Dr. Sandipan Ghosh, Psychiatrist

Dr. Sandipan Ghosh, Psychiatrist মনের স্বাস্থ্য, সচেতনতা ও মনোবিজ্ঞানের প্রসারের জন্য আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস এই পেজের মাধ্যমে।

07/09/2025
❓তোমার আসল জীবনসঙ্গী কে?মা?বাবা?স্ত্রী বা স্বামী?সন্তান?বন্ধু?না, একদমই না।👉 তোমার আসল জীবনসঙ্গী হলো তোমার নিজের শরীর।যখ...
29/06/2025

❓তোমার আসল জীবনসঙ্গী কে?

মা?

বাবা?

স্ত্রী বা স্বামী?

সন্তান?

বন্ধু?

না, একদমই না।

👉 তোমার আসল জীবনসঙ্গী হলো তোমার নিজের শরীর।

যখন তোমার শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেবে, তখন কেউ তোমার সঙ্গে থাকবে না।
তুমি আর তোমার শরীর — জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একসাথে থাকো।

তুমি তোমার শরীরের সঙ্গে যেমন ব্যবহার করো, সেটাই একদিন তোমার কাছে ফিরে আসবে।
যত বেশি তুমি শরীরের যত্ন নেবে, শরীরও তোমার তত বেশি খেয়াল রাখবে।

🧘‍♂️ কী করছো তুমি নিজের শরীরের জন্য?

তুমি কী খাও,

কতটা বিশ্রাম নিচ্ছো,

মানসিক চাপ কীভাবে সামলাও,

শরীরকে ফিট রাখার জন্য কী করছো —
এসবই ঠিক করে দেয় শরীর তোমাকে কতটা সাড়া দেবে।

📍 মনে রাখো:

তোমার শরীরই একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা, যেখানে তুমি বাস করো।

এটা তোমার সম্পদ, আবার দায়িত্বও।

কারও পক্ষে এটা তোমার হয়ে নেওয়া সম্ভব না।

কারণ তুমি নিজেই নিজের আসল জীবনসঙ্গী।

🧡 নিজের যত্ন নাও:

টাকা আসবে যাবে

আত্মীয়-বন্ধুরাও স্থায়ী নয়

কিন্তু তোমার শরীর, শুধু তুমিই তাকে রক্ষা করতে পারো

✅ কিছু উপকারি অভ্যাস:

প্রাণায়াম – ফুসফুসের জন্য

ধ্যান (Meditation) – মনের জন্য

যোগব্যায়াম – শরীরের জন্য

হাঁটা – হৃদয়ের জন্য

ভালো খাবার – পেটের জন্য

ভালো চিন্তা – আত্মার জন্য

ভালো কর্ম – দুনিয়ার জন্য

নিজের শরীরকে ভালোবাসো, কারণ সে-ই তোমার সবচেয়ে কাছের ও সত্যিকারের সঙ্গী। ❤️

"দামী গাড়িটা একসময় কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াল।ব্র্যান্ডেড কাপড়গুলো আসলে অতটা দরকারি ছিল না।আমি খুঁজছিলাম আনন্দের ক্ষণিক...
19/06/2025

"দামী গাড়িটা একসময় কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াল।
ব্র্যান্ডেড কাপড়গুলো আসলে অতটা দরকারি ছিল না।
আমি খুঁজছিলাম আনন্দের ক্ষণিক উত্তেজনা, কিন্তু আসল স্বাধীনতা নয়।

আসল সম্পদ হলো — এমনভাবে ঘুম থেকে ওঠা, যেদিন আপনার মাথায় কোনো দায়িত্ব নেই।
এই সত্যিটা বুঝতে সারাজীবন নষ্ট করে ফেলবেন না।

দামী গাড়ি, মোবাইল বা ডিজাইনার ব্যাগ লক্ষ্য হওয়া উচিৎ নয়।

আসল লক্ষ্য হলো —
একটা শান্ত মস্তিষ্ক,
কিছু ফাঁকা সময়,
ভালোবাসার মানুষগুলো পাশে থাকা,
আর প্রতিদিন সকালে আনন্দ নিয়ে জেগে ওঠা।"

13/06/2025

🌟 নতুন করে শুরু করুন – ধাপে ধাপে পথ চলা

আপনি যদি নতুনভাবে জীবন শুরু করতে চান, তাহলে এই ৪টি দিক মেনে চলুন👇

🔹 ১. ক্যারিয়ার (Career)
✅ কী করলে আপনি আনন্দ পান এবং জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পান, তা নিয়ে ভাবুন।
✅ বছরে, মাসে এবং সপ্তাহের পাঁচটি লক্ষ্য লিখে ফেলুন।
✅ তিনটি নতুন স্কিল শেখার জন্য সময় বের করুন।
✅ অনুপ্রাণিত করে এমন মেন্টর বা সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
✅ বার্নআউট এড়াতে কাজের সীমানা ঠিক করুন।
✅ নিজের "কেন" খুঁজে বের করুন – আপনি এই কাজগুলো কেন করতে চান।

🔸 ২. সম্পর্ক (Relationships)
❤️ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন – “ধন্যবাদ” বললে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।
🚫 টক্সিক (বিষাক্ত) মানুষের থেকে দূরে থাকুন।
📵 প্রিয়জনদের সঙ্গে “tech-free” সময় কাটান।
🛑 নিজের শক্তি বাঁচাতে সীমানা তৈরি করুন।
📞 যে বন্ধুর সঙ্গে অনেকদিন কথা হয়নি, তার খোঁজ নিন।
🎧 মনোযোগ দিয়ে অন্যের কথা শুনুন – সম্পর্ক উন্নত হবে।
👥 যারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে, তাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান।

🟢 ৩. স্বাস্থ্য (Health)
😴 প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমের রুটিন রাখুন।
🚶 দিনে অন্তত ১০,০০০ পা হাঁটার চেষ্টা করুন।
🧘 প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট ধ্যান করুন মানসিক শান্তির জন্য।
💧 পর্যাপ্ত জল পান করুন।
🥗 জাঙ্ক ফুড কমিয়ে পুষ্টিকর খাবার খান।
💪 স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিন, অবহেলা নয়।
🧍 বিরতিতে স্ট্রেচ বা হালকা ব্যায়াম করুন।

💖 ৪. আত্ম-মর্যাদা (Self-Esteem)
🧠 মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
📤 অপ্রয়োজনীয় ফাইল, ছবি, কন্টাক্টস ডিলিট করুন।
🌱 প্রতি মাসে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন।
📉 অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে নিজেকে বাস্তবভাবে মূল্যায়ন করুন।
🙏 কৃতজ্ঞতা চর্চা করুন – জীবনের ভালো দিকগুলোয় নজর দিন।
🌼 নিজের প্রতি সদয় হোন – ছোট অগ্রগতিও স্বীকৃতি দিন।

✨ নতুনভাবে জীবন শুরু করতে দেরি নয় – আজই শুরু হোক পরিবর্তন!

🔴OCD কী?অবসেসিভ-কাম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (OCD) একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে মানুষ বারবার চিন্তা (অবসেশন) এবং পুনরাবৃ...
31/05/2025

🔴OCD কী?

অবসেসিভ-কাম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (OCD) একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে মানুষ বারবার চিন্তা (অবসেশন) এবং পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ (কম্পালশন) করে। এই আচরণগুলো এমনভাবে বারবার আসে, যা ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।

🟢উদাহরণস্বরূপ:

কেউ বারবার হাত ধোয় ,কারণ সে মনে করে হাতে জীবাণু আছে।
কেউ বারবার দরজা চেক করে কারণ ভয় হয় দরজা ঠিকমতো বন্ধ হয়নি।

🟠জানেন কি?
OCD প্রতি ১০০০ জনে ১ জন শিশুকে প্রভাবিত করে।
OCD নারী ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে।
OCD-এর প্রায় ৭৫% রোগী কৈশোর বা তার আগে লক্ষণ দেখায়।

🟣OCD এর কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়সমূহ:

OCD-এর সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে নিচের বিষয়গুলো এই রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে:

পারিবারিক ইতিহাস
মানসিক চাপ বা ট্রমা
জীবনের বড় পরিবর্তন
সেরোটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্যহীনতা
শিশুদের মধ্যে ADHD, উদ্বেগ বা বিষণ্নতা OCD হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে

🟣OCD-এর উপসর্গ:

সাধারণত শৈশব বা কৈশোরে এর শুরু হয়, তবে অনেক ক্ষেত্রে পরিণত বয়সেও লক্ষণ দেখা যায়।

🟢অবসেশন (Obsessions):

অসুস্থতা বা জীবাণু নিয়ে অতিরিক্ত ভয়
জিনিসগুলো নিখুঁতভাবে না থাকা পর্যন্ত বারবার গুছানো
অনাকাঙ্ক্ষিত, নিষিদ্ধ বা ধর্মীয় চিন্তা
প্রিয়জনদের ক্ষতি হওয়ার ভয়

🔴কম্পালশন (Compulsions):

বারবার হাত ধোয়া
জিনিস বারবার চেক করা (যেমন দরজা, গ্যাস)
নির্দিষ্টভাবে জিনিস গুছিয়ে রাখা
বারবার গণনা করা
একি কাজ বারবার করা (যেমন কিছুকে ছোঁয়া)

🔴OCD এর চিকিৎসা:

OCD নির্ণয় করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা থেরাপিস্ট। চিকিৎসা সাধারণত দুটি ধাপে হয়:

1. ওষুধ – যেমন SSRI জাতীয় অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট

2. CBT (Cognitive Behavioral Therapy) – চিন্তা ও আচরণগত থেরাপি

স্কিজোফ্রেনিয়ার সাথে জীবন🟣স্কিজোফ্রেনিয়ার পরিসর:বিশ্বে প্রায় ২ কোটি মানুষ স্কিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে।স্কিজোফ্রেনিয়া নারী...
29/05/2025

স্কিজোফ্রেনিয়ার সাথে জীবন

🟣স্কিজোফ্রেনিয়ার পরিসর:

বিশ্বে প্রায় ২ কোটি মানুষ স্কিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে।

স্কিজোফ্রেনিয়া নারী ও পুরুষ উভয়কেই সমানভাবে প্রভাবিত করে।

সাধারণত এটি কিশোরোত্তর বা প্রাপ্তবয়স্কের প্রথম দিকে শুরু হয় (১৮–৩৫ বছর)।

🟢 পুরুষদের মধ্যে শুরু হয়: ১৮-২৫ বছর বয়সে
🟢 নারীদের মধ্যে শুরু হয়: ২৫-৩৫ বছর বয়সে

🟣স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানুষ:

👨‍🦱 একাকী এবং বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করে
👩‍🦰 সমাজ থেকে দূরে সরে যায়
👨‍🦳 অধিকাংশ সময় কর্মহীন হয়ে পড়ে
🧑‍🦲 সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে

🟣স্কিজোফ্রেনিয়া কী?

স্কিজোফ্রেনিয়া একটি মানসিক রোগ যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি বাস্তবতা এবং কল্পনার মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। এতে চিন্তা, অনুভব এবং আচরণে গুরুতর ব্যাঘাত ঘটে।

স্কিজোফ্রেনিয়া বাস্তবতা বোঝা কঠিন করে তোলে। প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
অবাস্তব জিনিস দেখা বা শোনা (হ্যালুসিনেশন)

কল্পিত বিশ্বাস (ডেলিউশন)

অদ্ভুত বা অপ্রাসঙ্গিক আচরণ

অমনোযোগ এবং অগোছালো চিন্তা

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা

🟣স্কিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে ৫টি ভুল ধারণা এবং বাস্তবতা:

🔹 মিথ: স্কিজোফ্রেনিয়া মানেই "দ্বৈত ব্যক্তিত্ব"
🔸 বাস্তবতা: এটি এক ধরনের মানসিক রোগ, যার দ্বৈত ব্যক্তিত্বের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ভুল ধারণা।

🔹 মিথ: স্কিজোফ্রেনিয়া দুর্বলতার লক্ষণ
🔸 বাস্তবতা: এটি জৈবিক এবং মানসিক কারণে হতে পারে, ব্যক্তিত্বের দুর্বলতার ফল নয়।

🔹 মিথ: স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানুষ বিপজ্জনক
🔸 বাস্তবতা: বেশিরভাগ আক্রান্ত ব্যক্তি সহিংস নয় বরং নিজের প্রতি ক্ষতিকর হতে পারে।

🔹 মিথ: এটি নিরাময়যোগ্য নয়
🔸 বাস্তবতা: চিকিৎসা ও সঠিক সহায়তায় আক্রান্তরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে।

🔹 মিথ: স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তরা কাজ করতে পারে না
🔸 বাস্তবতা: উপযুক্ত চিকিৎসা, সহায়তা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে তারা কর্মক্ষম হয়ে উঠতে পারে।

🟣গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

❓ স্কিজোফ্রেনিয়া কি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যায়?
✅ হ্যাঁ, পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

❓ স্কিজোফ্রেনিয়া কি পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য?
✅ নিরাময়যোগ্য নয়, তবে নিয়মিত চিকিৎসা ও সঠিক সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

❓ চিকিৎসা ছাড়া এটি কি নিজে নিজে সেরে যায়?
❌ না, চিকিৎসা ছাড়া রোগের অবনতি ঘটতে পারে এবং সামাজিক-ব্যক্তিগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

🟣স্কিজোফ্রেনিয়ার পজিটিভ ও নেগেটিভ উপসর্গ

🟢 পজিটিভ উপসর্গ (যা স্বাভাবিকের বাইরে যোগ হয়):

হ্যালুসিনেশন (অদৃশ্য জিনিস দেখা/শোনা)

ডেলিউশন (মিথ্যা বিশ্বাস)

বিভ্রান্ত চিন্তাধারা

অদ্ভুত বা এলোমেলো আচরণ

🔴 নেগেটিভ উপসর্গ (স্বাভাবিক আচরণ কমে যায়):

আবেগ প্রকাশে অক্ষমতা

মোটিভেশনের অভাব

কথা বলায় অনিচ্ছা বা অনুৎসাহ

সমাজবিমুখতা

দৈনন্দিন কাজে অনাগ্রহ

👉 নেগেটিভ উপসর্গগুলো দীর্ঘমেয়াদি ও চিকিৎসা চ্যালেঞ্জের প্রধান কারণ।

🟣বিশেষজ্ঞদের মতামত

> “স্কিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগ হলেও এটি চিকিৎসাযোগ্য। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ, ওষুধ, থেরাপি ও পারিবারিক সহায়তায় রোগীরা স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে পেতে পারে।”
— ড. হ্যারি বার্নার্ড, সাইকিয়াট্রিস্ট

> “স্কিজোফ্রেনিয়া শুধুমাত্র রোগ নয়; এটি একটি জীবন সংগ্রাম। সহানুভূতি ও বোঝাপড়া এই রোগ মোকাবেলার মূল চাবিকাঠি।”
— মারিয়া জ্যাকসন, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট

Address

Midnapur

Opening Hours

Monday 9pm - 10pm
Tuesday 9pm - 10pm
Wednesday 9pm - 10pm
Thursday 9pm - 10pm
Friday 9pm - 10pm
Saturday 9pm - 10pm

Website

https://www.youtube.com/@drsandipanghosh

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Sandipan Ghosh, Psychiatrist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Sandipan Ghosh, Psychiatrist:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram