20/09/2024
অনেকদিন পর প্রিয় দিদির রাজত্বকাল নিয়ে কয়েকটা কথা লিখতেই হলো।এখন দেখছি ৩৪ বছর তাণ্ডব চালানো কঙ্কালের রাজত্বের পেশাদার কমরেডরা (রেট) প্রিয় দিদিকে নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করছে। অনেক শান্তির বার্তা শোনাচ্ছে।। তাতে আবার কিছু কচি কমরেড সহমত পোষণ করছে। বাংলা আজকে শান্ত এখন আর সন্ধ্যার পর বোমের শব্দ শুনতে পাওয়া যায় না। যেখানে সেখানে লাশ পাওয়া যায় না। রাত হলে কেউ আতঙ্কে থাকে না কখন কাকে ধরে নিয়ে যাবে কমরেড দের বানিয়ে দেওয়া তালিকা থেকে ।এখন আর কারোর বাড়ির মেয়ে বউ হারিয়ে যায় না। কমরেডদের লালসার শিকার হয়ে। জানার দরকার যে দীর্ঘ ৩৪ বছরের জঙ্গলের রাজত্বের দিনের শুভাকাঙ্ক্ষী এরা। । তবে একটা কথা বলি শূন্য কাটিয়ে ওটা লড়াই টা চালিয়ে যান তবে মনে হয় না সেটা আর কখনো সম্ভব হবেনা। দিনের পর দিন শূন্যের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বলতে হবে সেই গল্পটার মত বাবা আমার একের জন্য ১০০ হয়নি। অর্থাৎ পরীক্ষায় পাওয়া দুটো রসগোল্লার মত। জানি দিদির রাজত্বকালে সরকারি হাসপাতালগুলোই এত সুন্দর পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে যেখানে বেসরকারি ল্যাব ,নার্সিংহোম এদের রমরমাটা কমে গেছে, সেখানেই যন্ত্রণাটা বাড়ছে।। এখন আর ছেলেমেয়েদের খাতাপেন কেনার জন্য কান্নাকাটি করতে হয় না সেটা সহজেই পাওয়া যায়। এখন আর একটা সাইকেলের জন্য বাবার পায়ে ধরতে হয় না বাবাকে হাড় কাটা খাটনি খাটতে হয় না কারণ সেটা দিদি সহজেই দিয়ে দেয়। ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলেই বার্ধক্য ভাতা পাওয়া যায় ।এখন আর কমরেডদের ঠিক করে দেওয়ার মতো হাতে গোনা কয়েকজন পায়না। আর সব থেকে মজার বিষয় যারা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করছে তারাই আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সুযোগ সুবিধাগুলো ভোগ করছে, তাদের জন্য লাইনটা এত বেশি লম্বা থাকে প্রকৃত তৃণমূল কর্মীরা সুযোগ পায় না। যাইহোক রামরেডদের মঙ্গল কামনা করি, তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি যে কজন আছে অন্তত বেঁচে থাক। ঈশ্বর এই কঙ্কাল কান্ডের নায়কদের মঙ্গল করুন। এইরামরেড দের রাজত্বে বিজন সেতুতে আনন্দমার্গীদের ১৮ জন সন্ন্যাসীদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা যেন আর একবার ঘটার জন্য বামেরা না ফেরে তার ব্যবস্থা বাংলার মানুষ করবে ।আর আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে চ্যাং ব্যাং গুলো বেশি লাফালাফি করছে তাদেরও খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। আর বর্তমান সময়ে যারা ডাক্তারি পড়ছে তাদের বিষয়ে সকলের কিছু কথা জানার দরকার ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা মান্থলি এদের পিছনে খরচ করে যে ভ্যাকেন্সি টা আগে ছিল মাত্র এক হাজার এখন দিদির রাজত্বে সেটা ৬০০০ ছাড়িয়ে গেছে তাই বুঝি যন্ত্রণাটা বেড়ে গেছে। কিন্তু এর পিছনেই আসল ব্যাপারটা হচ্ছে খেতে যখন পারছিনা পাতা আমি ছিড়ে দেবোই এই মানসিকতায় একদিকে শুভেন্দু ,একদিকে সেলিমেরা ,আরেকদিকে আব্বাসরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।যেন একটা শিয়াল কুকুরের অশুভ ওআতাত তৈরি হয়েছে। তবে বাংলার মানুষ তৈরি আছে। । এই অশুভ আতাতকে ধ্বংস করার জন্য। বাম আমলে একটা রেশন কার্ডের জন্য তাদের বাড়ি হেঁটে হেঁটে পায়ের তলা খয়ে যেত আর এখন জন্মানোর সাথে সাথেই কার্ডটা হয়ে যাচ্ছে এবং বস্তা ভর্তি রেশন বাড়িতে চলে আসছে এখন আর না খেয়ে থাকার দিন নেই। তাই বোধ হয় এই কমরেডদের জ্বালাটা বেড়েই চলেছে। ভগবান চিরতরে এদের জানাটা কমিয়ে দাও। হাসপাতালের বেডে লক্ষণ সেটের কুকুর থাকত, আর এখন মানুষ থাকে। তাই বুঝি রাম রেটের খুব জ্বলছে। বাম আমলে কাঁচা মেরে কাদা রাস্তায় যেতে হতো আর এখন যা চকচকে ঢালাই রাস্তা তাতেই বুঝি ওদের বেশি জ্বলছে। পাকা রাস্তা গুলোর এমন হাল ছিল কোন মায়ের প্রসব যন্ত্রণা উঠলে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই হয় তার মৃত্যু হতো না হয় রাস্তাতেই ডেলিভারি হয়ে যেত। আর আজ দিদির দেওয়া স্পেশাল মাতৃজনে করি সহজেই হাসপাতালে পৌঁছে যায় মা ও শিশু নিরাপদ থাকে তাই বুঝি এই রাম রেড্ দের জালাটা বেড়েছে। আমি এদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।