Dr. Suvro Banerjee

Dr. Suvro Banerjee হৃদরোগের চিকিৎসা ও প্রতিকার - The official FaceBook This Official Page is to grow awareness among general people about heart diseases and prevention.
(269)

Dr (Prof) Suvro Banerjee is a Senior Interventional Cardiologist performing Angiograms, Angioplasties, Pacemakers, ICD,CRT Implantations at Apollo Gleneagles Hospital.

12/01/2025

ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপের চিকিৎসা কখন শুরু করা উচিত ? ডা: প্রফেসর শুভ্র ব্যানার্জি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ- অ্যাপোলো মালটি স্পেশালিটি হসপিটাল, কলকাতা।

রক্তচাপ যতক্ষণ ১২০/৭০ অবধি রয়েছে, খুব দুশচিনতার কারণ থাকে না। কিন্তু উপরের রক্তচাপ ১৩০-১৪০ আর নীচের ৮০-৯০ যদি থাকে আর সেই সঙ্গে যদি শরীরে ডায়াবেটিস কিডনীর অসুখ, স্ট্রোক, হার্টের অসুখ ও অন্যান্য রিস্ক ফ্যাকটর থাকে তাহলে চিকিৎসা অবশ্যই শুরু করে দিতে হবে। আর সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ রক্তচাপ ১৪০/৯০ পৌঁছলে চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। আর রক্তচাপ যদি ১৩০/৮০ র উপরে যেতে শুরু করে তাহলে কিছু সংযম অবশ্যই শুরু করতে হবে যেমন সঠিক পরিমাণে ঘুম, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর আহার, ধূমপান বর্জন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা।

28/12/2024

ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ জিনিসটার প্রয়োজনীয়তা থাকলে, তা শরীরে ক্ষতির কারণ কেন হয়? ডা: প্রফেসর শুভ্র ব্যানার্জি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ- অ্যাপোলো মালটি স্পেশালিটি হসপিটাল,
কলকাতা।
ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপের মাধ্যমে হার্ট শরীরের সর্বত্র রক্ত সঞ্চালিত করে তাই এর নিশচয় প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সুতরাং রক্তচাপ খারাপ নয়।কিন্তু রক্তচাপ বেশী বা উচ্চ পরিমাপের হলে তা থেকে বিপদ ঘটতে পারে। শরীরের ধমনী গুলি উচ্চ রক্তচাপের ফলে ক্রমশ মোটা ও শক্ত হয়ে যায়, রক্ত চলাচলের পথ অবরুদ্ধ হয় । এটি হার্টের ধমনীতে হলে হার্ট অ্যাটাক, মস্তিষ্কর ধমনীতে হলে স্ট্রোক, চোখের ধমনীতে হলে দৃষ্টি শক্তির হ্রাস, পায়ের ধমনীতে হলে পেরিফেরাল ধমনীগত রোগ, কিডনীতে হলে কিডনী সংক্রানত অসুখ হতে পারে। তাই এই রক্তচাপকে নিয়নত্রিত মাত্রায় রাখা দরকার।
রক্তচাপ কতটা পরিমাপে থাকা উচিত ?
উপরের অর্থাৎ সিস্টোলিক প্রেসার ১২০ আর নীচের অর্থাৎ ডায়াস্টোলিক প্রেসার ৭০ কে সাধারণত স্বাভাবিক এবং বিপদের সম্ভাবনা নেই বলে ধরা হয়। শরীরে অন্যান্য রোগ না থাকলে উপরের প্রেসার ১৪০ এবং নীচের প্রেসার ৯০ পর্যন্ত রিস্ক বাড়লেও ততটা বিপদের কারণ ধরা হয না। কিন্তু ১৪০/৯০ এর পর যখন রক্তচাপ বাড়বে তখন আপাতত সুস্থ মানুষেরও তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

22/12/2024

আমরা প্রায়ই শুনি ব্লাড প্রেসার বেড়েছে বা কমেছে কিংবা প্রেসার ধরা পড়েছে। এই ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ জিনিসটা আসলে কি? ডা: প্রফেসর শুভ্র ব্যানার্জি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ- অ্যাপোলো মালটি স্পেশালিটি হসপিটাল, কলকাতা।

হার্ট বা হৃৎপিন্ড অনবরত পাম্প করে সারাজীবন ধরে শরীরের সর্বত্র ধমনী দিয়ে ব্লাড বা রক্ত পাঠায়। এই পাম্প করবার জন্য হার্টকে একটা চাপ বা প্রেসার দিতে হয় আর এটাকেই বলা হয় রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার।এটিই যন্ত্রের মাধ্যমে মাপা হয়।
তাহলে সিস্টোলিক আর ডায়স্টোলিক ব্লাড প্রেসার কি ?
পাম্প করবার জন্য হার্টকে সংকোচন ও প্রসারণ পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে অনবরত যেতে হয়। এই সংকোচনের সময় যে রক্তচাপ ঘটে তাকে বলে সিস্টোলিক বা উপরের ব্লাড প্রেসারের পরিমাপ আর যখন প্রসারণ ঘটে তখন তা ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসার বা নীচের পরিমাপ।

08/12/2024

শরীরচর্চা করলে কি সত্যি হার্ট ভালো রাখা যায়? ডা: প্রফেসর শুভ্র ব্যানার্জি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ- অ্যাপোলো মালটি স্পেশালিটি হসপিটাল, কলকাতা।
শরীরচর্চা করলে হার্টের ওপর কি প্রভাব পড়ে?
নিয়মিত মাঝারি বা দ্রুত গতিবেগ সমপন্ন শরীরচর্চা করলে তাতে হার্টের পেশীগুলি অনেক পুষ্ট হয় এবং তাতে রক্ত সঞ্চালন বেশী করে হয়। এর ফলে হার্টের দ্বারা ফুসফুস ও শরীরে অন্যান্য অংশে বেশী করে রক্ত সরবরাহ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে সারা শরীরের পেশীগুলিতে বেশী করে রক্ত সঞ্চালিত হয় আর রক্তে অক্সিজেন এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাতে সামগ্রিক ভাবে হার্টের পামপিং ক্ষমতার ওপর কম চাপ পড়ে। পেশীগুলির রক্ত থেকে অক্সিজেন বের করার ক্ষমতা উন্নত করে, পেশীগুলিতে আরও রক্ত পাম্প করার জন্য হৃদপিণ্ডের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে। এছাড়া এক্সারসাইজ স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করে যা হার্টের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলতে পারে।
শরীরচর্চা সমগ্র হার্টের সিস্টেমকে কি উপকারিতা দেয় ?
নিয়মিত শরীরচর্চা উচ্চ রক্তচাপের বিকাশকে বাধা দেয় বা বিলম্বিত করে এবং ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপযুক্ত ব্যক্তিদের রক্তচাপ হ্রাস করে। নিয়মিত এক্সারসাইজ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে পারে যা তখন হার্ট ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
কতটা শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা উচিত ?
সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মাঝারি তীব্রতার শরীরচর্চা করুন অথবা সপ্তাহে অন্তত 75 মিনিট জোরালো তীব্রতার শরীরচর্চা করুন। আপনি মাঝারি এবং জোরালো তীব্রতার সমান সমন্বয় করেও এক্সারসাইজ করতে পারেন। সপ্তাহে কয়েক দিন বা তার বেশি সময় ধরে এই শরীরচর্চা ছড়িয়ে দেওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখুন।

04/12/2024

সবসময় শুনবেন ধূম- পান খারাপ কারণ তা হার্ট ও অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করে। সত্যিই কি তাই। জেনে নিন।ডা: প্রফেসর শুভ্র ব্যানার্জি, অ্যাপোলো মালটি স্পেশালিটি হসপিটাল, কলকাতা।
ধূম- পান কেন হার্টের পক্ষে ক্ষতিকারক? ধূম- পানের ধোঁয়ার সঙ্গে প্রত্যেক ধূম- পায়ী অনেকটা বিষাক্ত হাইড্রোকার্বন, কার্বন মনোঅক্সাইড এবং নানা রাসায়নিক শরীরে গ্রহণ করেন। এটি নিয়মিত শরীরে যেতে থাকলে তা হার্টের এবং মস্তিষ্কর ভেতর যে রক্তনালীগুলো আছে তাতে ব্লক তৈরী করে, নালীগুলি সরু হতে থাকে আর রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি করতে থাকে। এরম চলতে থাকলে একসময় নালীগুলির মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে ।
ধূম - পান করলেই কি হার্ট অ্যাটাক হবে? না, তবে এটি হার্ট অ্যাটাকের হবার কারণগুলি তৈরী করে। একজন মানুষ যিনি ধূম - পান করেন তাঁর হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা একজন অধূম -পায়ীর তুলনায় দ্বিগুন থেকে চারগুণ। তাই এটি বিপদজনক।
ধূম - পান ছেড়ে দিলে কি বিপদের সম্ভাবনা কমে যাবে? একেবারে ছেড়ে দিলে দেখা গেছে একজন ধূম -পায়ী কয়েক বছরের মধ্যে একজন অধূম -পায়ীর মতন শারীরিক অবস্থা ফিরে পান।
ধূম -পান করেও কি স্বাস্থ্যকর থাকা যায়? চেষ্টা করুন ছেড়ে দিতে। সেই সঙ্গে সুসম খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত শরীরচর্চা সুস্থ জীবনযাত্রা গড়ে তুলুন।

09/11/2024

অতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপ হার্টের বিপদ ডেকে আনতে পারে। সাবধান হোন। ডা: প্রফেসর শুভ্র ব্যানার্জি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ- অ্যাপোলো মালটি স্পেশালিটি হসপিটাল, কলকাতা।

হার্ট ভালো রাখার একটি বিশেষ উপায় হল শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা।অনেক সময় আমরা বুঝতেও পারি না- দৈনন্দিন মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যাই আর তা নি:শব্দে হার্ট অ্যাটাকের রিস্ক ফ্যাকটর হয়ে দাঁড়ায়।
১)কিভাবে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ হার্টের বিপদ ডেকে আনে?
মানসিক চাপ রক্তে শর্করা বৃদ্ধি, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ এগুলির পরোক্ষ কারণ। এছাড়াও মানসিক চাপ থেকে ওজন বৃদ্ধি, অবসাদ, অপর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম বা শারীরিক কার্যকলাপ না করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরী হওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান এসবও হয়। এই সবগুলো ফ্যাকটর ক্রমশ হার্টের অসুখের জন্য রিস্ক ফ্যাকটর হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি দেখা গেছে মানসিক চাপ খুব অল্প বয়সেও উপরে বলা কারণগুলি ঘটিয়ে হার্টের ক্ষতি করা শুরু করে।
২)মানসিক চাপ বা স্ট্রেস হবার লক্ষণ কিকি ?
অল্পেতেই বেশী রাগ হওয়া, অতিরিক্ত বিরক্তি প্রকাশ, খিটখিটে স্বভাব হয়ে যাওয়া, সদা অস্থিরতা বোধ করা, দুর্বল বোধ করা, হজম না হওয়া, ধূমপান মদ্যপান বৃদ্ধি, ঘুম কমে যাওয়া, সদা অধৈর্য ও অবসাদ গ্রস্ত বোধ করা, বুক ধড়ফড় করা, মন খারাপ করে থাকা, ঘন ঘন মাথা ব্যাথা করা ইত্যাদি অনেক কিছুই মানসিক চাপের লক্ষণ হতে পারে।
৩)মানসিক চাপ কি বিপদ ডাকতে পারে?
আসলে মানসিক চাপ নয়, আপনি মানসিক চাপকে কিভাবে নিচ্ছেন বা তার মোকাবিলা করছেন সেটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ । মানসিক চাপের ফলে যদি শরীর ও মন দুইই ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে নিশচয় তা বিপদের কারণ। কিন্তু মানসিক চাপের কারণ বুঝতে পেরে সেটাকে চ্যালেঞ্জের মতন নিয়ে তা থেকে বেরোবেন কি করে সেটা চেষ্টা করলে শরীর ও মন দুইই রেহাই পাবে।
৪)মানসিক চাপ কমাবেন কি করে?
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম কিংবা যোগা করুন - এতে শরীর ও মন দুই ভালো থাকে।জীবনে যা ভালো লাগে যেমন বই পড়া গান শোনা বা আপনার কোনো বিশেষ হবি থাকলে তার জন্য সময় বের করুন। না বলতে শিখুন। নিজের ওপর অতিরিক্ত কাজ চাপাবেন না, যেটুকু সম্ভব সেটুকু করুন। চা কফি মদ্যপান অর্থাৎ যে কোনো উত্তেজক পানীয় পান করবার পরিমাণ কমান। ধূমপান কমান বেশী করে জল খান। বন্ধু বান্ধব আতমীয় স্বজন পরিবার যাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান বেশী করে। অস্বাস্থ্যকর খাবার কমান। বেশী তৈলাক্ত মসলাযুক্ত খাবার কমিয়ে দিন। সঠিক পরিমাণে ঘুমোচছেন কিনা দেখুন। কাজের ফাঁকে পাওয়ার ন্যাপ বা একটু ঘুমিয়ে নিয়ে দরকার হলে ঘুমের পরিমাণ পুষিয়ে নিন। বেশী রাত জাগা কমান। মেডিটেশন করতে পারেন - এতে অনেকে ভালো ফল পেয়েছেন। শরীরের ওজন বেশী থাকলে চেষ্টা করে কমিয়ে ফেলুন। বেশী রাগ মন খারাপ ইত্যাদি হলে তা কমাতে হবে কারণ এতে মানসিক চাপ বৃদ্ধি হয়।

এ বিষয়ে একটি লেখা শনিবার প্রকাশিত হবে! মানসিক চাপ বা স্ট্রেস নিয়ে।
06/11/2024

এ বিষয়ে একটি লেখা শনিবার প্রকাশিত হবে! মানসিক চাপ বা স্ট্রেস নিয়ে।

01/11/2024

হার্ট অ্যাটাকের পারিবারিক ইতিহাস থাকা কি সত্যি ভয়ের কারণ? - পড়ুন ও জানুন। ডা: প্রফেসর শুভ্র ব্যানার্জি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, অ্যাপোলো মালটিস্পেশালিটি হসপিটাল, কলকাতা।
অনেকসময় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীদের জিজ্ঞেস করেন হার্ট অ্যাটাকের কোনো পারিবারিক ইতিহাস আছে কিনা। পারিবারিক ইতিহাস রোগীর ক্ষেত্রে কেন ও কোথায় গুরুত্বপূর্ণ দেখে নেওয়া যাক।
১)পরিবার বলতে এক্ষেত্রে কাদের কথা বলা হয়?
পরিবার বলতে বোঝাবে বাবা, মা, ভাই বা দাদা, বোন বা দিদি অর্থাৎ সোজাসুজি রক্তের সম্পর্ক যাঁদের সঙ্গে। শুধু সেটা নয়, পরিবারের উপরোক্ত পুরুষ সদস্যদের মধ্যে ৫৫ বছরের কম বয়স আর মহিলা সদস্যদের মধ্যে ৬৫ বছরের কম বয়সে যদি হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে তবেই তা পারিবারিক ইতিহাস হিসেবে গ্রহণযোগ্য, নয়ত নয়। সুতরাং কোনো সদস্যের যদি ৮০ বছরে হার্ট অ্যাটাক হয় তবে তা পারিবারিক ইতিহাস হিসেবে গ্রাহ্য হবে না।
২)যদি এরম কম বয়সে পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস থেকে থাকে তাহলে কেন সাবধান হবেন?
দেখা গেছে উপরোক্ত কম বয়সের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে পরের জেনারেশনে তা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে প্রভাব যে ফেলবেই এমন নয়, কিন্তু সাবধান থাকতে হবে। সুতরাং ভয় পাবেন না বা অতিরিক্ত দুশচিনতা করবেন না। কিন্তু সচেতন থাকুন।
৩)কারা সাবধান হবেন?
উপরোক্ত ইতিহাস আছে এবং সেই সঙ্গে যদি আপনার এই কারণগুলি একটি বা একটির বেশী জীবনে থেকে থাকে - উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করা, শরীরে বেশী ওজন, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশী, ধূমপানের অভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকা হয় এমন কিংবা ব্যায়াম বা শারীরিক কার্যকলাপ করা হয় খুব কম এমন জীবনযাত্রা যাঁদের রয়েছে।এক্ষেত্রে যাঁদের পারিবারিক ইতিহাস নেই তাঁদের চেয়ে যাঁদের পারিবারিক ইতিহাস আছে তাঁদের রিস্ক বেশী।
কি করবেন তাহলে?
বছর চল্লিশের পর চেক আপ করান। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা তৈরী করতে পারে উপরোক্ত কারণগুলি - সেগুলো কমাবার বা নির্মূল করবার চেষ্টা করুন। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখুন।

23/05/2024

পেসমেকার বসানো হয়েছে? শুনে নিন কি করবেন কি করবেন না। ডা: প্রফেসর শুভ্র ব্যানার্জি- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, কলকাতা।

21/10/2023

সকলকে শারদ শুভেচ্ছা! পুজো ভালো কাটুক

08/10/2023

মাঝরাতে বুকে ব্যাথা হলে কি করবেন? প্রফেসর ডা: শুভ্র ব্যানার্জি- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল, কলকাতা।
প্রথমেই বলি সব ধরণের বুকের ব্যাথা কিনতু হার্টের সমস্যার কারণে হয় না। সুতরাং ভয় পাবেন না। বুকে ব্যাথা বা শ্বাসকষ্ট হলেই যে সেটা হার্টের কারণে হচ্ছে, তা নাও হতে পারে আবার হতেও পারে।
কি করবেন?
জল খান, ঘরে অ্যান্টাসিড থাকলে খান। গ্যাসের বা অ্যাসিডিটির কারণ হলে কমে যাবে। অ্যানজাইনার ইতিহাস থাকলে জিভের তলায় সরবিট্রেট জাতীয় ওষুধ রেখে দেখুন। যদি তাতেও সমস্যা থাকে তো কাছাকাছি কোনো হাসপাতালের এমারজেনসী বিভাগে যান। ডাক্তার ইসিজি, রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসা শুরু করবেন। হাতের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের নম্বর রাখবেন। অ্যাম্বুলেন্স ডেকে বা কাউকে বলে গাড়ীতে করে হাসপাতালে যেতে চেষ্টা করুন। এ সময়ে একা বা নিজে গাড়ী চালিয়ে যাবার চেষ্টা করবেন না।
সবথেকে প্রয়োজনীয় কথা - মনে রাখবেন বুকে ব্যাথা বা নি:শ্বাসের কষ্ট হলে কমে যাবে এরম ভেবে কখনই মিনিট কুড়ি থেকে আধঘণ্টার বেশী অপেক্ষা করবেন না। যদি হার্ট অ্যাটাকের কারণে এই সমস্যা হয় তো ডাড়াডাড়ি চিকিৎসা শুরু করা দরকার কারণ দেরী হলে হার্টের পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর তখন চিকিৎসা করেও আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো সম্ভব নাও হতে পারে। সুতরাং ঐ কুড়ি মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা সময়ের বেশী অপেক্ষা করবেন না। হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

29/07/2023

অ্যামাইলয়েড হার্টের অসুখ কি? আজকে এই অসুখ সম্পর্কে পড়ুন ও জানুন। ডা: প্রফেসর শুভ্র ব্যানার্জী- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ - অ্যাপোলো মালটিস্পেশালিটি হসপিটাল, কলকাতা

এই অসুখের নাম সচরাচর শোনা যায় না। তাহলে এটি নিয়ে কেন আলোচনা করছি? এটি নতুন কোনো অসুখ নয়, অনেকদিন ধরেই আছে, কিন্তু কোনো চিকিৎসা ছিল না। এখন এটার কথা বলছি কারণ এই অসুখের এখন একটি চিকিৎসা বা ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।
অ্যামাইলয়েড হার্টের অসুখ কি?
অ্যামাইলয়েড হলো এক ধরণের প্রোটিন যেটা নানা কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জমা হতে পারে এবং তাদের মধ্যে যখন এই প্রোটিন হার্ট বা হৃৎপিণ্ডে জমা হয় তখন তা থেকে অ্যামাইলয়েড হার্টের অসুখ হয়।
এই অসুখে কি হয়?
এই প্রোটিন জমা হবার ফলে হার্টের পেশী বা মাসলগুলো মোটা হয়ে যায় এবং তার ফলে হার্টের ভেতরের প্রেসার বা চাপ বেড়ে গিয়ে হার্ট ফেলিওর হতে পারে। এছাড়াও হার্টের ভেতরে যে সব বৈদ্যুতিক পরিবাহী টিস্যু ( ইলেকট্রিকাল কনডাকশন টিস্যু) আছে তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে যার ফলে অনিয়মিত হার্ট রেট যেমন এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন বা হার্ট ব্লক হতে পারে । এছাড়া হার্টের ভালভের ওপর প্রভাব ফেলে হার্টের ভালভ সরু হয়ে যাওয়া বা এওটিক ভালভ স্টেণোসিস করতে পারে।
এর লক্ষণ কি কি?
হার্ট ফেলিওরের লক্ষণ যেমন নিশ্বাসের কষ্ট, পা ফোলা, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি।
কিভাবে বোঝা যাবে এ অসুখ হয়েছে ?
ইকো কার্ডিওগ্রাফি করে যদি দেখা যায় হার্টের পেশী বা মাসল খুব মোটা হয়ে গেছে এবং তার অন্য কোনো কারণ যেমন উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে না তখন এ অসুখের জন্য আরো পরীক্ষা দরকার হতে পারে। ইকো ছাড়াও এই অসুখ নির্ণয় করার কিছু পরীক্ষা আছে যেমন ই সি জি, কার্ডিয়াক এম আর আই, পারফিউশন স্ক্যান কখনো বা বায়োপসিরও দরকার হতে পারে।
চিকিৎসা কি?
এই অসুখ দু ধরণের হয়। একটিকে বলা হয় এ এল অ্যামাইলয়েড যেখানে ইমিউনো গ্লোবিওলিন নামে এক ধরণের প্রোটিন জমা হয় এবং তার চিকিৎসা সাধারণত হেমাটোলজিসট রাই করে থাকেন । অন্যটি হল ট্রানসথ্রেটিং অ্যামাইলয়েড যার জন্য একটি বিশেষ ওষুধ পাওয়া গেছে যেটি দিলে দেখা যাচ্ছে অসুখ খুব ধীরে অগ্রসর হয় এবং মানুষ বেশীদিন বাঁচতে পারে। এই ওষুধের নাম হল টাফামেডিস যা এখন আমাদের দেশে পাওয়া যাচ্ছে।

Address

Salt Lake City

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Suvro Banerjee posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Suvro Banerjee:

Share

Category