Telemedicine.click

Telemedicine.click Kontaktinformation, kartor och vägbeskrivningar, kontaktformulär, öppettider, tjänster, betyg, foton, videor och meddelanden från Telemedicine.click, Webbplats om hälsa och välbefinnande, Nyköping.

15/01/2023

Our mobile app under development

https://youtu.be/ZAu4NEZb4_w
03/10/2021

https://youtu.be/ZAu4NEZb4_w

গর্ভবতী মায়ের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে একলাম্পশিয়া বা গর্ভকালীন খিঁচুনী। নবজাতকের মৃত্যুরও অন্যতম ক....

https://youtu.be/uDcX5JMS784
18/08/2021

https://youtu.be/uDcX5JMS784

Pregnancy, Corona, Covid-19, Vaccine, Dr. Kamal Ahmed, Telegyne, Telegynecology, Bangla, Sweden, Bangladesh,

কখন আল্ট্রাসনোগ্রামে ডেলিভারি ডেট ভুল আসেhttps://youtu.be/NUHnJ7rb5Vw
18/08/2021

কখন আল্ট্রাসনোগ্রামে ডেলিভারি ডেট ভুল আসে

https://youtu.be/NUHnJ7rb5Vw

USG in Pregnancy, EDD, Expected Date of Delivery, Dr. Kamal Ahmed, Bangla, Sweden.

21/02/2021

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এবং ভাষা শহীদদের স্মরণে টেলি গাইনী ডট কমের পক্ষ থেকে একুশে ফেব্রুয়ারির শুভেচ্ছা!!!

14/02/2021

টেলি গাইনি ডট কমের পক্ষ থেকে সবাইকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে শুভেচ্ছা !!!

**কোভিদ-১৯ ভ্যাকসিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য**   ডা কামাল আহমেদ   গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ, সুইডেনকোভিদ-১৯ ভ্যাকসিন ...
28/01/2021

**কোভিদ-১৯ ভ্যাকসিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য**
ডা কামাল আহমেদ
গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ, সুইডেন

কোভিদ-১৯ ভ্যাকসিন এর উৎস
ভারত থেকে আসা কোভিদ নাইনটিন ভ্যাকসিন হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার ই ভ্যাকসিন, যা স্থানীয়ভাবে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII) দ্বারা উত্পাদিত হচ্ছে। ভারত সহ মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশে এই ভ্যাকসিনের এক বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের জন্য অস্ট্রাজেনেকা (ব্রিটিশ-সুইডিশ মাল্টি ন্যাশনাল ফার্মাসিটিক্যাল কম্পানি) এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) একটি লাইসেন্স চুক্তি করেছে।[1] [2]

এই চুক্তির আওতায় অক্সফোর্ড - অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিনটি ভারত থেকে কোভিশিল্ড নামেই মার্কেটিং হচ্ছে। এই ভ্যাকসিনটি অস্ট্রাজেনেকার অনুমোদিত প্রযুক্তিতে উৎপাদিত। তাই এই ভ্যাকসিনের বর্ণিত কার্যকারিতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।[3]

উদ্ভাবন
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটে ক্লিনিকাল পরীক্ষার জন্য করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচটি তৈরি করা হয়েছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণাকারী দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সারা গিলবার্ট, অ্যাড্রিয়ান হিল, অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লম্বে, স্যান্ডি ডগলাস এবং ক্যাথরিন গ্রিন। [4] [5]

কোভিশিল্ড নামে পরিচিত এই ভ্যাকসিনটি শিম্পাঞ্জি থেকে নেয়া একটি সাধারণ ঠান্ডার ভাইরাস (অ্যাডেনোভাইরাস হিসাবে পরিচিত) এর দুর্বল সংস্করণ থেকে তৈরি করা হয়েছে। এই ঠান্ডার ভাইরাসটিকে মডিফাই করে দেখতে করোনাভাইরাস এর মত করা হয়েছে। তাই এটি করোনাভাইরাস প্ররোচিত এন্টিবডি তৈরি করে কিন্তু শরীরে কোন রোগ সৃষ্টি করতে পারে না।

যখন ভ্যাকসিনটি কোনও রোগীর মধ্যে ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়, তখন এটি শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা থেকে অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু করে যা করোনভাইরাসের সংক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এই ভ্যাকসিনটি এক থেকে তিন মাসের ব্যবধানে দুটি ডোজে দেওয়া হয়। এটি ঘরোয়া রেফ্রিজারেটরের মতো 2 থেকে ৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় নিরাপদে সংরক্ষণ করা যায়। এই ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা ৯০% পর্যন্ত। [6]

২০২০ সালের ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ সরকার বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল এর মাধ্যমে ৩০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনার জন্য অর্ডার করে। [7]

কাদের জন্য এই ভ্যাকসিন প্রযোজ্য?
এই ভ্যাকসিনটি শুধুমাত্র ১৮ বছর বয়স থেকে দেওয়ার জন্য অনুমোদিত। ১৮ বছরের নিচের রোগীদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা এখনো পরীক্ষা করা হয় নাই। [8]

কি কি ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না অথবা দেওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে?
- রোগীর যদি জ্বর থাকে
- রোগী যদি প্রেগনেন্ট হয় অথবা শীঘ্রই বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করে
- যদি মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান
- আগে কোন ভ্যাকসিন থেকে এলার্জিক রিএকশন হয়ে থাকলে
- রক্ত জমাট বাঁধার কোনো রোগ থাকলে
- রক্ত পাতলা করার কোন ঔষধ খেলে
- যদি কেউ অন্য কোন কোম্পানির কোভিদ ভ্যাকসিন নিয়ে থাকে
- যদি রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে [8]

কিভাবে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয় :
০.৫ মিলি করে দুটি ডোজ চার থেকে ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে মাংসপেশিতে দেওয়া হয়

কোভিদ ভ্যাকসিন-১৯ এর সুবিধা
চলমান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে চার থেকে ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে এই ভ্যাকসিন এর দুটি ডোজ নেওয়া হলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে। এই ভ্যাকসিন কতদিন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করবে, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। [8]

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এখনো এই ভ্যাকসিন এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার পরিপূর্ণ লিস্ট করা যায় নাই। এখন পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুসারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই সামান্য।

প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের হতে পারে এমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে
- ইনজেকশন দেওয়ার জায়গা ব্যথা করা, ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া, চুলকানি হওয়া ইত্যাদি
- শরীরে জ্বর আসা অথবা জ্বর জ্বর ভাব হওয়া
- ক্লান্ত অনুভব করা
- অস্বস্তি অনুভব করা
- মাথা ব্যাথা করা
- বমি করা অথবা বমি বমি ভাব লাগা
- শরীরের মাংসপেশি কিংবা জয়েন্টে ব্যথা করা
- সাধারণ ঠান্ডা কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেওয়া [8]

প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজনের হতে পারে এমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে
- মাথা ঘুরানো, ক্ষুধামন্দা, পেট ব্যথা, লিম্ফ নোড বড় হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, শরীর চুলকানো অথবা শরীরে গোটার মতো হওয়া ইত্যাদি।
- যেহেতু এই ভ্যাকসিনটি ট্রায়াল' পর্যায়ে আছে তাই গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও হতে পারে। [8]

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে কি করনীয়
যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেই আপনি আপনার নিকটস্থ ডাক্তার এবং টিকা প্রদানকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করুন। যেকোনো এলার্জিক রিএকশন বা গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে সাথে সাথে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

সূত্রঃ
1) Rajagopal, Divya (4 June 2020). "AstraZeneca & Serum Institute of India sign licensing deal for 1 billion doses of Oxford vaccine". The Economic Times.
2) Kumar, Mayank (7 August 2020). "Covid-19 vaccine: Serum Institute signs up for 100 million doses of vaccines for India, low and middle-income countries". The Financial Express.
3) "Already produced 40-50 million dosages of Covishield vaccine, says Serum Institute". The Hindu. 28 December 2020.
4) "Oxford team to begin novel coronavirus vaccine research". University of Oxford. 7 February 2020. Retrieved 28 November 2020.
5) "COVID-19 Vaccine Trials | COVID-19". covid19vaccinetrial.co.uk. Retrieved 11 April 2020.
6) https://www.bbc.com/news/world-asia-india-55748124
7) "Dhaka to have 330 vaccination points". The Daily Star. Retrieved 25 January 2021.
😎https://www.seruminstitute.com/pdf/covishield_fact_sheet.pdf

21/01/2021

সিজারিয়ান ডেলিভারি : একটি অন্যরকম সন্তান প্রসব পদ্ধতি (দ্বিতীয় পর্ব)
ডা কামাল আহমেদ
গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ, সুইডেন

ইমারজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারি
সব সিজারিয়ান ডেলিভারির মধ্যে অর্ধেকেরও কম সংখ্যক হচ্ছে ইমারজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারি যা জরুরী ভিত্তিতে করা হয়। ইমারজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারি তখনই করা হয় যখন গর্ভবতী মায়েদের প্রসব বেদনা থাকে অথবা যদি গর্ভস্থ বাচ্চার তাৎক্ষণিক কোনো সমস্যার কারণে জরুরী ভিত্তিতে বাচ্চাকে মায়ের পেট থেকে বের করতে হয়। ইমারজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারির সবচেয়ে কমন কারণ হচ্ছে প্রসব বেদনার কারণে জরায়ুর মধ্যে গর্ভস্থ বাচ্চার চাপে থাকা। ওই সময় বাচ্চা মায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পেতে পারে না। অক্সিজেনের অভাব বাচ্চার হৃদস্পন্দন এ প্রভাব ফেলে যা সিটিজি ট্রেসিং এ (অনেকটা ইসিজির মত) বোঝা যায়। এই সিটিজি ট্রেসিংএ বাচ্চার হৃদস্পন্দনের গতির উঠানামার ধরন দেখে বাচ্চার ভালো মন্দ বুঝা যায়। অনেক সময় বাচ্চার রক্তে অক্সিজেনের অভাব নিশ্চিত করতে বাচ্চার মাথা থেকে ডায়াবেটিসের সুগার টেস্টের মতো (Scalp test: Lactate) এক ফোটা রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তবে গর্ভস্থ বাচ্চার রক্তের এই পরীক্ষা শুধুমাত্র জরায়ুর মুখ খুললেই করা যায়। অনেক সময় মায়ের কোমর বা শ্রোণীর (pelvis) মধ্য দিয়ে বাচ্চার মাথায় ঢুকতে সমস্যা হতে পারে। তখন বাচ্চার মাথা যদি নিচের দিকে না নামে, তাহলে প্রসব প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘায়িত হতে পারে। এই কারণেও অনেক ইমার্জেন্সী সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয়। অনেক সময় মায়েদের পর্যাপ্ত ব্যথা থাকা সত্ত্বেও অজানা কোন কারণে জরায়ুর মুখ খুলতে পারে না। তখন একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে যদি প্রসব প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি দেখা না যায় তাহলেও ইমারজেন্সি সিজার করে বাচ্চা ডেলিভারি করা হয়ে থাকে।

অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ঔষধ দিয়ে মায়েদের কৃত্রিমভাবে প্রসব বেদনা উঠানো চেষ্টা করা হয়ে থাকে, যাকে ইন্ডাকশন (Induction) বলা হয়। এই কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডেলিভারির ডেট পার হয়ে যাওয়া এবং মায়েদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যথা না উঠা। ডেলিভারি ডেটের আগে মায়েদের বা গর্ভস্থ বাচ্চাদের কোনো সমস্যা হলেও কৃত্রিম ভাবে প্রসব বেদনা উঠানোর চেষ্টা করা হয়। আর এই কৃত্রিমভাবে প্রসব বেদনা উঠানোর চেষ্টা করা মানেই ইমারজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারি অতিরিক্ত ঝুঁকি নেয়া। কারণ অনেক সময়ই মায়ের শরীরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই কৃত্রিম প্রসব বেদনা উঠানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। যদি মা এবং বাচ্চা ভালো থাকে, তাহলে এই প্রসব বেদনা উঠানোর প্রচেষ্টা সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত করা হয়ে থাকে।

ইমারজেন্সি সিজার পরবর্তী প্রশ্ন
বেশিরভাগ সময়ই বাবা- মায়েরা জরুরী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকেন না। তাদের জন্য তখন অনেক সময় বুঝতে কঠিন হয় কেন জরুরী ভিত্তিতে ইমারজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হচ্ছে। তাই বাবা মায়েদের উচিত কয়েকদিন অপেক্ষা করা আর শুধু বাচ্চার যত্নের দিকে মনোনিবেশ করা। তবে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার আগে বাবা-মায়েরা ডাক্তার এবং নার্সদের সাথে বসে ঘটনা পর্যালোচনা করা নিতে পারেন।

সিজারিয়ান ডেলিভারি অপারেশন
পরিকল্পিত বা ইলেকটিভ সিজারিয়ান অপারেশন সাধারণত ডেলিভারি ডেটের এক সপ্তাহ আগে করা হয়ে থাকে। গর্ভস্থ বাচ্চার ফুসফুসের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য যতদিন পারা যায় বাচ্চাকে মায়ের পেটে থাকতে দেওয়া হয়। ইমারজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারি অপারেশন কতক্ষনের মধ্যে করতে হবে তা সাধারণত বাচ্চা বা মায়ের শারীরিক অবস্থা এবং প্রসব প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। তবে ইমাজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারি সাধারণত সর্বোচ্চ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে করা হয়ে থাকে।

সিজারিয়ান অপারেশনের সময় অপারেশন থিয়েটারে অনেক লোকজন থাকে এবং ফলে মায়েরা হয়তো সন্তান প্রসবের প্রাইভেসি বোধ নাও অনুভব করতে পারেন। হাসপাতাল ভেদে অপারেশন থিয়েটারে কমপক্ষে ছয় জন থেকে আরও অনেক লোক উপস্থিত থাকতে পারে। অপারেশন থিয়েটারে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে ন্যূনতম একজন অজ্ঞানকারী ডাক্তার, একজন ওটি বয়, কমপক্ষে দুইজন সার্জন, একজন শিশু ডাক্তার ও একজন নার্স থাকে। আর যদি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়, তাহলে অনেক মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্নি ডাক্তার থাকতে পারে।

সিজারিয়ান ডেলিভারি অপারেশন সাধারণত মেরুদন্ডের এনেস্থিসিয়ার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করা হয়। সিজারিয়ান অপারেশনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করার একটাই সুবিধা, বাচ্চাকে খুব তাড়াতাড়ি পেট থেকে বের করা যায়। আর মেরুদন্ডের এনেস্থিসিয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, মায়েরা সাধারণতঃ সজাগ থাকেন এবং বাচ্চার কান্না শোনার মাধ্যমে বাচ্চাজন্ম দেওয়ার অনুভূতিটা পাওয়া।

মেরুদন্ডের এনেস্থিসিয়া
মেরুদন্ডের এনেস্থিসিয়ার মাধ্যমে সাধারণতঃ পায়ের আঙ্গুল থেকে বুক পর্যন্ত অবশ করা হয়ে থাকে। পরিকল্পিত বা ইলেকটিভ সিজারিয়ান অপারেশন সব সময় এই পদ্ধতিতে করা হয়ে থাকে। ইমারজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারিও সাধারণত এই পদ্ধতিতে করা হয়, তবে এই পদ্ধতির জন্য কমপক্ষে পনের থেকে বিশ মিনিট সময়ের প্রয়োজন পড়ে। তবে খুবই বিরল পরিস্থিতি, যেমন আপনার ডাক্তার যদি মনে করেন বাচ্চাকে সর্বোচ্চ দশ মিনিটের মধ্যে পেট থেকে বের করতে হবে। শুধুমাত্র তখনই সম্পূর্ণ অজ্ঞান বা জেনারেল এনেস্থিসিয়া করা হয়। তবে মায়ের মেরুদন্ডে কোন সমস্যা থাকলে কিংবা এনেস্থিসিয়ার ডাক্তার যদি মেরুদন্ডের নালী খুঁজে না পান সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করার প্রয়োজন পড়ে। মেরুদন্ডে অজ্ঞানের ঔষধ পুশ করার পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মধ্যেই অবশ ক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি পা থেকে বুক পর্যন্ত গরম অনুভব করা শুরু করবেন। মেরুদন্ডের এনেস্থিসিয়া যখন পুরোপুরি কার্যকর হয় তখন আপনি বুক থেকে পা পর্যন্ত কোন ব্যথা অনুভব করবেন না। তবে অনুভূতি ঠিকই টের পাবেন। সার্জনরা যখন অপারেশন করতে থাকবেন, আপনি তখন আপনার পেটের উপর তাদের অপারেশনের কাজকর্ম টের পাবেন, কিন্তু ব্যথা অনুভব করবেন না।

জেনারেল এনেসথেসিয়া বা সম্পূর্ণ অজ্ঞান
জেনারেল এনেসথেসিয়া হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুততম অজ্ঞান করার প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগীকে সম্পূর্ণ ভাবে অজ্ঞান করা যায়। জেনারেল এনেসথেসিয়া সাধারণত খুব খুব ইমারজেন্সি (কোন কারণে বাচ্চাকে সর্বোচ্চ 10 মিনিটের মধ্যে পেট থেকে বের করতে হলে) পরিস্থিতিতে করা হয়। আপনি যদি ছয় ঘণ্টার মধ্যে কিছু খেয়ে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে হয়তো বা আপনা নাকে নল দিয়ে পাকস্থলী খালি করা হতে পারে। পাকস্থলীতে খাবার থাকলে সেই খাবার ফুসফুসে গিয়ে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এরমধ্যে হয়তো মূত্রনালী দিয়ে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে আপনার মূত্রথলি খালি করা হতে পারে। মুত্রথলি খালি না থাকলে অনেক সময় সার্জনদের জরায়ুর নিচের অংশ বের করতে সমস্যা হয় এবং অপারেশন করে বাচ্চা বের করতে দেরি হয়। আপনার রক্তে অক্সিজেনের রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য প্রথমে আপনাকে মাস্ক এর মাধ্যমে কিছুক্ষণ খাটি বা pure অক্সিজেন দেওয়া হবে। এর মধ্যে যখন সিজারিয়ান অপারেশন করার সব প্রস্তুত সম্পন্ন হয়ে যাবে, তখন আইভি ক্যানোলার (IV cannula) মাধ্যমে আপনার শিরা দিয়ে দ্রুত কার্যকরী অজ্ঞানের ওষুধ দেওয়া হবে এবং তার এক মিনিটের মধ্যেই আপনি গভীর ঘুমে চলে যাবেন এবং আর কিছুই টের পাবেন না।

তারপর আপনার যখন ঘুম ভাঙবে এরই মধ্যে আপনার অপারেশন শেষ হয়ে যাবে। বাচ্চা সুস্থ থাকলে সম্ভবত আপনার স্বামীর কাছে থাকবে। জেনারেল এনেসথেসিয়ায় সম্পূর্ণ অজ্ঞান থাকার কারণে গলায় একটি প্লাস্টিকের নল ঢুকিয়ে কৃত্তিম ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস চালানো হয়। তাই ঘুম ভাঙ্গার পরে ওই প্লাস্টিকের নলের কারণে আপনি গলায় ব্যথা অনুভব করতে পারেন এবং কাশতে পারেন। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং কয়েকদিন মধ্যেই এই অবস্থা ভালো হয়ে যায়। বেশিরভাগ মায়েরাই এই অপারেশনের পরপর অজ্ঞান অবস্থা থেকে কিছু সময়ের জন্য জেগে উঠেন। তবে সবাই অপারেশনের পরে অজ্ঞানের ওষুধের জন্য নিস্তেজ অনুভব করেন এবং আবার ঘুমিয়ে পড়েন। কেউ কেউ অল্প কিছুক্ষণের জন্য ঘুমান আবার কেউ কেউ কয়েন ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমাতে পারেন।

পরবর্তী পর্বঃ সিজারিয়ান অপারেশন এবং প্রসব পরবর্তী সময়

19/01/2021

সিজারিয়ান ডেলিভারি : একটি অন্যরকম সন্তান প্রসব পদ্ধতি (প্রথম পর্ব)
ডা কামাল আহমেদ
গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ, সুইডেন

সন্তান জন্ম দেওয়া হচ্ছে একটি নারীর জীবনে সবচেয়ে বেশি অনুভূতিশীল ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। গর্ভকালীন এবং প্রসবকালীন অনেক জটিলতা অনেক সময় তাদেরকে কিছু অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার সম্মুখীন করতে পারে। যা পরবর্তীতে তাদের জীবনে শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব ফেলে, যেমন সিজারিয়ান সেকশন (Caesarean section) বা সিজারিয়ান ডেলিভারি।

সিজারিয়ান ডেলিভারি হচ্ছে মায়ের পেট এবং জরায়ু কেটে মায়ের পেট থেকে বাচ্চাকে থেকে বের করে আনা। সিজারিয়ান ডেলিভারি, সাধারণত পরিকল্পিতভাবে (Elective Caesarean section) অথবা অপ্রত্যাশিতভাবে জরুরী (Emergency Caesarean section) হিসেবে করা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষই এই সিজারিয়ান ডেলিভারিকে অস্বাভাবিক ভাবে বাচ্চা প্রসবের পদ্ধতি হিসেবে মনে করেন। যদিও এই পদ্ধতিতে বাচ্চা প্রসব করা এখন অনেক প্রচলিত। বিশ্বে এই সিজারিয়ান ডেলিভারির সংখ্যা প্রায় পনেরো থেকে পঁচিশ শতাংশ। তবে এর অর্ধেকেরই বেশি হচ্ছে ইলেকটিভ অর্থাৎ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে।

কেন এই সিজারিয়ান ডেলিভারি সংখ্যা বাড়ছে?
একটা কারণ হতে পারে সিজারিয়ান ডেলিভারির প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে এবং গর্ভবতী মায়েরা সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়াকে একটি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে দেখা শুরু করেছেন। অনেক ডাক্তাররাই নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ঝুঁকি নিতে চান না। তাছাড়া ডাক্তারদের পক্ষে সিজারিয়ান সেকশন এর মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করানো অনেকটাই সহজ এবং ঝক্কি-ঝামেলা মুক্ত এবং সেটা নরমাল ডেলিভারি তুলনায় খুবই স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু সিজারিয়ান ডেলিভারির সুবিধার সাথে সাথে অনেক অসুবিধা ও আছে। কিন্তু মায়েদের জন্য এই সিজারিয়ান ডেলিভারি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়।

সিজারিয়ান ডেলিভারির আগে ও পরে আমাদের কি কি জিনিস চিন্তা করা দরকার এবং কি কি পরামর্শ নেওয়া দরকার সেগুলো আমি এই লেখায় আলোচনা করার চেষ্টা করব। সিজারিয়ান ডেলিভারির সাথে সাথে শরীর এবং মনের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়। এই লেখাটি শুধুমাত্র সন্তান প্রত্যাশাকারী মায়েদের জন্যই নয়। বাবারাও এর থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং মায়েদের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থাটা বুঝতে পারবেন। এতে করে বাবারা যৌথভাবে মায়েদের সাথে বাচ্চাকে সঠিকভাবে লালন পালন করতে পারবেন।

একটি পরিকল্পিত বা ইলেকটিভ সিজারিয়ান ডেলিভারির আগে মায়েরা সাধারণত নার্স, প্রসবকারী ডাক্তার এবং অজ্ঞানকারী ডাক্তারদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংবলিত নির্দেশে উপদেশ পেয়ে থাকেন। ডাক্তার এবং নার্সরা সাধারণত মায়েদেরকে যথাযথভাবে বর্ণনা করা চেষ্টা করেন কিভাবে এই সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয়। মায়েরাও তখন প্রশ্ন করার এবং তাদের নিজস্ব ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করার সুযোগ পান কিন্তু এই সিজারিয়ান ডেলিভারি যদি ইমার্জেন্সি বা জরুরী ভিত্তিতে করা হয়। তখন বাবা-মায়েরা অনেক কিছুই আগে থেকে জানার সুযোগ পান না। তাই মা-বাবা যদি আগে থেকেই এই সিজারিয়ান ডেলিভারি সম্পর্কে জেনে থাকেন, তখন তাদের পক্ষে যেকোনো সময় একটি জরুরী সিজারিয়ান ডেলিভারির পরিস্থিতি সামলানো অনেক সহজ হয়।

পরিকল্পিত বা ইলেকটিভ সিজারিয়ান ডেলিভারির আগেই আপনার প্রসবকারী ডাক্তার, নার্স এবং অজ্ঞানকারী ডাক্তার বা এ্যানেসথেটিষ্ট সাথে দেখা করে অপারেশন সম্বন্ধে জেনে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পিত বা ইলেকটিভ সিজারিয়ান ডেলিভারি সাধারণত স্পাইনাল বা মেরুদন্ডের এনেস্থিসিয়ার মাধ্যমে করা হয়। যদি সম্ভব হয় আগে থেকেই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, ওয়ার্ড বা কেবিন দেখে নিতে পারেন। অপারেশনের সময় তখন নিজেকে সম্পূর্ণ অপরিচিত জাগায় মনে হবে না এবং সে ক্ষেত্রে আপনি অনেক কম স্নায়বিক চাপ অনুভব করবেন। আপনি যত কম নার্ভাস থাকবেন, আপনার শরীর ও হৃদপিণ্ড তত স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে। সেক্ষেত্রে এনেস্থিসিয়া জনিত জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

যদি সম্ভব হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আপনার পাশে, মাথার কাছে আপনার স্বামীকে উপস্থিত রাখতে পারেন। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আপনার স্বামী বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথে ছবিও তুলতে পারেন। তবে অপারেশনে জটিলতা সৃষ্টি হলে আপনার স্বামীকে সম্ভবত অপারেশন থিয়েটার থেকে বাইরে চলে যেতে হতে পারে।

যদি বাচ্চা সুস্থ থাকে তবে আপনি জন্মের সাথে সাথে বাচ্চাকে আপনার বুকে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন।আপনার গায়ের গন্ধে এবং আপনার হৃদস্পন্দনে শিশু অনেক ভালো বোধ করবে। আপনিও আপনার সন্তানকে বুকে পেয়ে শারিরীক ভাবে ভালো বোধ করবেন। মনে রাখবেন আপনি আপনি যত শান্ত থাকবেন, অপারেশন কালীন সময়ে জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনাও তত কম থাকবে। অপারেশন কালীন সময়ে চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে। আপনার নিপল থেকে বাচ্চার দুধ খাওয়ার চেষ্টা আপনার জরায়ু সংকোচনে সাহায্য করবে। এতে করে আপনার জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ কম হবে। যদি কোন কারনে আপনি বাচ্চাকে বুকে নিতে না পারেন তবে চেষ্টা করবেন বাচ্চার পাশে আপনার ব্যবহারকৃত জামা কাপড় রাখার। তাতে বাচ্চা আপনার গায়ের গন্ধ পেয়ে নিরাপদ অনুভব করবে এবং ভালো থাকবে। যদি অপারেশন মেরুদন্ডের এনেস্থিসিয়ার পরিবর্তে জেনারেল এনেসথেসিয়া বা সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে করা হয়, তবে সেক্ষেত্রে স্বামীদেরকে মায়েদের পাশে রাখা হয় না। জেনারেল এনেস্থিসিয়ার সময় আপনাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হলেও, ডেলিভারি হওয়ার পর পর আপনার বাচ্চাকে আপনার বুকে নেওয়ার ইচ্ছা আগে থেকেই বলে রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একজন নার্স অপারেশনের পর পরই বাচ্চাকে আপনার বুক থেকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে পারে।

কেন এই সিজারিয়ান ডেলিভারি

একেকজনের প্রেগনেন্সি এবং ডেলিভারি একেক রকম। কোন মায়ের প্রেগনেন্সি কেমন যাবে এবং কিভাবে ডেলিভারি হবে এটা আগে থেকে বলা খুবই মুশকিল। যে কোনো সময় আপনার পেটের বাচ্চার অথবা আপনার নিজের উপর যে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে পারে। তখন ইমারজেন্সি সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে আপনার বাচ্চা ডেলিভারি করার প্রয়োজন হতে পারে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ও পরিকল্পিত বা ইলেকটিভ সিজারের মাধ্যমে আপনার বাচ্চাকে ডেলিভারি করা হতে পারে। সাধারণতঃ যখন নরমাল ডেলিভারি করার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় শুধু মাত্র তখনই সিজারিয়ান সেকশন এর মাধ্যমে ডেলিভারি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।চিকিৎসা বিজ্ঞানে সিজারিয়ান সেকশন কে বাচ্চা প্রসবের কোন বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে দেখা হয়না। ইমারজেন্সি সিজারিয়ান ডেলিভারির কারণ হাসপাতাল ও ডাক্তার ভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে।

পরিকল্পিত বা ইলেকটিভ সিজারিয়ান ডেলিভারি

বর্তমানে সারা বিশ্বে অর্ধেকের চেয়েও বেশি সিজারিয়ান ডেলিভারি পরিকল্পিত ভাবে করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পেটের মধ্যে বাচ্চার বৃদ্ধি ঠিকমতো না হওয়া এবং মায়ের হাই ব্লাড প্রেসার যুক্ত প্রি একলামশিয়া রোগ। যদি জরায়ুর ফুল জরায়ুর মুখ বন্ধ করে রাখে তবে অবশ্যই সিজারিয়ান সেকশন এর মাধ্যমে বাচ্চাকে ডেলিভারী করতে হবে। অন্যথায় বাচ্চা জরায়ু থেকে বের হওয়ার আগেই জরায়ুর ফুল থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে যা আপনার এবং আপনার বাচ্চার জন্য বিপদ জনক হতে পারে।

তাছাড়া আপনার কোমর বা শ্রোণীর (Pelvis) মাপ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়, তবে সে ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব নাও হতে পারে। এ ছাড়া আপনার বাচ্চা যদি তথাকথিত উল্টো পজিশনে থাকে যেমন বাচ্চার মাথা উপরের দিকে থাকা (Breech presentation), সেটা ও সিজারিয়ান ডেলিভারির অন্যতম একটি কারণ হতে পারে। অনেক মায়েরা প্রসব বেদনার ভয়ে ও পরিকল্পিত বা ইলেকটিভ সিজারিয়ান সেকশন এর মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দিয়ে থাকেন।

পরবর্তী পর্ব: ইমারজেন্সি সিজারিয়ান সেকশন এবং সিজার অপারেশন কালীন সময়

Adress

Nyköping

Aviseringar

Var den första att veta och låt oss skicka ett mail när Telemedicine.click postar nyheter och kampanjer. Din e-postadress kommer inte att användas för något annat ändamål, och du kan när som helst avbryta prenumerationen.

Kontakta Praktiken

Skicka ett meddelande till Telemedicine.click:

Dela