DrMotiur Rahaman-ডা: মতিউর রহমান

DrMotiur Rahaman-ডা: মতিউর রহমান 𝐌𝐁𝐁𝐒( 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐜𝐚𝐥 𝐂𝐨𝐥𝐥𝐞𝐠𝐞, 𝐊𝐨𝐥𝐤𝐚𝐭𝐚)
𝐌𝐃( 𝐓𝐫𝐨𝐩𝐢𝐜𝐚𝐥 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐜𝐢𝐧𝐞) ,𝐂𝐂𝐄𝐁𝐃𝐌( 𝐝𝐢𝐚𝐛𝐞𝐭𝐞𝐬 𝐦𝐚𝐧𝐚𝐠𝐞𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐜𝐞𝐫𝐭𝐢𝐟𝐢𝐜𝐚𝐭𝐞 𝐛𝐲 𝐩𝐡𝐟𝐢)
𝐂𝐨𝐧𝐬𝐮𝐥𝐭𝐚𝐧𝐭 𝐏𝐡𝐲𝐬𝐢𝐜𝐢𝐚𝐧

মানব শরীরে কৃমি সংক্রমণ (Helminthiasis / Worm Infestation)কৃমি সংক্রমণ হলো এক ধরনের পরজীবী রোগ, যা বিভিন্ন প্রকার কৃমি ম...
20/08/2025

মানব শরীরে কৃমি সংক্রমণ (Helminthiasis / Worm Infestation)

কৃমি সংক্রমণ হলো এক ধরনের পরজীবী রোগ, যা বিভিন্ন প্রকার কৃমি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ও বসবাস করলে ঘটে। এগুলো সাধারণত অন্ত্রে বাস করে এবং শরীরের পুষ্টি শোষণ করে দুর্বলতা ও নানা জটিলতা সৃষ্টি করে।

কৃমির প্রধান ধরনসমূহ

1. Ascaris lumbricoides (গোলকৃমি)

সবচেয়ে সাধারণ কৃমি।

শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।

অন্ত্রে গুচ্ছ হয়ে পেটে ব্যথা, বমি, অন্ত্র বাঁধা (intestinal obstruction) করতে পারে।

2. Hookworm (হুকওয়ার্ম – Ancylostoma duodenale, Necator americanus)

অন্ত্রের দেওয়ালে কামড়ে রক্ত চুষে খায়।

দীর্ঘদিনে রক্তাল্পতা (Anemia) হয়।

3. Trichuris trichiura (চাবুক কৃমি)

শিশুদের ডায়রিয়া, রক্তমিশ্রিত মল ও রেকটাল প্রলাপস করতে পারে।

4. Enterobius vermicularis (সূক্ষ্ম কৃমি/Pinworm)

রাতে মলদ্বারে প্রচণ্ড চুলকানি হয়।

শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

5. Taenia solium / saginata (ফিতা কৃমি)

অপর্যাপ্ত সেদ্ধ করা গরু বা শূকরের মাংস খেলে হয়।

পেটে অস্বস্তি, ওজন কমে যায়।

---

সংক্রমণের প্রধান কারণ:

অপরিষ্কার বা দূষিত খাবার ও পানি গ্রহণ।

কাঁচা বা আধা সেদ্ধ মাংস খাওয়া।

খালি পায়ে মাটিতে হাঁটা (বিশেষ করে হুকওয়ার্মের ক্ষেত্রে)।

নোংরা হাত দিয়ে খাবার খাওয়া।

শিশুরা মাটি বা নোংরা বস্তু মুখে দিলে।

---

উপসর্গ:

ক্ষুধামন্দা

পেটব্যথা / গ্যাস্ট্রিক

ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য

রক্তাল্পতা, দুর্বলতা

ওজন কমে যাওয়া

মলদ্বারে চুলকানি (pinworm)

শিশুদের বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া

---

কি কি জটিলতা হতে পারে?:

অন্ত্র বাঁধা (intestinal obstruction)

তীব্র রক্তাল্পতা

শিশুদের অপুষ্টি

স্নায়বিক জটিলতা (ফিতা কৃমির ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে প্রবেশ করলে স্নায়ু রোগ – neurocysticercosis)

---

প্রতিরোধ

✅ নিয়মিত হাত ধোয়া (খাওয়ার আগে ও টয়লেটের পর)
✅ সবসময় বিশুদ্ধ পানি পান করা
✅ খাবার ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া
✅ নখ ছোট রাখা
✅ খালি পায়ে মাটিতে না হাঁটা
✅ বছরে অন্তত ১–২ বার কৃমির ওষুধ খাওয়া (Albendazole/Mebendazole জাতীয়)

---

👉 চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো শরীর থেকে কৃমি দূর করা এবং জটিলতা প্রতিরোধ করা।
---

🧪 প্রচলিত ওষুধসমূহ

1. Albendazole

2. Mebendazole

3. Pyrantel pamoate

4. Praziquantel

5. Ivermectin

---

🩸 সহায়ক চিকিৎসা::

রক্তাল্পতা থাকলে: আয়রন, ফোলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়।

অপুষ্ট শিশুতে: পুষ্টিকর খাবার ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন।

অন্ত্র বাঁধা হলে: জরুরি অস্ত্রোপচার লাগতে পারে।

---

👶 শিশুদের ক্ষেত্রে

1 বছর বয়সের পর থেকে Albendazole/Mebendazole নিরাপদ।

জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (Deworming program) আওতায় বছরে ১–২ বার সব শিশুদের কৃমির ওষুধ দেওয়া হয়।

---

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ:

পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অনেক সময় সবারই চিকিৎসা দরকার হয়।

পুনঃসংক্রমণ ঠেকাতে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি।

ওষুধ সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে।

*******************************************************

ডাঃ মতিউর রহমান ।
𝐌𝐁𝐁𝐒 (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
𝐌𝐃 (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ),স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন,কলকাতা
𝐂𝐂𝐄𝐁𝐃𝐌 (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

ব্লাড টেস্ট করে হিমোগ্লোবিন কম ধরাপড়েছে?? কী করবেন???হিমোগ্লোবিন কমে গেলে (অ্যানিমিয়া) কী করবেন তা মূলত নির্ভর করে কার...
15/08/2025

ব্লাড টেস্ট করে হিমোগ্লোবিন কম ধরাপড়েছে?? কী করবেন???

হিমোগ্লোবিন কমে গেলে (অ্যানিমিয়া) কী করবেন তা মূলত নির্ভর করে কারণ (etiology)এবং মাত্রার (gm %)ওপর।

---

🩸 ১. হিমোগ্লোবিন কমার সম্ভাব্য কারণ

আয়রনের অভাব (আমাদের দেশে সবচেয়ে কমন)।

ভিটামিনের অভাব (B12, ফলিক অ্যাসিড)।

রক্তক্ষরণ (মাসিক, gastro-intestinal ব্লিড ইত্যাদি)।

দীর্ঘস্থায়ী রোগ (কিডনি, থাইরয়েড, দীর্ঘদিনের ইনফেকশন)।

ব্লাড ক্যান্সার ,থ্যালাসেমিয়া ও অস্থিমজ্জার রোগ(bone marrow)

---

🍎 ২. খাদ্যাভ্যাসে করণীয়

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার,

লাল মাংস , লিভার

মাছ, ডিম।

পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক।

ডাল, ছোলা, মসুর, মুগ।

খেজুর, কিশমিশ, আনারস, ডালিম।

ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার (আয়রন শোষণ বাড়ায়)

লেবু, কমলা, আমলকি, টমেটো।

ভিটামিন B12 ও ফলিক অ্যাসিড

ডিম, দুধ, দই।

সবুজ শাকসবজি, ডাল।

বি দ্রঃ ডায়েট চার্ট প্রত্যেক পেশেন্ট এর জন্য আলাদা। নির্ভর করে ডায়াবেটিস,হাইপারটেনশন,ক্রনিক কিডনি সমস্যা, হাইপোথাইরয়েডিজম ইত্যাদি রোগ আছে কি না।হাইট weight,BMI, activity সব কিছুর উপর।

---

💊 ৩. চিকিৎসা

ডাক্তারি পরামর্শে আয়রন সাপ্লিমেন্ট বা ভিটামিন ট্যাবলেট।

প্রয়োজনে ইনজেকশন আয়রন বা রক্ত সঞ্চালন (ব্লাড ট্রান্সফিউশন)(যদি খুব কম হয় সাধারণত 7gm% এর নিচে হলে।)

রক্ত কমার মূল কারণ খুঁজে চিকিৎসা করা জরুরি।

---

⚠️ সতর্কতা

শুধু আয়রন ট্যাবলেট খেলে হবে না, কেন হিমোগ্লোবিন কমছে তা নিশ্চিত হতে হবে।

গর্ভবতী ও শিশুর ক্ষেত্রে অবহেলা করা যাবে না।

কালো রঙের পায়খানা, অতিরিক্ত দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।
*******************************************************

ডাঃ মতিউর রহমান
MBBS (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
MD (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
CCEBDM (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। #চিকুনগুনিয়ার প্রধান উপসর্গগুলো জানুন:🔴 হঠাৎ উচ্চ জ্ব...
14/08/2025

চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।

#চিকুনগুনিয়ার প্রধান উপসর্গগুলো জানুন:
🔴 হঠাৎ উচ্চ জ্বর।
🔴 তীব্র গিঁটের ব্যথা।

অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে:
🔴 মাথাব্যথা।
🔴 চুলকানি।
🔴 ত্বকে ফুসকুড়ি।
🔴 মাংসপেশির ব্যথা।

🩺 চিকিৎসা ও যত্ন

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।

শরীরে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করুন—প্রচুর পানি, ওআরএস, স্যুপ, ফলের রস খান।

জ্বর ও ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল ব্যবহার করুন (ডাক্তারের পরামর্শে)।

আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন এড়িয়ে চলুন, বিশেষত যদি ডেঙ্গুর সম্ভাবনা থাকে, কারণ এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

🦵 জয়েন্ট ব্যথা কমানোর উপায়

গরম পানির সেঁক দিতে পারেন।

হালকা ম্যাসাজ উপকার দিতে পারে।
ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী কিছু medicine (HCQ,Sazo, Steroid জাতীয় মেডিসিন)

🚨 সতর্কতার লক্ষণ – নিচের যেকোনোটি হলে দ্রুত হাসপাতালে যান:

শ্বাসকষ্ট।

অতিরিক্ত দুর্বলতা বা মাথা ঘোরা।

রক্তক্ষরণ (মাড়ি, নাক, প্রস্রাব বা মল থেকে)।

তীব্র পেট ব্যথা বা বমি।

👉 মশার কামড় থেকে বাঁচাই চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের সেরা উপায়:

✅ এমন পোশাক ও জুতা পরুন যা শরীর ও পা ঢেকে রাখে।
✅ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করুন।
✅ মশারি টানিয়ে ঘুমান।
✅ পানির ড্রাম ও ট্যাংক ঢেকে রাখুন।
✅ বোতল, টায়ার, ক্যানের মতো জিনিস সরিয়ে ফেলুন যেখানে পানি জমে মশার প্রজনন হতে পারে।
************************************************************

ডাঃ মতিউর রহমান
MBBS (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
MD (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
CCEBDM (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

Needlestick Injury: Basic KnowledgeWhat is a Needlestick Injury?A needlestick injury occurs when a needle or other sharp...
10/08/2025

Needlestick Injury: Basic Knowledge

What is a Needlestick Injury?
A needlestick injury occurs when a needle or other sharp object accidentally punctures the skin. This commonly happens in healthcare settings during injections, blood draws, or handling of sharp medical instruments.

Why is it Important?
Needlestick injuries can expose healthcare workers to serious infections such as:
- HIV (Human Immunodeficiency Virus)
- Hepatitis B Virus (HBV)
- Hepatitis C Virus (HCV)
Common Causes
- Improper disposal of needles
- Re-capping needles
- Accidental puncture during procedures
- Handling sharp instruments without proper care

Immediate Actions After Injury
1. Do not panic.
2. Encourage bleeding by gently squeezing the puncture site (do not suck the wound).
3. Wash the area thoroughly with soap and water.
4. Report the injury immediately to your supervisor or occupational health.
5. Seek medical evaluation for possible post-exposure prophylaxis (PEP) and follow-up testing.

Prevention Tips
- Always use safety-engineered devices when available.
- Do not recap needles.
- Dispose of sharps immediately in designated sharps containers.
- Follow proper hand hygiene.
- Use personal protective equipment (PPE).
- Get vaccinated against Hepatitis B.

মাথা ঘোরা (Vertigo / Dizziness) অনেক কারণে হতে পারে—কিছু কারণ সামান্য ও সাময়িক, আবার কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।--...
09/08/2025

মাথা ঘোরা (Vertigo / Dizziness) অনেক কারণে হতে পারে—কিছু কারণ সামান্য ও সাময়িক, আবার কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।

---

সম্ভাব্য কারণ:

1. কানজনিত সমস্যা (Inner ear disorder)

ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস, ল্যাবিরিন্থাইটিস, BPPV (Benign Paroxysmal Positional Vertigo)

মধ্যকান ইনফেকশন।

2. রক্তচাপজনিত সমস্যা:

খুব কম বা বেশি রক্তচাপ।

হঠাৎ দাঁড়ালে রক্তচাপ পড়ে যাওয়া ।(Orthostatic hypotension)

3. মস্তিষ্কজনিত কারণ

স্ট্রোক বা TIA

মাইগ্রেন।

4. রক্তস্বল্পতা (Anaemia)।

5. ডিহাইড্রেশন / পানিশূন্যতা।

6. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

7. ডায়াবেটিসে শর্করা কমে যাওয়া ।(Hypoglycemia)

---

কি করবেন??

হালকা মাথা ঘোরার ক্ষেত্রে।

নিরাপদে বসে বা শুয়ে পড়ুন।

হঠাৎ দাঁড়ানো বা মাথা ঘোরানো এড়িয়ে চলুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

নিয়মিত খাবার খান, ফাঁকা পেটে দীর্ঘ সময় থাকবেন না।

লবণ খুব কম খাবেন না (যদি ডাক্তারের বিপরীত নির্দেশ না থাকে)।

যখন দ্রুত ডাক্তার দেখানো জরুরি।

মাথা ঘোরার সাথে হঠাৎ কথা জড়িয়ে যাওয়া, মুখ বেঁকে যাওয়া, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া।

তীব্র মাথাব্যথা।

বমি বারবার হওয়া।

জ্ঞান হারানো।

বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট।

কান থেকে পুঁজ/রক্ত বের হওয়া বা শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া।

---
মাথা ঘোরা হলে করণীয় ধাপে ধাপে এভাবে রাখুন—

---

তাৎক্ষণিক করণীয়

1. বসুন বা শুয়ে পড়ুন – পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে।

2. চোখ বন্ধ করে স্থির থাকুন – নড়াচড়া কমালে বমি ভাব ও ঘোর কমে।

3. পানি /ORS পান করুন – ডিহাইড্রেশন বা লো ব্লাড প্রেসারে সহায়ক।

4. হঠাৎ উঠে দাঁড়াবেন না – ধীরে ধীরে নড়াচড়া করুন।

---

বাড়িতে প্রাথমিক ব্যবস্থা

খাবার মিস করবেন না – রক্তে শর্করা ঠিক রাখতে।

পর্যাপ্ত ঘুম – ক্লান্তি ও মাথা ঘোরা কমাতে সহায়ক।

লবণযুক্ত খাবার – যদি রক্তচাপ খুব কম হয় ও ডাক্তার অনুমতি দেন।

হালকা ব্যায়াম/ভারসাম্য অনুশীলন – যেমন Epley maneuver by ENT Specialist doctor(BPPV হলে)।

---

ডাক্তার দেখানো জরুরি যদি:

কথা জড়িয়ে যায়, মুখ বেঁকে যায়, হাত-পা অবশ হয় (স্ট্রোকের লক্ষণ)।

বারবার বমি হয় বা জ্ঞান হারান।

শ্রবণশক্তি হঠাৎ কমে যায় বা কানে রিং বাজে।

খুব বেশি দুর্বলতা বা হাঁটতে কষ্ট হয়।

চোখে ডাবল দেখা।

©©©©©©©©©©©©©©©©©©©

ডাঃ মতিউর রহমান
MBBS (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
MD (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
CCEBDM (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

🌬️ বর্ষাকাল এ মনসুন সেশন এ  ভাইরাল শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ: প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের জন্য সতর্কতা জরুরি!বর্ষা ও শীতকাল ...
05/08/2025

🌬️ বর্ষাকাল এ মনসুন সেশন এ ভাইরাল শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ: প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের জন্য সতর্কতা জরুরি!

বর্ষা ও শীতকাল এলেই সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও জ্বর যেন ঘরে ঘরে লেগেই থাকে। এই সময়গুলিতে seasonal viral respiratory infections বা মৌসুমী ভাইরাল ইনফেকশন বিশেষভাবে সক্রিয় থাকে। India-র মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে এটি প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

🔍 কোন কোন ভাইরাস দায়ী থাকে?

Influenza virus (Flu)

RSV (Respiratory Syncytial Virus) – শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়

Rhinovirus

Adenovirus

Parainfluenza virus

COVID-19 (SARS-CoV-2) – এখনও সক্রিয় কিছু অঞ্চলে

⚠️ কারা বেশি ঝুঁকিতে?

👶 ৫ বছরের কম বয়সী শিশু

👴 ৬৫ বছরের বেশি বয়সী বয়স্ক ব্যক্তি

🫁 যাদের দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টের সমস্যা (যেমন: COPD, Asthma)

🧑‍⚕️ ইমিউনো কমপ্রোমাইজড ব্যক্তি (HIV/AIDS, organ transplant recipients,ডায়াবেটিস, ক্যান্সার থেরাপি, স্টেরয়েড গ্রহণকারী)

🤰 গর্ভবতী মহিলারা

🛡️ প্রতিরোধই প্রধান করণীয়:
✅ ইনফ্লুয়েঞ্জা ও COVID-19 ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন বছরে একবার
✅ ঘন ঘন হাত ধোওয়া ও মাস্ক ব্যবহার
✅ হাঁচি/কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা (টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে)
✅ ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলা ও ঘরের ভেন্টিলেশন ঠিক রাখা
✅ শিশুদের ক্ষেত্রে স্কুলে পাঠানোর আগে সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা শেখানো
✅ যথাসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ ও নিজে থেকে ওষুধ না খাওয়া

🩺 কি করবেন????

1. বিশ্রাম নিন – শরীরকে সুস্থ হতে সময় দিন।

2. প্রচুর তরল পান করুন – পানি, স্যুপ, ORS ইত্যাদি খেলে ডিহাইড্রেশন এড়ানো যায়।

3. গরম পানি দিয়ে গার্গল বা ভাপ নিন – গলা ব্যথা ও নাক বন্ধে আরাম দেয়।

4. জ্বর থাকলে – প্যারাসিটামল সেবন করুন।

5. কাশি/গলা ব্যথায় – গরম পানি, মধু (শিশুর বয়স >১ বছর হলে), আদা-চা ,মধু উপকারী।

6. মাস্ক ব্যবহার করুন ও হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢাকুন – অন্যদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে।

7. ঘর বাতাস চলাচল উপযোগী রাখুন – বদ্ধ পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।

🚫 যেগুলো এড়িয়ে চলবেন

অযথা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না (ভাইরাল সংক্রমণে কাজ করে না)।

ধূমপান বা ধোঁয়ার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

⚠️ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন যদি –

শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।

উচ্চ জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হয়।

বুকে ব্যথা বা কফে রক্ত আসে।

শিশু/বয়স্ক/ডায়াবেটিস-হার্ট-অ্যাজমা রোগীর মধ্যে উপসর্গ বেড়ে যায়।
****************************************************

ডাঃ মতিউর রহমান
MBBS (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
MD (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
CCEBDM (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

কোলেস্টেরল কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন????শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমে গেলে রক্তনালীর দেয়ালে প্লাক তৈরি হয় → একে এথেরোস...
01/08/2025

কোলেস্টেরল কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন????

শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমে গেলে রক্তনালীর দেয়ালে প্লাক তৈরি হয় → একে এথেরোস্ক্লেরোসিস বলে।

এতে ধমনীর ভেতর সরু হয়ে যায় → হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে।

🧪 রক্তে কোলেস্টেরলের ধরন

রক্তে কোলেস্টেরল কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়:

1. LDL (Low Density Lipoprotein) → "Bad Cholesterol"

রক্তনালীতে জমে প্লাক তৈরি করে।

হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ব্লকেজের ঝুঁকি বাড়ায়।

যত কম হবে তত ভালো।

2. HDL (High Density Lipoprotein) → "Good Cholesterol"

রক্ত থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল পরিষ্কার করে।

হার্টকে সুরক্ষা দেয়।

3. Triglycerides (TG)

এক ধরনের ফ্যাট, যা বেশি হলে হার্ট ডিজিজ, ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়।

4. Total Cholesterol

সব মিলিয়ে মোট কোলেস্টেরল।

---

🎯 টার্গেট লেভেল??

Total Cholesterol < 200 mg/dl
LDL (Bad) < 100 mg/dl)
HDL (Good) > 40 mg/dl , > 50 ক্ষেত্রবিশেষে bellow 70 ba bellow 55 mg/dl
Triglyceride < 150 mg/dl

---

🥗 কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

১. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন

লাল মাংস, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড, ঘি-মাখন কমাতে হবে।

ফাইবার যুক্ত খাবার (ওটস, ব্রাউন রাইস, ডাল, সবজি, ফল) বেশি খেতে হবে।

বাদাম (আখরোট, আমন্ড), মাছ (রুই, ইলিশ – কম তেলে রান্না করা) উপকারী।

ডিম সপ্তাহে ৩–৪ দিন খাওয়া যেতে পারে, তবে ডিমের সাদা অংশ নিরাপদ।

তেল নির্বাচন করুন – অলিভ অয়েল, সূর্যমুখী, সয়াবিন, সরিষার তেল (পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে)।

২. নিয়মিত ব্যায়াম

প্রতিদিন অন্তত ৩০–৪৫ মিনিট হাঁটা, সাইক্লিং বা সাঁতার।

স্থূলতা কমালে কোলেস্টেরলও কমে।

৩. খারাপ অভ্যাস এড়িয়ে চলা

🚬ধূমপান একদম বন্ধ করতে হবে।

🍺অ্যালকোহল কমানো বা এড়িয়ে চলা উচিত।

৪. মানসিক চাপ কমানো

অতিরিক্ত স্ট্রেস কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে।

মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম কাজে দেয়।

৫. ওষুধ প্রয়োজনে

যদি লাইফস্টাইল পরিবর্তনেও কন্ট্রোল না হয়, ডাক্তার Statins (Atorvastatin, Rosuvastatin), Fibrates, Ezetimibe, Bempedoic acid,PCSK 9i বা অন্য ওষুধ দেবেন।

ওষুধ শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে হবে।

---

🩺 মনে রাখবেন

নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার, ওবেসিটি থাকলে কোলেস্টেরল কন্ট্রোল আরও জরুরি।

হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো ঘটনা থাকলে LDL আরও নিচে রাখতেই হবে।

*********************************************
ডাঃ মতিউর রহমান
MBBS (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
MD (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
CCEBDM (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

28/07/2025

"ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস ডে" (বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস)

তারিখ: প্রতি বছর ২৮শে জুলাই পালিত হয়।

---

📌 উদ্দেশ্য:

বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ ও চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরা।

---

🦠 হেপাটাইটিস কী?

হেপাটাইটিস মানে লিভারে প্রদাহ। এটি সাধারণত ভাইরাসজনিত। প্রধান ৫টি হেপাটাইটিস ভাইরাস হলঃ
👉 হেপাটাইটিস A, B, C, D ও E
A এবং E খুব ক্ষতিকারক নয়, সেলফ রিমিটিং কিন্তু কখনও কখনও acute লিভার ফেইলিওর করতে পারে। বি ও সি বেস ক্ষতিকারক, লিভার ড্যামেজ (CLD )করতে পারে।

---

⚠️ লক্ষণসমূহ:

জ্বর , পেটে ব্যথা।

ক্লান্তিভাব।

বমি বমি ভাব,বমি।

মল এবং প্রস্রাবে রঙের পরিবর্তন।

ত্বক ও চোখে হলুদ ভাব (জন্ডিস)।

---

🛡️ প্রতিরোধের উপায়:

✅ টিকা গ্রহণ (বিশেষ করে হেপাটাইটিস B ও A)
✅ নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন।
✅ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি।
✅ সুরক্ষিত যৌনমিলন ও ইন্ত্রাভেনাস ড্রাগ ইউজ ও নীডল share না করা।
✅ দূষিত জল ও খাদ্য এড়িয়ে চলা।

---

🎯 ২০২৫ সালের থিম (উদাহরণ):

"Hepatitis: Let's Break It Down".

---

🏥 চিকিৎসা ও সচেতনতা:

হেপাটাইটিস B ও C-এর চিকিৎসা সরকারি ভাবে বিনা পয়সায় বর্তমানে সম্ভব।

সঠিক সময়ে সনাক্তকরণ হলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি এড়ানো যায়।

সরকারিভাবে টিকাদান কর্মসূচি রয়েছে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি।

---

📢 জনসচেতনতায় কী করবেন:

ফ্রি হেপাটাইটিস স্ক্রিনিং ক্যাম্প(HBsAg,Anti-HCV)।

টিকা সম্পর্কিত প্রচার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতা বার্তা।

চিকিৎসকদের সাথে জনসভার আয়োজন।

---

✅ সংক্ষিপ্ত বার্তা:

"হেপাটাইটিস প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন, সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য সচেতন হোন।"
**********************************************

ডাঃ মতিউর রহমান
MBBS (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
MD (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
CCEBDM (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

সিওপিডি (𝐂𝐎𝐏𝐃) এবং আস্থমা (𝐀𝐬𝐭𝐡𝐦𝐚) দুটি দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসপ্রশ্বাসের রোগ, তবে নিয়মিত চিকিৎসা, জীবনধারায় পরিবর্তন এবং ...
27/07/2025

সিওপিডি (𝐂𝐎𝐏𝐃) এবং আস্থমা (𝐀𝐬𝐭𝐡𝐦𝐚) দুটি দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসপ্রশ্বাসের রোগ, তবে নিয়মিত চিকিৎসা, জীবনধারায় পরিবর্তন এবং কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এগুলোকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিচে নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় উল্লেখ করা হলো:

---

🫁 সিওপিডি/আস্থমা কন্ট্রোল রাখার উপায়:

১. ✅ নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার:

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইনহেলার (𝐑𝐞𝐥𝐢𝐞𝐯𝐞𝐫 ও 𝐂𝐨𝐧𝐭𝐫𝐨𝐥𝐥𝐞𝐫) প্রতিদিন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

স্পেসার(Zerostat VT Spacer)ব্যবহার করলে ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ে। মেডিসিন টা ফুসফুস পর্যন্ত ভালো ভাবে পৌঁছাতে পারে।

বি দ্রঃ স্টেরয়েড আছে এমন ইনহেলার নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মুখ পানি দিয়ে কুলিকুচি করবেন তাতে ফাংগাল ইনফেকশন এর চান্স কমে

২. 🚭 ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ:

ধূমপান সিওপিডি এবং আস্থমা দুই ক্ষেত্রেই রোগকে অনেক খারাপ করে তোলে।

৩. 😷 ধুলাবালি, ধোঁয়া, অ্যালার্জেন থেকে দূরে থাকুন:

মাস্ক ব্যবহার করুন।

ধুলো, গন্ধযুক্ত পারফিউম, ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

৪. 💊 ওষুধ ঠিকমতো এবং নিয়মিত খাওয়া:

নিজে থেকে ওষুধ বন্ধ করবেন না।

শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার আগেই প্রিভেন্টিভ ইনহেলার ব্যবহার করুন।

৫. 🏃 নিয়মিত হালকা ব্যায়াম:

হাঁটা, প্রণালী অনুযায়ী শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।

৬. 🍎 পুষ্টিকর খাবার:

পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

অতিরিক্ত লবণ ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৭. 💉 টিকা:

প্রতি বছর ফ্লু ভ্যাকসিন(ইনফ্লুয়েঞ্জা), এবং একবার নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।

৮. 📈 ফলোআপ :

নিয়মিত ফলোআপে গিয়ে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা (𝐬𝐩𝐢𝐫𝐨𝐦𝐞𝐭𝐫𝐲/PFT) পরীক্ষা করান,Absolute Eosinophil count টেস্ট করান ।

---

🚨 কখন ডাক্তারের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করবেন:

শ্বাসকষ্ট খুব বেড়ে গেলে।

বুক চেপে ধরা বা হাঁপানি বাড়লে।

ইনহেলার কাজ না করলে।

ঠান্ডা, কাশি, বা জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে।
********************************************

ডাঃ মতিউর রহমান
MBBS (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
MD (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
CCEBDM (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

GERD (Gastroesophageal Reflux Disease) বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পাকস্থলীর এসি...
20/07/2025

GERD (Gastroesophageal Reflux Disease) বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পাকস্থলীর এসিড বারবার খাদ্যনালীতে উঠে আসে, যার ফলে বুকজ্বালা, ঢেকুর ওঠা, গলা ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।

GERD রোগে করণীয়:

১. জীবনযাপন পরিবর্তন (Lifestyle Modification):

🍽️ অল্প অল্প করে বারবার খাবেন — বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

🕔 খাওয়ার পর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা শুয়ে পড়বেন না।

🛌 বিছানার মাথার দিকটা একটু উঁচু করে ঘুমাবেন — বিশেষ করে রাতে উপসর্গ থাকলে।

🚫 ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন — এগুলো LES (Lower Esophageal Sphincter)-এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

⚖️ ওজন কমান — অতিরিক্ত ওজন GERD বাড়ায়।

২. খাবারে নিয়ন্ত্রণ (Dietary Tips):

❌ এড়িয়ে চলুন✖️:

টক ফল (লেবু, কমলা)

চকলেট

ক্যাফেইন (চা, কফি)

মশলাযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার

টমেটো জাতীয় খাবার

কার্বনেটেড পানীয় (সফট ড্রিংকস)

✅ গ্রহণ করুন:

ওটস, সেদ্ধ শাকসবজি

কলা, আপেল

আদা, খোসা ছাড়া ভাত

দুধ (কম ফ্যাটযুক্ত)

৩. ঔষধ (Medicines ):

💊 Antacids: বুকজ্বালা কমাতে (যেমন Gelusil, Digene)

💊 H2 blockers: যেমন Ranitidine বা Famotidine

💊 Proton Pump Inhibitors (PPI): সবচেয়ে কার্যকরী — যেমন Omeprazole, Pantoprazole, Esomeprazole ইত্যাদি।

💊 Prokinetics: যেমন Domperidone বা Lesuride (খাদ্যনালীতে খাবার নিচে নামতে সাহায্য করে)

> নির্দেশনা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ গ্রহণ করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৪. চিকিৎসকের পরামর্শ কখন নেবেন:

উপসর্গ ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে

খাবার খেতে গলা আটকে গেলে

ওজন হঠাৎ কমে গেলে

বমি বা মলের সঙ্গে রক্ত এলে
বি দ্রঃ যে কোনো মেডিসিন নেওয়ার আগে ডাক্তার বাবুর সাথে অবশ্যই কনসাল্ট করুন।
◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾

ডাঃ মতিউর রহমান
MBBS (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
MD (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
CCEBDM (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে ডায়েটে কিছু বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া জরুরি যাতে থাইরয়েড ফাংশন সাপোর্ট করা যায় এবং সামগ্রিক স্বা...
19/07/2025

হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে ডায়েটে কিছু বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া জরুরি যাতে থাইরয়েড ফাংশন সাপোর্ট করা যায় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নিচে কিছু ডায়েট সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হলো-

হাইপোথাইরয়েডিজমে কী খাবেন:

1. আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার:

- আয়োডিন থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত আয়োডিন ক্ষতিকর হতে পারে।
- উৎস: সমুদ্রের মাছ (যেমন স্যামন, টুনা), সামুদ্রিক শৈবাল, ডিম, আয়োডিনযুক্ত লবণ (পরিমিত)।
-
সতর্কতা: আজকাল বেশিরভাগ লবণে আয়োডিন থাকে, তাই অতিরিক্ত গ্রহণ এড়িয়ে চলুন।

2. সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার:
- সেলেনিয়াম থাইরয়েড হরমোনের মেটাবলিজমে সহায়ক।
- উৎস: নাট, সূর্যমুখী বীজ, মাছ, ডিম, মুরগির মাংস।

3. জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার:
- জিঙ্ক থাইরয়েড ফাংশন এবং হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে।
- উৎস: কুমড়ার বীজ, বাদাম, ডাল, মাংস, শেলফিশ।

4. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার:
- হাইপোথাইরয়েডিজমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। ফাইবার এটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- উৎস: শাকসবজি , ফল (আপেল, নাশপাতি), ওটস, বাদামী চাল।

5. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার:
- প্রোটিন বিপাক বাড়াতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- উৎস: মুরগি, মাছ, ডিম, ডাল, ছোলা, টফু।

6. স্বাস্থ্যকর চর্বি:
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- উৎস: চর্বিযুক্ত মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড, অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল।

7. পরিমাণমতো পানি:
- হাইড্রেশন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

কী এড়িয়ে চলবেন:
1. গয়ট্রোজেনিক খাবার :

- এই খাবারগুলো থাইরয়েড ফাংশনকে বাধা দিতে পারে। রান্না করলে এর প্রভাব কমে।
- উৎস: ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, শালগম, সয়াবিন, মিলেট।
- পরামর্শ: এগুলো রান্না করে খান এবং অতিরিক্ত এড়িয়ে চলুন।

2. প্রক্রিয়াজাত খাবার:
- ফাস্ট ফুড, চিনিযুক্ত খাবার, এবং ট্রান্স ফ্যাট ওজন বাড়াতে পারে এবং বিপাককে ধীর করে।
- এড়িয়ে চলুন: কেক, বিস্কুট, চিপস, কোমল পানীয়।

3. অতিরিক্ত চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট:
- সাধারণ কার্বোহাইড্রেট (সাদা চাল, ময়দা) ওজন বৃদ্ধি এবং ক্লান্তি বাড়াতে পারে।
- বেছে নিন: বাদামী চাল, ওটস।

4. ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল:
- অতিরিক্ত কফি বা অ্যালকোহল থাইরয়েড ওষুধের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।
- পরিমিতভাবে পান করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

5. গ্লুটেন (যদি সংবেদনশীল হন):
- কিছু হাইপোথাইরয়েড রোগীর গ্লুটেন সংবেদনশীলতা থাকতে পারে, বিশেষ করে হাশিমোটোর ক্ষেত্রে।
- উৎস: গম, বার্লি, রাই।
- পরামর্শ: গ্লুটেন-মুক্ত ডায়েটের প্রয়োজন হলে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন।


অন্যান্য টিপস:

- নিয়মিত খাবার গ্রহণ: দিনে ৪-৫টি ছোট মিল খান যাতে বিপাক স্থিতিশীল থাকে।
- ওষুধের সময়: থাইরয়েড ওষুধ (যেমন লেভোথাইরক্সিন) খালি পেটে খান এবং খাবারের অন্তত ৩০-৬০ মিনিট আগে খান। ক্যালসিয়াম বা আয়রন সমৃদ্ধ খাবার/সাপ্লিমেন্ট ওষুধের সাথে এড়িয়ে চলুন।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: হাইপোথাইরয়েডিজমে ওজন বাড়ার প্রবণতা থাকে, তাই ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- ব্যায়াম: হালকা ব্যায়াম (যেমন হাঁটা, যোগা) বিপাক বাড়াতে সাহায্য কর
- গুরুত্বপূর্ণ নোট:
******************
◾প্রত্যেকের শরীরের চাহিদা আলাদা। আপনার থাইরয়েডের মাত্রা, ওষুধ, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার উপর ভিত্তি করে ডায়েট কাস্টমাইজ করতে হবে।

◾নিয়মিত থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট (TSH, T3, T4) করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖

ডাঃ মতিউর রহমান
MBBS (কলকাতা মেডিকেল কলেজ)
MD (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
CCEBDM (ডায়াবেটিস)
কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ।

Address

Raghunathganj
742213

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when DrMotiur Rahaman-ডা: মতিউর রহমান posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to DrMotiur Rahaman-ডা: মতিউর রহমান:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category