25/07/2024
স্ত্রীর সাহতে সহবাস করা সওয়াবের কাজ তবে স্ত্রী যদি হয় অবৈধ তাহলে তার সাথে সহবাস করাও অবৈধ এবং জেনার সামিল যা জঘন্য অপরাধ। আল্লহ বলেছেন তোমরা অশ্লিলতার কাছেও যেওনা (সূরা আনআম-১৫১)
বৈধ সরকারের সাথে সহবাস (সমর্থন সহযোগিতা) করাও সওয়াবের কাজ কিন্তু সরকারই যদি হয় অবৈধ তাহলে সেই অবৈধ সরকারের সাথে সহবাস (সমর্থন, সহযোগিতা) করাও অবস্যই হারাম।
বৈধ সরকারের বৈধ আইন লঙ্ঘন করা হারাম সে ক্ষেত্রে বৈধ সরকারের দেশে অবৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠানোও অবৈধ।
বাংলাদেশের সরকার যেহেতু বৈধ(?) সেহেতু বৈধ পথেই রেমিটেন্স পাঠানো আমাদের কর্তব্য আর সেই ধারাবাহিকতায় বিগত দুই যুগ ধরে বৈধ চ্যানেলেই রেমিটেন্স পাঠিয়ে আসছি।
এখনও বৈধ পথেই রেমিটন্স পাঠাব এবং সরকার বৈধভাবে যেসব জিনিস দেশে নেয়ার সুযোগ দেয় তাই কাজে লাগাব। কোন ভাবেই দেশ বা সরকার বিরোধী কোন কাজ করবনা।
সরকার ৫০০০ ডলার পর্যন্ত নগদে দেশে নিয়ে যাওয়ার বৈধ সুযোগ দেয় এবং ডলার নিয়ে গেলে রেটও ভালো পাওয়া যায় তাই দেশে যাওয়ার সময় ডলার নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। খুব ঘনিষ্ট এবং বিশ্বস্ত বন্ধু হলে তার মাধ্যমেও পাঠান যায় বা কয়েজনের টাকা একত্র করেও পাঠানো যায়।
সরকার ২০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় যদি অলঙ্কার হয় তবে কোন ট্যাক্স নাই কিন্ত যদি কয়েন হয় তাহলে এয়ারপোর্টে ট্যাক্স দিলেই চলে এবং দেশের বাজারে স্বর্ণের দামও ভালো পাওয়াযায়। এক্ষেত্রেও নিজের টাকায় সংকুলান নাহলে বিশ্বস্ত এবং আমানাতদের বন্ধুরা মিলে একত্রে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানো যায়।
যারা বড় বড় ব্যবসায়ি তারা হুণ্ডির মাধ্যমে টাকা দেশে নিয়েযায় এবং দেশের থেকে নিয়ে আসে এমনকি হজ্জের সময় বাড়ি ভাড়া করা সহ হাজ্জিদের অন্যান্য খরচ নির্বাহের জন্য বেশিরভাগ বা বলতে গেলে প্রায় সবাই হুণ্ডির মাধ্যমে টাকা নিয়ে আসে।
যারা দেশ থেকে টাকা পাচার করে আমেরিকা, কানাডা, দুবাই, মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায় তারাও হুন্ডির মাধ্যমে নেয়।
বিক্যাশের মাধ্যমে যেসব টাকা প্রেরণ করা হয় তাও হুণ্ডি নির্ভর।
আমরা যেহেতু বড় ব্যবসায়ী, ভিসার দালাল, আমলা বা হজ্জের এজেন্সির মালিক না তাই আমরা বৈধভাবেই রেমিটেন্স দেশে নিয়ে যাব কারণ সরকারী আইন সাধারণ মানুষের জন্য এবং সাধারণ মানুষই হালাল হারামের চিন্তা করে পক্ষান্তরে যারা অসাধারণ তাদের জন্য আছে আইনের ফাক ফোকড় আর তারা সেখান দিয়ে বেড় হয়ে যেতে পারে।
ধরা খায় যত সাধারণ জনগণ যেমনটা সাধারণ ছাত্র জনতা নিজেদের অধীকারের দাবী করে ধরা খেয়েছে। সরকার পারত শুরুতেই যৌক্তিকভাবে দাবীটা মেনে নিতে কিন্তু না দাবী মানার আগে তাদের জীবনই শেষ করে দিয়েছে যাদের মধ্য অনেক প্রবাসীর সন্তান এবং আত্মীয় রয়েছে।