17/03/2024
পোস্ট ১.
গ্রামীণ হাসপাতালে চাকরিসূত্রে আমাকে প্রায় সবরকমের রোগী দেখতে হয়। অনেক বাচ্চাও আসে। কারোর বয়স পাঁচ দিন,কারোর বা পাঁচ বছর। অনেক রকম সমস্যা নিয়ে আসে। সর্দি,কাশি,জ্বর তো লেগেই থাকে। তবে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করি,বাচ্চারা একটু বড়ো হলে তাদের কোনটা করা উচিৎ আর কোনটা করা উচিৎ নয়,সেই সম্পর্কে বাবা মা রা তেমন কিছু শেখান না। যেমন হয়ত আট-দশ বছরের একটা বাচ্চা খুব কাশছে। সেটা দেখে আমি তাদের কাছে ডেকে বলে দিই,বাবা,কাশি হলে হাতটা দিয়ে মুখটা ঢাকবে। তারা শোনেও। অনেক সময় আবার দেখি অনেকে উৎসাহী হয়ে জোরে জোরে টেবিল চাপড়াতে শুরু করে। শব্দ হয়,বিরক্ত লাগে। পাশে বাবা মা দাঁড়িয়ে থাকলেও বাচ্চাকে বারণ করে না। তাদের কাছে ডেকে বলে দিই,এমন করতে নেই। অনেক বাচ্চা দেখি বাবা মা কে তুই তোকারি করে। তাদেরকেও বলে দিই,মা বাবা কে তুমি বলবে।কখনও কিছু বাচ্চা আসে যারা ইঞ্জেকশন দেখলেই ছুটে পালায়। তাদেরকে বুঝিয়ে,বাবা-বাছা করে ইঞ্জেকশন ও দিয়ে দিই।
তবে সব কিছুতেই বারণ করলে বাচ্চার কূপমণ্ডূক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তারপরেও কিছু বেসিক 'ডু এন্ড ডোন্ট' আছে,যেগুলো ছোট থেকেই বাচ্চাদের শেখানো উচিৎ এবং বাবা মার প্রতি এই দায়িত্ব বর্তায়। কারণ বাচ্চারা যা দেখে,তাই শেখে।
একবার একটা বাচ্চাকে আধো আধো ভাবে বলতে শুনেছিলাম,প্রেসার কুকার দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেবো। পরে জানতে পারলাম বাচ্চার বাবা প্রায়শই তার মা কে প্রেসার কুকার ছুঁড়ে মারে। স্বাভাবিক ভাবেই বাচ্চাও তাই শিখেছে। কারণ,বাচ্চারা যা দেখে,তাই শেখে।