18/07/2025
্রাইমারি_মামলা সম্পর্কিত কিছু কথা......
১. ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত TET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রায় ১,২৫,০০০ জন প্রার্থী।** এরমধ্যে **প্রায় ৪২,০০০ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।** উক্ত নিয়োগের পরপর কোনো প্রার্থী বা গোষ্ঠী থেকে aptitude test হয় নি বা রোস্টার বা দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি।
২. নিয়োগপ্রাপ্তদের বাইরে থাকা বহু প্রার্থী চুপ থাকেননি, বরং তাঁদের মেধা ও অধিকার বজায় রাখতে ২০১৬ সালে পুনরায় ইন্টারভিউর দাবি তোলেন। সেই প্রেক্ষিতে ৮৩০০০ উত্তীর্ণ প্রার্থীর মধ্য থেকে আদালতের নির্দেশে ও তত্ত্বাবধানে ইন্টারভিউ এবং aptitude test নেওয়া হয় এবং ১৬,৫০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
৩. এই ১৬,৫০০ জনের নিয়োগ হয়েছে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এবং আদালতের নজরদারিতে। এখানে লক্ষ্যণীয় যে, যারা আগে চাকরি পাননি এবং মেধাবলে উঠে এসেছিলেন, তাঁরা তখনো কোনো অভিযোগ তোলেননি।
৪. অথচ দেখা যাচ্ছে, মাত্র 140 জন প্রার্থী, যাঁরা প্রথম নিয়োগ (৪২,০০০)-এ বাদ পড়েছিলেন এবং দ্বিতীয় নিয়োগ (১৬,৫০০)-তেও মেধা তালিকায় স্থান পাননি, তাঁরা বর্তমানে অভিযোগ তুলেছেন যে—
(ক) প্রথম নিয়োগে রোস্টার মানা হয়নি, (খ) প্যানেল তৈরি হয়েছিল বেআইনিভাবে, এবং
(গ) ‘aptitude test নেওয়া হয়ে নি ।
প্রাসঙ্গিক যুক্তি:
৫. যদি প্রথম নিয়োগে (৪২,০০০) প্রকৃতপক্ষে রোস্টার লঙ্ঘন ঘটত বা aptitude টেস্ট না নেওয়া হতো তবে দ্বিতীয় নিয়োগে (১৬,৫০০), যেখানে আদালতের তত্ত্বাবধানে রোস্টার মেনে সমস্তprocedure মেনে নিয়োগ হয়েছে, সেখানে সেই অভিযোগকারীদের সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা আবারও বাদ পড়েছেন।
এটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে তাঁদের বাদ পড়ার কারণ তাঁদের স্বাভাবিক মেধা ও নম্বরের ঘাটতি,
এখানে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো গোপন বা বেআইনি বিষয় বা দুর্নীতি নির্দেশ করে না..
৬. আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, ১৬,৫০০ জনের নিয়োগ যদি কোনো অনিয়মে পরিপূর্ণ হতো, তবে সেই বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর মধ্যে কেউ একজন অন্তত অভিযোগ করতেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের মধ্যে একজনও আদালতে এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করেননি। ফলে এটাও প্রতীয়মান হয় যে, দ্বিতীয় নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং মেধা ও সংরক্ষণ নীতির ভিত্তিতেই হয়েছিল।
৭. অতএব, যাঁরা দুইবারের একবারও মেধাতালিকায় স্থান পাননি, কেবলমাত্র তাঁদের পক্ষে এখন aptitude test হয়নি বা রোস্টার মানা হয়নি” অথবা অপারদর্শিতা হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এ সব বলার অধিকার 2022 সালে আসে বলার অধিকার থাকে না।
৮. অতএব, সম্মানিত আদালতের কাছে এই যুক্তিপূর্ণ প্রার্থনা জানানো হচ্ছে যে— দুই দফার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বারবার বাদ পড়েছেন, শুধুমাত্র তাঁদের স্বার্থে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া ও নিয়োগপ্রাপ্ত হাজার হাজার প্রার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হবে।
৯. এইরূপ অভিযোগ যে শুধু ভিত্তিহীন তা-ই নয়, বরং তা হচ্ছে নিজের অযোগ্যতাকে আইনের আড়ালে আড়াল করার প্রচেষ্টা, যা বিচারব্যবস্থাকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে।
এজন্য এই আদালতের নিকট আবেদন জানায় —এই অভিযোগগুলি বিচারিক মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নয়, এবং প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ খারিজ করে মূল প্রক্রিয়া ও নিয়োগপ্রাপ্তদের স্বার্থ সংরক্ষণের নির্দেশ প্রদান করা হোক।