Dr.Rezowana Akter-Dental Surgeon

Dr.Rezowana Akter-Dental Surgeon I am a doctor and want to serve the community.

04/06/2025

আমরা আবার মাস্ক পরার দিকে ফিরে যাচ্ছি। COVID-Omicron XBB অতীতের থেকে আলাদা কারণ এটি মারাত্মক এবং সনাক্ত করা সহজ নয়, তাই সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

১. নতুন COVID-Omicron XBB এর লক্ষণগুলি হল:

i). কাশি নেই।
ii). জ্বর নেই।

iii). জয়েন্টে ব্যথা।

iv). মাথাব্যথা।
v). গলা ব্যথা।

vi). পিঠে ব্যথা।

vii). নিউমোনিয়া।

viii). ক্ষুধা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২. এছাড়াও, COVID-Omicron XBB ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং এর মৃত্যুর হারও বেশি।

৩. খুব অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষণগুলি অত্যন্ত তীব্র হয়ে উঠবে এবং স্পষ্ট লক্ষণগুলির অনুপস্থিতিতেও পরিবর্তন ঘটবে।

৪. তাই আপনাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

* এই রূপটি নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল অঞ্চলে পাওয়া যায়নি, এবং তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এটি সরাসরি ফুসফুসের "জানালা" প্রভাবিত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখাতে শুরু করে।

৫. COVID-OmicronXBB-তে সংক্রামিত অল্প সংখ্যক রোগীকে জ্বর-মুক্ত এবং ব্যথা-মুক্ত হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, তবে এক্স-রেতে হালকা নিউমোনিয়া দেখা যায়। এছাড়াও, নাকের গহ্বরের মধ্য দিয়ে তুলার সোয়াব পরীক্ষা করে COVID-Omicron XBB নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল পরীক্ষার সময় মিথ্যা নেতিবাচক পরীক্ষার উদাহরণ বাড়ছে। তাই এই ভাইরাসটি খুবই ধূর্ত। এর ফলে, ভাইরাসটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি মানুষের ফুসফুসকে সংক্রামিত করে, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি ব্যাখ্যা করে যে কেন COVID-Omicron XBB এত সংক্রামক এবং মারাত্মক হয়ে উঠেছে। *

৬. যতটা সম্ভব জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গায় এমনকি ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, মাস্কের উপযুক্ত স্তর পরুন এবং লক্ষণ ছাড়া কাশি বা হাঁচি না দিলে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।

এই COVID-Omicron XBB "WAVE" প্রথম COVID-19 মহামারীর চেয়েও মারাত্মক।
* অতএব, বিচক্ষণ, বৈচিত্র্যময় এবং নিবিড় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

অনুগ্রহ করে আপনার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের যতটা সম্ভব বলুন।

নিরাপদ থাকার জন্য বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে ভুলবেন না।
©️Copy post

18/05/2025

১. শার্ট বা জামার ওপর দিয়ে ব্লাড প্রেশার মাপলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ মিলিমিটার মার্কারি বেশি আসতে পারে।

২. বিপি মাপার সময় বা একাধিকবার মাপার মধ্যবর্তী সময়ে কথা বললে ৪-১৯ মিমি মার্কারি বেশি আসতে পারে।

৩. দিনের প্রথম সিগারেট বিপি ২০ মিমি মার্কারি বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪. যদি বাহুর নিচে সাপোর্ট না থাকে অর্থাৎ হাত ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে, তাহলে বিপি ৫-২০ মিমি বেশি আসতে পারে।

৫. যদি পিঠের পেছনে কোনো সাপোর্ট না থাকে, বিপি ৫ মিমি পর্যন্ত বেশি আসতে পারে।

৬. যদি প্রস্রাবের চাপ নিয়ে বিপি মাপা হয়, ৪-৩৩ মিমি পর্যন্ত বেশি আসতে পারে।

৭. যদি সাবজেক্টের বাহুর তুলনায় ব্লাড প্রেশার মাপার মেশিন আনুপাতিকভাবে ছোটো হয়, তবে বিপি ৫-২০ মিমি বেশি আসতে পারে।

৮. বিপি মাপার আগের ৩০ মিনিটের মধ্যে কেউ যদি ক্যাফেইন পান করে, তাহলে বিপি ৩-১৫ মিমি পর্যন্ত বেশি দেখাতে পারে।

৯. পা যদি ক্রস করা থাকে (এক পায়ের ওপর আরেক পা), সেক্ষেত্রে বিপি ৩-১৫ মিমি পর্যন্ত বেশি আসতে পারে।

১০. ব্লাড প্রেশার মাপা একেবারেই মামুলি কোনো কাজ নয়। উপরের ৯টি বিষয়ের প্রত্যেকটিই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিপি দেখাতে পারে। অনেক নিয়ম-কানুন মেপে অনেক দিক বিবেচনা করে সঠিকভাবে ব্লাড প্রেশার মাপতে হয়। কোনো এক ওষুধের দোকানদার ব্লাড প্রেশার মেপে দিলো, আর তা দেখেই ওষুধ শুরু করে দেওয়া বা বন্ধ করে দেওয়া কোনোটাই সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয়।

এবারের ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশান ডে-এর থিম হচ্ছে, Measure Your Blood Pressure Accurately, Control it, Live Longer.

অর্থাৎ আপনার ব্লাড প্রেশার সঠিকভাবে মাপুন, নিয়ন্ত্রণ করুন, দীর্ঘদিন বাঁচুন।

হাইপারটেনশান নিয়ে লেখা সিরিজের এটি ১৮তম পর্ব।

ডা. মারুফ রায়হান খান
উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
৩৯ তম বিসিএস
Founder, NextGen Clinicians
Online Consultation : 01936533993

রাখে আল্লাহ!! মারে কে?এই কথাটার মর্ম গতকাল রাতে আবার বুঝতে পারলাম, নতুন করে। আমাদের গাইনী ইউনিট ১ এ এক রোগী আসলো ৫ মাসের...
16/05/2025

রাখে আল্লাহ!! মারে কে?

এই কথাটার মর্ম গতকাল রাতে আবার বুঝতে পারলাম, নতুন করে। আমাদের গাইনী ইউনিট ১ এ এক রোগী আসলো ৫ মাসের গর্ভবতী, রক্ত এবং পানি ভাঙ্গা নিয়ে। এ ছাড়া উনারা আর কোনো হিস্টোরি দেন নি। আমরা আমাদের মত থ্রেটেন্ড এ্যাবর্শন চিন্তা করে ট্রিটমেন্ট চালু করি। পরের দিকে দেখি পেশেন্ট শকে যাচ্ছে!! তারমানে কোথাও ইন্টারনাল ব্লিডিং হচ্ছে !? USG রিপোর্ট আসলে দেখি IUD সাথে রাপচার্ড ইউটেরাস!! পেশেন্ট পার্টিকে আবার ধরা হলো। এবার জানা গেলো এক নতুন কাহিনী!!

তাদের ভাষ্যমতে:-
তারা কোনো এক কোয়াক এর কাছে ৫ মাসে বাচ্চা নষ্ট করতে গিয়েছিলেন। কোয়াক কী একটা জিনিস ঢুকালো, এবং তারপর থেকে রোগীর এই অবস্থা। পরে কন্ট্রোল করতে না পেরে রোগীকে তারা হাসপাতালে নিয়ে আসলেন।

রাত তখন ১০ টা।
বুঝতে পারলাম যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে, রাপচার্ড ইউটেরাস!! তা না হলে রোগী বাঁচবে না!! কিন্তু ভিতরের ঘটনা ছিল আরো ভয়াবহ!! অ্যানি আপু অর্ডার দিয়ে ওটি রেডি কর। ব্লাড ডিমান্ড দাও। এনেসথেসিয়া তে দেখি ইকবাল স্যার। সাথে সাথে ছুটে আসলো আরবী আপু, সিফাতি আপু এবং ইউনিট ২ থেকে সুরভী আপু। আমরা উভয় ইউনিটের চিকিৎসকেরা তখন একসাথে,এক টেবিলে।

ওপেন করার পর দেখা গেল, শুধু রক্ত!! রক্ত আর রক্ত!! ইন্টারনাল ইলিয়াক আর্টারির ব্রাঞ্চ গুলো সব লেসেরেটেড!!
এরকম কেমনে হলো? পরে বোঝা গেলো, ওই কোয়াক যখন বাচ্চা নস্ট করার জন্য D&C করেছিল, তখন কিউরেট, ইউটেরাস ফুটো করে, ভিতরে ঢুকে গিয়ে এই বাজে অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। এত গুলো ব্রাঞ্চ ছেড়া এবং প্রচুর রক্তপাতের কারণে কিছু ঠিক মত দেখাই যাচ্ছে না। কোনো মতেই রিপেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না। ছুটে এসে ওটি তে উপস্থিত হলেন নফসি আপু। এই দিকে প্রচুর রক্তপাতে রোগী পুরো ঝুঁকিপূ্র্ণ। বিপি পাওয়া যাচ্ছে না, পালস হলো ২০০। ব্লাড পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধানীতে ব্লাড দিল আমাদেরই দুইজন জুনিয়র। একে একে ১৪ ব্যাগ ব্লাড দেওয়া হলো। সর্বমোট ৫ টা চ্যানেল ওপেন করা হলো শরীরে। যখন রোগীর এরকম যায় যায় অবস্থা, তখন সবাই হতাশ হয়ে পড়লো। ইকবাল স্যার তার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছিল। এবার ছুটে আসলেন মাহবুব স্যার। এসে বললেন, আল্লাহ ভরসা! হাল ছাড়বো না। যতক্ষণ পর্যন্ত মনিটর বিপ বিপ শব্দ করছে তার মানে রোগী বেচে আছে!! রোগী যুদ্ধ করছে, আমরা ও আমাদের সাধ্যমত চেস্টা করবো। বিপি মেশিন খুলে নেওয়া হলো। আমরা সার্জন রা মনিটরের দিকে আর নজর দিবো না। এনেসথেসিয়া স্যারেরা সব দেখছেন।

ওদিকে রক্তপাত তখনও বন্ধ হয়নি। এ ধরনের রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ভাস্কুলার সার্জন দরকার। বগুড়াতে তো ভাস্কুলার সার্জন নেই। সার্জন সিদ্ধান্ত নিলেন আরো ওপেন করবেন। ইন্টারনাল ইলিয়াক আর্টারি রিপেয়ার করবেন। কিন্তু সেটাতেও ব্যার্থ হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, এখন যদি কিছু না করা হয় রোগী এমনিতেও মরবে। উনি রোগীকে আরো ওপেন করে কমন ইলিয়াক আর্টারি রিপেয়ারের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং সফল হলেন! ৬ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধের পর আসতে আস্তে স্ট্যাবল হলো পেশেন্ট। আবার বিপি ঠিক ঠাক হলো। অতঃপর আইসিইউতে পাঠানো হলো রোগীটিকে।

Now patient is completely stable conscious, oriented,urine output is satisfactory needs no ventilatory support.

** এত বড় ঘটনাটি শুধুমাত্র এইজন্য ই শেয়ার করা, অপারেশন শেষে স্যার বলেছিলেন, যদি এই পুরো অপারেশনের কাহিনী ভিডিও করা যেত, তাহলে সাধারণ মানুষ বুঝতো কি পরিমান ডেডিকেশন আর ধৈর্যের সাথে ডাক্তারেরা যুদ্ধ করে!! ভিডিও তো করা সম্ভব হয় নি, কিন্তু আসা করি এই সংক্ষিপ্ত ঘটনায় একটু হলেও আন্দাজ করা যায়, এই পুরো টিমের কষ্ট এবং পরিশ্রমের কাব্য। আমি আমার শজিমেকের শ্রদ্ধেয় স্যার, ম্যাডাম, সিনিয়র এবং জুনিয়রদের নিয়ে গর্বিত **

-ডা.সায়েম চৌধুরী

27/04/2025

একজন নারী চিকিৎসক ডিউটিতে ছিলেন। এরমধ্যেই বাসা থেকে তার কাছে একটা ফোন এসেছে।

তার ছোটো বাচ্চা বালতির পানিতে পড়ে গেছে। মাথাটা নিচের দিকে। পা উপরের দিকে। পাগুলো শুধু তড়পাচ্ছে।

কিসের ডিউটি কিসের কী। তিনি কাঁদতে কাঁদতে দ্রুত বাসায় গেলেন। আল্লাহর রহমাত যে বাচ্চাটিকে বাঁচানো গিয়েছিল।

তবে সবার ভাগ্য এই বাচ্চাটির মতো সুপ্রসন্ন হয় না।

আমার এক ভাতিজি মারা গিয়েছিল পানিতে ডুবে। সে ছিল আমাদের পুরো পরিবারের প্রথম ও তখন একমাত্র সন্তান। নাম ছিল আশা। সবার কতোটা আদরের ছিল আশা, কল্পনা করা যাবে না। সে-ই প্রথম কাউকে বাবা কাউকে মা কাউকে দাদা কাউকে দাদী কাউকে কাকা কাউকে কাকী কাউকে ফুপু কাউকে ফুপা হবার অনুভূতি দিয়েছিল।
.............

গ্রামে পুকুর থাকে। অনেক বাচ্চারা পুকুরে ডুবে মারা যায় এমন ঘটনা আমরা অহরহ শুনি।

শহরে পুকুর নেই। তবুও বাচ্চারা পানিতে ডুবে মারা যায়। ওয়াশরুমের বালতির পানিতে, বোলের পানিতে মারা যায় এমন শিশুর সংখ্যা অনেক।

শহরের বাসাগুলোতে অনেক সময় পানি থাকে না। তাই বালতিতে বা বোলে পানি জমিয়ে রাখার প্রবণতা থাকে যেন আপদকালে কাজে লাগে।

পানি দেখলেই বাচ্চাদের পানি নিয়ে খেলতে ইচ্ছে করে। সারাদিন ছুটোছুটি করা, কিছু না কিছু একটা করতে থাকাই তাদের বৈশিষ্ট্য।

চোখের পলকে তারা ওয়াশরুমে চলে যায়। গিয়ে দেখে বালতি বা বোলে পানি। অর্ধেক পূর্ণ।

সে হাত দেয়। পানি ধরতে চায়। নাগাল পায় না। সে তো নাছোড়বান্দা।

পায়ের ওপর ভর দিয়ে মাথাটা ঝুঁকিয়ে দিয়ে সে পানি ধরতে চায়। তার শরীরের ওপরের দিকের অংশের ওজন বেশি, মাথার ওজন বেশি। ব্যালেন্স রাখতে পারে না।

মাথাসহ শরীরের উপরের অংশ পানিতে ডুবে যায়। কিন্তু তার তো ক্ষমতা নেই এই ডুবে যাওয়া মাথা পানি থেকে ওঠাবার।

এই নিষ্ঠুর নিষ্ঠুর হৃদয় চূর্ণ করা শব্দচয়ন করতে আমার কষ্ট হচ্ছে খুব। তবুও জনসচেতনতা ও জনকল্যাণের উদ্দেশে লিখছি।

মাথা ডুবে যাবার খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে মৃত্যু ঘটতে পারে। অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে মাত্র দুই থেকে চার মিনিটের মধ্যে তার ব্রেইন ড্যামেজ হওয়া শুরু করে।

৪-৬ মিনিটের মধ্যে পার্মানেন্ট ব্রেইন ড্যামেজ ও মৃত্যু হতে পারে।

জাস্ট ২ ইঞ্চি পানিই যথেষ্ট একজন টোডলারের ডুবে যাবার জন্য যদি তার মাথার অংশটুকু আগে গিয়ে পানিতে পড়ে। একটা স্কেল বা টেপ নিয়ে দেখা যেতে পারে দুই ইঞ্চি কতো সামান্য পানি।

কী হয় আসলে?

শিশুর যখনই মাথা পানিতে ডুবে যায় সে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, প্যানিকড হয়ে যায়। শ্বাস বন্ধ করে রাখে। শরীরে কার্বন ডাই-অক্সাইড জমা হতে থাকে। ফলে যেকোনোভাবে নিঃশ্বাস নেয়ার প্রবল এক তাগিদ তৈরি হয়।

একসময় শিশুটি হঠাত করে একটু শ্বাস নেয়। কিছু পানি গিলে ফেলে।

এতে ল্যারিঙ্গোস্পাজম হতে পারে। অর্থাৎ রিফ্লেক্সের মাধ্যমে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যায়। যা কিছু সময়ের জন্য শ্বাসনালীতে পানি ঢুকতে বাধা দেয় ঠিকই, তবে বাতাস চলাচলও বন্ধ করে দেয়।

অক্সিজেন না পেলে ব্রেইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো ড্যামেজ হতে থাকে। ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই শিশু অচেতন হয়ে পড়ে।

অক্সিজেনের অভাবে হার্ট রেট কমে আসতে শুরু করে। তারপর হার্ট বন্ধই হয়ে যায় পুরোপুরি। অর্থাৎ কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়ে যায়।

খুবই দ্রুত যদি কার্ডিয়াক এরেস্ট রিসাসিটেট শুরু না করা যায়, মৃত্যু একেবারে অবধারিত।

দেশের মানুষ বড়োদের প্রাথমিক রিসাসিটেশনই জানে না, ছোটোদের রিসাসিটেশন তো অনেক অনেক দূরের বিষয়। খানিকটা তো ভিন্নও বটে।............

প্রতিরোধের উপায় কী?

ওয়াশরুমে বালতি বা বোলে বা যা কিছুতেই হোক পানি না জমিয়ে রাখা। এগুলো সবসময় খালি করে রাখা। যখন কাজে লাগছে না, এগুলো উল্টো করে রাখা যেতে পারে।

আর যদি একান্তই পানি জমিয়ে রাখতে হয়, তাহলে একদম পুরো বালতি বা বোল ভরে রাখা। যাতে একান্তই যদি শিশু অগোচরে পানির কাছে চলে যায়ই, পানি ধরতে তার যেন উপুড় হতে না হয়।

সবচেয়ে বড়ো কথা শিশুকে চোখে চোখে রাখতে হবে। বিশেষ করে যেকোনো পানির উৎসের সামনে। এক মুহূর্তের জন্যেও তাকে নজরের বাইরে রাখা যাবে না।

শিশুর মা-বাবা, শিক্ষক ও কেয়ারগিভারদের আবশ্যিকভাবে CPR ট্রেনিং করাতে হবে। এরকম ইমার্জেন্সি সিচুয়েশানে প্রাথমিকভাবে কী করতে হবে তা খুব ভালো করে শেখাতে হবে। 'সময় কেনা' শেখাতে হবে। নইলে হসপিটালে নিতে নিতেই পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম অভিজ্ঞতার স্বাক্ষী হতে হয়।

মহান আল্লাহ যেন প্রতিটি পরিবারের বুকের ধন চোখের মণি শিশুগুলোকে ভালো রাখেন।

পোস্টটি শেয়ার করা যাবে। তবে লেখকের নাম বাদ দিয়ে কপি পেস্ট করবেন না প্লিজ। এতে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয় আসল লেখক কে তা নিয়ে।

Ma'ruf Raihan Khan
উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট রোগ বিশেষজ্ঞ
৩৯ তম বিসিএসের কর্মকর্তা
💼মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

"বাঁচানো গেলোনা উচ্চ শিক্ষিত দম্পতির এই সন্তানকে।"শোক আর দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি পোস্টটি নিজ নিজ ওয়ালে দিয়ে দিন ,যাতে শিশ...
25/04/2025

"বাঁচানো গেলোনা উচ্চ শিক্ষিত দম্পতির এই সন্তানকে।"
শোক আর দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি পোস্টটি নিজ নিজ ওয়ালে দিয়ে দিন ,যাতে শিশুরা আর নিজেদের অভিভাবকদের ভুলের শিকার না হয়।

Begum Delwara
বাঁচানো গেলোনা উচ্চ শিক্ষিত দম্পতির এই সন্তানকে।
নিয়ম অনুযায়ী আধা লিটার পানিতে পুরো পেকেট গুলিয়ে একটু পর পর স্যালাইন খাওয়ানো কিন্তু ওর বেলায় ডায়রিয়াতে একটু একটু পানিতে খাবার স্যালাইন গুলিয়ে খাওয়ানোর কারনে অতিরিক্ত লবনে ব্রেইনের পার্মানেন্ট ড্যামেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এই শিশু। শুধু মাত্র অতিরিক্ত লবনের জন্য এ মৃত্যু।
ভীষণ কঠিন সত্য মেনে নেওয়া এই মৃত্যু ।
বি দ্র ঃ খাবার স্যালাইন আধা লিটার পানিতে পুরোটা গুলিয়ে বাচ্চাকে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত খাওয়াবেন সঠিক পরিমান মতো। বাকিটা ফেলে দিয়ে পুনরায় এভাবে বানাবেন।
সচেতনতাই সমাধান।
কপি পোস্ট

শুধু ব্যবহারের ভুলে প্রাণদায়ক খাবার স্যালাইন পরিণত হচ্ছে প্রাণঘাতকে। অল্প পানিতে স্যালাইন ....

17/04/2025

প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন। ডাক্তার চৌধুরীর বিরুদ্ধে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা এনে তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। রাষ্ট্রপতি এরশাদ ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করতেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ক্রমাগত বিদেশী দূতাবাসের চাপ আসতে থাকে।

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অফিসাররা বেশিরভাগই তখন সিএসপি অফিসার। এরা সবাই ষাটের দশকের তরুন। তাদের বেশিরভাগই বামপন্থী চিন্তার ধারক ও বাহক। তাদের মাঝে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এক ধরনের জনপ্রিয়তা রয়েছে। অদৃশ্য শক্তি ডাক্তার চৌধুরীকে সাইজ করার জন্য উপযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা খুঁজছিলেন। তারা খুঁজছিলেন একজন দাঁড়িওয়ালা -টুপিওয়ালা তদন্ত কর্মকর্তা। নানামুখী চাপে তৎকালীন সংস্থাপন সচিব ৬২ ব্যাচের সিএসপি অফিসার এ জেড এম শামসুল আলম কে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন,,,,,,।

তদন্তের নির্দেশনা পেয়ে এ জেড এম শামসুল আলম সংস্থাপন সচিবের কাছে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি বলেন "ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বামপন্থী সমাজকর্মী। আর আমি একজন ডানপন্থী সরকারি কর্মকর্তা। তার মত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমার তদন্ত রিপোর্ট প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। আমি তদন্ত কর্মকর্তা থেকে অব্যাহতি চাই।''

এদিকে ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার তদন্ত কর্মকর্তা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে থাকেন। নানামুখী খোঁজ শেষে তিনি সংস্থাপন সচিবের নিকট একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী উল্লেখ করেন " এ জেড এম শামসুল আলম যদি আমার তদন্ত কর্মকর্তা হয়ে থাকেন তাহলে এই তদন্তে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এখানে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।"

তদন্ত কাজ শেষ হলো। তদন্ত কর্মকর্তা গোপনে রুমের দরজা বন্ধ করে তার তদন্ত রিপোর্ট লিখছেন। চারিদিক থেকে তদন্ত কর্মকর্তার উপর নজরদারি। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে বলাবলি হচ্ছিল এইবার ডাক্তার জাফরুল্লাহর আর রক্ষা নেই।
তদন্ত রিপোর্ট চূড়ান্ত করার এক পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে একটু দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করলেন। বঙ্গভবন থেকে তদন্ত কর্মকর্তাকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করার অনুমতি দেয়া হলো।

তদন্ত কর্মকর্তা প্রায় ঘন্টাখানেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি কে তদন্তের বিভিন্ন দিক অবহিত করলেন। এরপর রাষ্ট্রপতির হাতে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করলেন,,,,। আশ্চর্য বিষয়! ডাক্তার জাফর উল্লাহ চৌধুরী শাস্তির পরিবর্তে কয়েকদিন পরে উল্টো মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য পরামর্শ দাতা (যেকোনো স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ওনার পরামর্শ নিতেন) হয়ে গেলেন!

জানা গেছে তদন্ত কর্মকর্তা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন যে ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক । তিনি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর ষড়যন্ত্রের শিকার। বহুজাতিক কোম্পানি গুলো নিন্মমানের ঔষধ বানিয়ে সীমাহীন মুনাফা করছিলেন। তারা ঔষধ তৈরি করে এদেশের মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে ঔষধের প্রাথমিক পরীক্ষা করছিলেন । এ বিষয়ে জাফরউল্লা চৌধুরী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছিলেন। ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শায়েস্তা করার জন্য সব ঔষধ কোম্পানিগুলো একজোট হয়ে মাঠে নেমেছেন। আর তাতে বিদেশি দূতাবাস গুলোকেও কাজে লাগানো হচ্ছিল।

ডাক্তার জাফর উল্লা চৌধুরী পরপারে চলে গেছেন। এ জেড এম শামসুল আলম আজও আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। তিনি রাজধানীর টিকাটুলি এলাকায় একটি ফ্লাটে বসবাস করছেন। বামপন্থী এবং ডানপন্থী দুই ঘরানার দুই মহান দেশ প্রেমিকের বদান্যতায় আজ আমরা জাতীয় ঔষধনীতি পেয়েছি। আজ আমরা বিদেশে ঔষধ রপ্তানি করছি। বহুজাতিক ঔষধ কোম্পানিগুলো একে একে পাততাড়ি গুটিয়ে এ দেশ থেকে চলে গেছে।

সেদিন এ জেড এম শামসুল আলম সঠিক দায়িত্ব পালন না করলে ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী হয়তো থেমে যেতেন। নব্য 'ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি' রূপী বহুজাতিক ঔষধ কোম্পানিগুলো আজও আমাদের শোষণ করতো। একজন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম না হলে আজ আমরা একটি প্যারাসিটামল ২০ টাকা দিয়ে কিনে খেতাম।
-------------------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র : এ জেড এম শামসুল আলম, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব, সাবেক ধর্ম সচিব ও সাবেক মহাপরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন
Copy paste

16/04/2025

চীনের নেতৃত্বে গবেষণা: বাতাসের মাইক্রোপ্লাস্টিক শুষে নেয় গাছের পাতা

এপ্রিল ১১, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনা বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে পরিচালিত এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, গাছের পাতা বায়ুমণ্ডলের ভাসমান মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা শোষণ করে জমা রাখতে পারে। এই আবিষ্কার মাইক্রোপ্লাস্টিকের একটি নতুন প্রবেশপথ প্রকাশ করেছে, যা সরাসরি খাদ্য শৃঙ্খলা ও মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে।

গবেষণাটি বুধবার বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার-এ প্রকাশিত হয়েছে। এতে অংশ নেয় চীনের নানখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অ্যামহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয়, চীনের ইকো-এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স গবেষণা কেন্দ্র, নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেইজিং কৃষি ও বন বিজ্ঞান একাডেমির বিজ্ঞানীরা।

আগের গবেষণাগুলোয় দেখা গিয়েছিল, মাটিতে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক গাছের শিকড়ের মাধ্যমে সামান্য পরিমাণে শোষিত হতে পারে। তবে নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, বাতাসে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক অনেক বেশি তাৎক্ষণিক ও বিপজ্জনক পরিবেশগত হুমকি।

ম্যাস স্পেকট্রোমেট্রি বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকরা গাছের পাতায় পলিইথিলিন টেরেফথালেট ও পলিস্টাইরিন কণার উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন। দেখা গেছে, বাতাসে দূষণের মাত্রা যত বেশি ও পাতার বেড়ে ওঠার সময় যত দীর্ঘ, পাতায় মাইক্রোপ্লাস্টিক তত বেশি জমে।

নানখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী ও গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক লি ইয়ে জানান, পলিয়েস্টার ফ্যাক্টরি ও আবর্জনার স্তূপের পাশে থাকা গাছপালার পাতা এবং খোলা মাঠে জন্মানো শাকসবজির পাতায় এ দুটো উপাদান বেশি পাওয়া গেছে। উন্নত ইমেজিং প্রযুক্তি দিয়ে দেখা গেছে, দূষিত অঞ্চলের পাতায় মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা শোষিত হয়েছে বেশি।

ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভুট্টার পাতাও স্টোমাটা বা ছোট ছিদ্রপথ দিয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক শোষণ করতে পারে এবং তা গাছের ভাস্কুলার টিস্যুতে প্রবেশ করে পত্ররোমে জমা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ওয়াং লেই বলেন, গাছ হচ্ছে খাদ্য শৃঙ্খলার মূলভিত্তি। ফলে পাতায় জমে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক সরাসরি এই শৃঙ্খলায় প্রবেশ করে। বিষয়টি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি।

ফয়সল/শুভ
তথ্য ও ছবি: সিজিটিএন

12/09/2024

রোগীটির অবস্থা যখন খারাপ হলো তখন ডা. সজীব দৌড়ে আসলেন

তখন, যেভাবে একজন ডাক্তার আসেন ঠিক সেভাবেই আসলেন। পালস চেক করলেন সিপিআর শুরু করলেন; এক সাইকেল, দুই সাইকেল, তিন সাইকেল, তারপর একটু থামলেন… এর মধ্যে দেখলাম সিস্টার কি যেন দিচ্ছেন, নিশ্চয়ই এড্রেনালিন

তারপর আবার এক, দুই, তিন করে আরো তিন সাইকেল, মোট ছয় সাইকেল। নাহ, কোন গল্প করছি না, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে বলছি… কি প্রাণান্তকর চেষ্টা!!

এ ব্যাপারটার সাথে আমি বেশ পরিচিত, আমরা যারা সিসিইউ বা আইসিইউতে কাজ করি তারা এমনটা মাঝে মাঝে ফেস করি। তখন আমরা এমনই করি… সিপিয়ার দেই, ডিসি শক দেই

শুধু আমরা না, পুরো দুনিয়ার তাবৎ ডাক্তাররাই এটাই করে থাকে,,কেউ ফিরে, কেউ ফিরে না

ডাক্তার সজীবের সেই রোগীটিও ফিরে নি, এটাই নিয়তি। কারন আমারা কেউ ঈশ্বর নই, অমরত্ব এর কোন দাওয়াই ডাক্তারদের কাছে নেই।

এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। রোগীর লোকজন এগিয়ে আসলেন, হয়তো ডাক্তার সজীব ভেবেছিল, তাকে হয়তো বলবে, ‘আপনি অনেক চেস্টা করেছেন’

কিন্তু তারা সজীবের কলার ধরে চড় মারে, থাপ্পড় মারে, ঘুষি মারে,,সজীব হয়তো ভেবেছিল,এবার মনে হয় ছেড়ে দিবে, কিন্তু তারা ছাড়ে না, মারতেই থাকে, মারতেই থাকে

সজীবের কানের পর্দা ফেটে যায়, কান দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়তে থাকে। সজীব তখনও ভাবছে এবার মনে হয় ছেড়ে দিবে, আর যাই হোক সে মানুষ তো!

কিন্তু ওরা থামে নি, মারতে মারতে নিয়ে যায় নিচতলায় যেন সমস্ত মানুষের সামনে আরো পেটানো যায়… সিসিইউ তে সজীব এর ছোপ ছোপ রক্ত, সিড়িতে রক্ত,,আর কি লিখবো!

এটাই কি আমাদের প্রাপ্য, এর জন্যই কি আমরা সেবা দিব, পরিবর্তন কি আসবে, মনে হয় না, এর আগেও এভাবে মারা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে কিন্তু বিচার হয় নি, কেন জানি মনে হয় সমাজের শিক্ষিত মানুষেরও একটা মৌন সম্মতি আছে, কথা বলার সময় এরা তবে, কিন্তু, অথবা, কিম্বা লাগিয়ে জাস্টিফাই করার চেস্টা করে

আমি যখন ভিডিও টি দেখছিলাম, তখন মনে হয়ে ছিল, হে আল্লাহ তুমি সব অন্ধকার করে দাও, আমার যেন সজীবকে দেখতে না হয়, কোনদিন যেন ওর সাথে আমার দেখা না হয়

জানি না, সে সুস্থ হবে কি না, যদি সুস্থ হয়ে সে আমাকে বা আপনাকে যদি প্রশ্ন করে, আমাকে এভাবে সাপের মতো পিটালো, আমার মাথার হাড্ডি ভেংগে দিল, আমার কানের পর্দা ফাটিয়ে আমাকে প্রতিবন্ধী করে দিল, তুমি কি করেছিলে তখন, বিচারটা চেয়েছিলে অন্তত!

আমি বা আপনি তখন কি উত্তর দিব?

(Written by: Dr. Riad Sharif)

01/09/2024

Adress

Uppsala
75261

Webbplats

Aviseringar

Var den första att veta och låt oss skicka ett mail när Dr.Rezowana Akter-Dental Surgeon postar nyheter och kampanjer. Din e-postadress kommer inte att användas för något annat ändamål, och du kan när som helst avbryta prenumerationen.

Dela

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Typ