়।

কীভাবে ঝুঁকি কমানো যায়:

সিটের অবস্থান সঠিকভাবে ঠিক করুন:

সিট খুব বেশি উপরে বা নিচে না থাকা ভাল।

চাপ কমাতে মাঝে মাঝে দাঁড়ানো:

দীর্ঘ যাত্রার সময় মাঝে মাঝে উঠে হাঁটুন বা বসার ভঙ্গি বদলান। প্রতি এক দু ঘন্টা অন্তর কিছু সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকুন বা হাঁটুন, যাতে স্নায়ু ও রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকে।

পরিপূরক জীবনধারা বজায় রাখা:

নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ—এসবই যৌন স্বাস্থ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

এরকম একটি গবেষণাপত্রের লিংক এখানে দেওয়া হল: https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/32147498/

11/09/2025

Dr Manoj Mukhopadhyay লিখেছেন:

'এক্সকিউজ মি, প্লিজ'। ভিড়ের মধ্যে থেকে ভেসে এলো বাজখাঁই আওয়াজটা, একদম বিশুদ্ধ ব্রিটিশ অ্যাকসেন্ট। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিল বেড়িয়েছিলো অমৃতসরে। সেই মিছিলেই কালা আদমিদের ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে এলো এক ধলা, হাতে তার মোমবাতি। আবার গর্জে উঠলো তার বাজখাঁই কণ্ঠ: " উই ওয়ান্ট জাস্টিস"। কাম সারসে, এ যে স্বয়ং জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ার!

- মানে? আপনিই তো গুলি চালালেন? আপনার আবার কিসের জাস্টিস চাই?

- আমি চক্রান্তের শিকার। আমরা ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার করেছিলাম। ডিপ্রেশনে ভোগা দেশিগুলো সব কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে সুইসাইড করল। প্রমাণ আছে আমার কাছে,মৃতদের পকেট থেকে প্রেসক্রিপশন পাওয়া গেছে।



হতভম্ব জনতাকে আরো অবাক করে দিয়ে মিছিলের আরেকদিকে তখন আবির্ভুত হয়েছেন আরেক সাদা চামড়া। ওরে বাবা, এযে পাঞ্জাবের গভর্নর মাইকেল ও'ডায়ার!

- আপনি তো সেদিনই বললেন ডায়ার যা করেছে ঠিক করেছ। আপনি আবার এখানে?

- উই ওয়ান্ট জাস্টিস।কিছুলোক পাঞ্জাবকে বদনাম করতে চাইছে। এই প্রতিবাদ মিছিলেও সশস্ত্র হামলাকারী মিশে আছে, হয়তো তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে চায়। তাছাড়া এটাও জানানো দরকার আমাদের সেক্যুলার গভর্নমেন্ট কিন্তু এখানেও সেক্যুলার কাজই করেছ।

- মানে ?

- মানে হিন্দু-শিখ নির্বিশেষে সেদিন সবাইকে মারা হয়েছ। ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে রেয়াত করা হয়নি।



ততক্ষনে মিছিলে হাজির বুদ্ধিজীবী শিরোমনি প্রখ্যাত সাহিত্যিক রুডিয়ার্ড কিপলিং।

- আপনি না সাম্রাজ্যবাদের প্রবল সমর্থক? আপনার মতে তো আবার ডায়ার নাকি ভারতের রক্ষাকর্তা! তা এদিকে কি পথ ভুল করে?

- উই ওয়ান্ট জাস্টিস। এখন রাস্তায় না নামলে আমার বইয়ের বিক্রি কমে যাবে। বিবিসি রেডিওতে 'ঘন্টাখানেক সঙ্গে ছিঁড়ুন' অনুষ্ঠানেও ডাক পাবো না আর। জবাব চাই, জবাব দাও।

- কার থেকে জবাব চাইছেন ?

- আপনাদের টেগোর এর থেকে।

- কেনো? উনি আবার এখানে কি দোষ করলেন ?

- আদিখ্যেতা হচ্ছে? নাদের শাহের সেনা যখন দিল্লীতে অতো মানুষ মারলো ,তখন নাইট উপাধি প্রত্যাখানের কথা মাথায় আসেনি ?কেবল দুনিয়ার সামনে ব্রিটিশরাজকে বদনাম করার ফিকির।



রবি ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালে। ১৭৩৯ সনে নাদের শাহের আক্রমণের সময়ে তার বয়েস ঠিক কত ছিল সেই কঠিন অঙ্ক কষতে মিছিলের জনতা যখন ব্যস্ত, ঠিক সেই মুহূর্তে উল্টোদিক থেকে একটা ছ্যাকরা গাড়ি এসে থামলো মিছিলের মুখে। আজ শুধুই অবাক হবার দিন। কারণ গাড়ি থেকে নামলেন খোদ দেশের ভাইসরয়, চেমস্ফোর্ড সাহেব। পরনে ধপধপে সাদা জামা, নীল কোট, পায়ে হাওয়াই চটি আর সাথে তার পোষা একঝাঁক বিড়াল। সাহেব আদর করে এদের নাম রেখেছেন লি-বেড়াল। সে এক আশ্চর্য জানোয়ার মশায়। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বাইরে কোথাও কিছু অন্যায় দেখলে এরাই ভোল পাল্টে সিংহবিক্রমে গর্জে ওঠে সুতীব্র প্রতিবাদে। আর দেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই ওমনি চেমস্ফোর্ড সাহেবের চটিচাটা মিউমিউ মেনিবিড়াল। আবেগমথিত কণ্ঠে বক্তৃতা শুরু করলেন চেমস্ফোর্ড সাহেব:

" জনতার আবেগকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে এর চেয়ে অনেক বড়ো নারকীয় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে মরক্কোতে, যেখানে শাসক স্প্যানিশ; এ্যাঙ্গোলাতে পর্তুগিজ, কঙ্গোতে বেলজিয়ান বা লিবিয়াতে ইতালিয়ান শাসকদের বর্বরতার কথাও ভুললে চলবেনা। আমরা জানি এই মিছিলেও এইসব ব্রিটিশবিরোধী শক্তির প্রত্যক্ষ মদত আছে। যাইহোক, জনদরদী ব্রিটিশ সরকার নিহতদের পরিবারবর্গকে আর্থিক সাহায্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মৃতের প্রোফাইল অনুযায়ী তার রেটকার্ড ধার্য হয়েছে। পাঁচ হাজার থেকে রেট শুরু ,আর কেউ ডাক্তার হলে তার পরিবার দশ লক্ষ টাকা পাবে। এছাড়া হান্টার কমিশন গঠিত হয়েছে, তাই অপরাধীদের নিস্তার নেই। উই ওয়ান্ট জাস্টিস।"



এতদূর শুনে মিছিলের মাঝে দাঁড়িয়ে চোয়া ঢেকুর তুলতে তুলতে জেনারেল ডায়ারের স্বগোতক্তি:

" ধুর মরা এই হয়েছে এক হান্টার কমিশন। গত ছদিন যাবৎ আমাকে ডেকে ডেইলি সাতঘন্টা ধরে সেই একই প্রশ্নগুলো করে যাচ্ছে আর আমিও চপ-সিঙ্গারা গিলতে গিলতে সেই একই উত্তর দিয়ে যাচ্ছি। এত চপ-সিঙ্গারা খেয়ে আমার শালা অম্বল হয়ে গেলো"।



এদিকে কখন আবার মিছিলে যোগদান করেছেন সিডনি রাওলাট সাহেব। তার হাতে প্ল্যাকার্ড : 'এক দুই তিন চার, জনবিরোধী রাওলাট আইনের বহিস্কার'।

- এ আবার কেমন আঁতলামি? আপনিই তো যত নষ্টের গোড়া। এ তো আপনার কমিটির তৈরী আইন !

- আমরা আইনের রচয়িতা। ল এনফোর্সমেন্টের দায় কেন নিতে যাবো? তাই সবার সাথে আজ আমিও প্রতিবাদে সামিল। উই ওয়ান্ট জাস্টিস"।



তারপর মিছিলটা অমৃতসর থেকে ট্রাফালগার স্কোয়ার হয়ে হাতিবাগান পেরিয়ে যেইনা শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে ঢুকেছে, ওমনি--------------------------------------------------------------

ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। উল্টোপাল্টা খেয়ে পেটগরমের স্বপ্ন আরকি। বাস্তবের কোন ঘটনার সাথে মিল খুঁজেতে যাবেননা আবার। এক্সকিউজ মি, প্লিজ।

10/09/2025

রক্তে অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য আয়রন একটি অপরিহার্য পদার্থ। গর্ভাবস্থায়, শিশুর (গর্ভের ভেতরে) চাহিদা বৃদ্ধি এবং মায়ের শরীরে রক্ত উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে আয়রনের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। অতএব, মায়ের রক্তাল্পতা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে, গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে ভালো খাবারও প্রায়শই আয়রনের এই বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। অতএব, গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থার 3-4 মাস থেকেই আয়রনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ শুরু করা উচিত। দুর্ভাগ্যবশত, বেশিরভাগ আয়রন ট্যাবলেট মহিলাদের সহ্য হয় না, তার কারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে খারাপ স্বাদ, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম। এই সমস্যা মোকাবেলায়, আজকাল বাজারে LOW DOSE IRON পাওয়া যায়, যা প্রচলিত ডোজের মতোই কার্যকর কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
31 জুলাই 2025 তারিখে FOGSI (ফেডারেশন অফ অবস্টেট্রিক অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটিজ অফ ইন্ডিয়া) এর ইয়ং ট্যালেন্ট প্রোমোশন কমিটি ও লুপিন দ্বারা আয়োজিত "TOG ফাংশনাল প্রোটোকল অন আয়রন" বিষয়ক সভার কিছু ঝলক এখানে দেওয়া হল।

Iron is an essential substance required for production of haemoglobin which carries oxygen in blood. In pregnancy, the demand of iron increases because of increased requirements by the baby (inside the womb) and also an increased blood production by the mother's body. Therefore , there is a risk of developing anaemia in the mother. However, even the best diet often fails to meet this increased demand of iron in pregnancy. Therefore, pregnant women should start taking iron supplements after 3-4 months of pregnancy. Unfortunately, most of the iron tablets are poorly tolerated by the women because of side effects, especially bad taste, acidity, constipation and indigestion. To counteract this problem, nowadays LOW DOSE IRON is available in the market, which is as effective as the conventional dose but without such side effects.
Here are the glimpses of the meeting on "TOG Functional protocols on iron" organized by the Young Talent Promotion Committee of the FOGSI (Federation of Obstetric and Gynaecological Societies of India) and Lupin on 31 July 2025.