18/06/2025
অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু টিপস, যতটা মনে পড়ছে ----(Dr.robin bormon sir)
★ এবিস ক্যানাডেনসিস
এক ভদ্রলোক সোদপুরে থাকতো। একজন ব্যাংকের ম্যানেজার আমাকে পাঠিয়েছিলেন আমার বই ছাপার জন্য কম্পিউটার ঠিক করে দেবে বলে। সে তার চিকিৎসার কথা বলে। প্রায়ই পেটের গোলমাল বা ডিসপেপসিয়ায় ভুগছিল। খুব পেটুক, খাওয়ার প্রতি খুব লোভ ছিল, খেতে পারতোও অনেক। কিন্তু খাওয়ার পরে চিট পটাং, যাকে বলে লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। পেট ফুলে উঠতো, বুক ধড়ফড় করতো।
এই রোগীকে আমি এবিস ক্যানাডেনসিস ৬, দিনে ২ বার করে ৫ দিন দিয়ে সুস্থ করেছিলাম। উপদেশ দিয়েছিলাম একবারে বেশি পরিমান খাবার না খেতে।
★ এবিস নায়গ্রা
এক ভদ্রলোকের এখানে বাড়ি বাগুইআটিতে। ধার্মিক টাইপের লোক। বেশিরভাগ সময় পুরিতে থাকে। সেখানে নাকি সে নিজে একটি ধার্মিক লোকদের থাকার জন্য লজ বানাচ্ছিল। আমাকে আমার লোকজন নিয়ে যেতেও বলেছিল।
তার একটা অসুবিধা ছিল খাওয়ার পরে পেটের উপরের দিকে গোল বলের মতন কি যেন আটকে থাকে এরকম অনুভূতি হয়। সেই কোন ছোটবেলা থেকে পড়ছি এবিস নায়গ্রায় লেখা --sensation of a lump, as if a hard boiled like substance is lodged in the cardiac end of stomach, কিন্তু এই লক্ষণের কোন রোগী পাচ্ছিলাম না। ভাবলাম এতদিনে পরীক্ষা করার সুযোগ পাওয়া গেল।
তাকে এবিস নায়গ্রা ৩০ দিনে দুইবার করে পাঁচ দিন খেতে দিয়েছিলাম। মাসখানেক পরে ভদ্রলোক এক হাঁড়ি রসগোল্লা নিয়ে হাজির হয়েছিল। সাতদিন পর থেকে তার ওই উপসর্গ আর ছিলই না।
★ এ্যাব্রোটেনাম
একবার বীরভূম থেকে এক গরীব আদিবাসী মহিলা তার বাচ্চাকে নিয়ে চেম্বারে হাজির হয়েছিল। বাচ্চার বয়স ছিল চার বছর। চেহারা ছিল শুকনো, পা দুটি বেশি শুকনো ও সরু। ক্ষুধা কেমন জিজ্ঞাসায় জেনেছিলাম --ভীষণ খিদে। অন্য বাচ্চাদের খুব চিমটি কাটতো ও মারতো। ভয়ে অন্য বাচ্চারা তার কাছে যেত না।
পায়ের দিকটা বেশি শুকনো , খিদে বেশি, স্বভাবের মধ্যে নিষ্ঠুরতা এ্যানালিসিস করে এ্যাব্রোটেনাম ৩০ শক্তি ২/৩ ফোঁটা ৬০ মিলি জলে মিশিয়ে এক ছিপি করে দিনে দুইবার করে খেতে বলেছিলাম। সাথে এক মাসের প্লাসিবো দেওয়া ছিল।
প্রায় দুই মাস পরে সেই আদিবাসী মহিলা বাচ্চাটিকে যখন এনেছিল তখন চেনাই যাচ্ছিল না এই বাচ্চা দুই মাস আগের সেই বাচ্চা! সম্পূর্ণ সুস্থ একটা স্বাভাবিক বাচ্চা লাগছিলো।
★ এ্যাবসিন্থিয়াম
একজন মোটর মেকানিকের ১২ বছরের ছেলের এপিলেপসি রোগ হয়েছিল। ছেলেটার প্রায়ই মাথা ঘুরতো। মাঝে মাঝে মাথার পিছন দিকে ব্যথাও করতো। মাথা ঘোরার সময় তার যেন মনে হতো টাল হারিয়ে পিছনদিকে পড়ে যাবে।
এ্যাবসিন্থিয়ামে মাথা ঘোরা থাকে, পিছন দিকে পড়ে যাচ্ছে এইরকম অনুভূতি হয়, আর সব বইয়ে বলা আছে এপিলেপসির ভাল ঔষধ। তাই তাকে ৩০ শক্তির ৬ ডোজ দিয়েছিলাম। যেহেতু পড়া ছিল এই ঔষধটি একটি বিষাক্ত গাছ থেকে তৈরি হয়েছে সেইজন্য মাত্র এক ফোঁটা ঔষধ ৬০ মিলি জলে দিয়ে দিনে দুইবার করে তিন দিন খেতে বলেছিলাম।
বহুদিন তার কনভালশন বা তড়কা হয়নি। রোগী ভালো থাকলেও ইচ্ছাকৃতভাবে দুই মাস পরে আর একবার রিপিট করেছিলাম। তার আর কোনদিন কনভালশন হয়নি, অর্থাৎ ধরে নেওয়া যেতেই পারে এই ঔষধে তার এপিলেপসি রোগটি সেরে গিয়েছিল।
★ এ্যাকালিফা ইন্ডিকা
সুন্দরবনের শেষ প্রান্তের সাতজেলিয়া নামক গ্রামের এক বিবাহিতা ভদ্রমহিলার কথা। তার বাবা একজন গ্রামীন হোমিওপ্যাথ ছিলেন। ভদ্রমহিলার প্রায়ই কাশির সাথে রক্ত উঠতো। এই রোগ তার বিয়ের আগে থেকেও ছিল। তার বাবা একজন গ্রামীণ হোমিওপ্যাথ ছিলেন। তিনি অনেক ওষুধ দিচ্ছিলেন, কিন্তু কিছুতেই কাশির সাথে রক্ত ওঠা বন্ধ করতে পারছিলেন না। আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে কোনো প্যাথোলজিকাল কারণ খুঁজে পাইনি। তবে ব্রঙ্কিয়েকটেসিস বলে ধারণা করেছিলাম।
শুধুমাত্র সকালের দিকেই তার কাশির সাথে রক্তটা বেশি উঠতো। এই পিকিউলার লক্ষণে তাকে এ্যাকালিফা ইন্ডিকা ৬ শক্তি দিনে ২ বার করে টানা খেতে দিই যতদিন রক্ত ওঠা না কমে । ১৫/১৬ দিন ঔষধ খাওয়ার পর থেকে তার আর কাশিতে রক্ত উঠতো না। সুন্দরবনের গ্রামীন চেম্বারে যাওয়া আমি বন্ধ করে দিলেও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সে এখনো মাঝেমধ্যে সুন্দরবনের খাঁটি মধু নিয়ে দেখা করতে আসে।
★ এ্যাসেটিক এ্যাসিড
এই ঔষধ প্রয়োগ করে কাউকে কোনদিনও পুরোপুরি সুস্থ করতে পারি নি। কারণ এই ঔষধের ব্যবহার রোগীর ভালো সময়ের জন্য তো নয়। বহু রোগের শেষ অবস্থায় ঔষধটি ব্যবহৃত হয় , বিশেষ করে ডায়াবেটিসে , বা ক্যান্সারের শেষ অবস্থায়, বা কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগীর খারাপ অবস্থায় যখন হাত পা ফুলে যাচ্ছে, শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে, মুখে খুব লালা, পিপাসা বেশি, শ্বাসকষ্ট, ইত্যাদি লক্ষণে ৬ শক্তি দিন ২/৩ বার করে প্রয়োগ করে অনেক রোগীকে আরাম দিতে পেরেছি, পায়ের বা পেটের ফোলা কমাতে পেরেছি। রোগেীর উন্নতি হলে পরে ৩০ শক্তির কয়েক ডোজ পুনরায় দিয়ে আরও অনেক দিন তাকে ভালো রাখতে পেরেছি।
★ এ্যাকোনাইট ন্যাপ
১) নদীয়া জেলার চাঁপাতলা গ্রামের ইসমাইল নামের এক যুবকের ১৭/১৮ দিন ধরে টানা জ্বর কিছুতেই কম ছিল না। চাকদহের অনেক এ্যালেপ্যাথিক ডাক্তার দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু জ্বর উঠলেই প্যারাসিটামল দিতে হবে, আর তার সাথে দিনে তিন বার করে ৫০০ এম জির এ্যন্টিবায়োটিক ক্যাপসুল চলছিল। কিন্তু রোগী সুস্থ হচ্ছিল না।
জ্বর কবে থেকে এসেছে, কারণ কি, ইত্যাদি খোঁজ করতে জেনেছিলাম সে তার খেতের পটল বিক্রি করতে গিয়েছিল চাকদহের কাছে এক তরকারির হাটে। সকালে তরকারি বিক্রি হয়ে গেলে সে কাছাকাছি এক গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে যায়। সারাদিন সেখানে থাকে। সন্ধ্যায় বাড়ির পথে রওনা হয়। এই গ্রাম থেকে অনেকটা হেঁটে এসে মেন রাস্তায় উঠে তবে ট্রেকার নামের এক ধরনের গাড়িতে উঠতে হবে। বড় রাস্তায় ওঠার আগে গ্রামের সেই কাঁচা রাস্তায় চলাকালীন তার মলত্যাগের বেগ হয়। পাশের ডোবার মতন একটা নিচু জায়গা ছিল। সেইখানে সে বসে পড়ে। ওই রাস্তায় কোন ইলেকট্রিক লাইট ছিল না। তবে তখন ছিল শুক্ল পক্ষ, অর্থাৎ চাঁদের আলো ছিল। প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য যেই না সে বসেছে হঠাৎ তার মনে হয় একটা বড় ছায়া মূর্তি তাকে ধরতে আসছে। ভয়ে তার প্রায় অজ্ঞান হওয়ার মতন অবস্থা হয়। বাবারে, মারে, কে আছো বাঁচাও! বলতে বলতে সে দৌড়াতে থাকে। বড় রাস্তায় উঠে সে বেহুঁশ হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে স্টপেজের লোকজনকে জানালে লোকজন তাকে চাঁপাতলায় যাওয়ার ট্রেকারে তুলে দেয়। কন্ডাক্টর তাকে তার বাড়ির পাশে নামিয়ে দেয়। নিজের ভাষায় সে বলেছিল তখনো আমার অবস্থা ছিল একটা আলুর বস্তার মতন, কন্ডাক্টর আমাকে ধপাস করে নামিয়ে দিয়েছিল, তারপরে বাড়ির লোকজন আলুর বস্তার মতন আমাকে তুলে নিয়ে সেই যে ঘরে তুললো, তারপর থেকে জ্বর, আর সেই জ্বর চলছে ।
ভয় পাওয়া জ্বর হওয়ার অন্যতম কারণ ধরে তাকে এ্যাকোনাইট ১০০০, ৪ ঘন্টা অন্তর যতক্ষণ জ্বর না কমবে খাওয়াতে বলি। পরের দিনে জ্বর চলে যায়। ঐ জ্বর আর রিলাপ্স করেনি।
২) গ্রামের এক রোগী। হঠাৎ করে এক ভদ্রলোকের রক্ত পায়খানা আরম্ভ হয়। সময়টা ছিল প্রখর গ্রীষ্মকাল। বাইরে গনগনে রোড। রক্ত পায়খানা হওয়ার আগে ইতিহাস জানতে চেয়ে শুনলাম লোকটা কোথায় টাকা পাবে সেই টাকা আদায় করতে গিয়েছিল। কড়া রোদের মধ্যে প্রায় ২ কিলোমিটার হেঁটে আসার পর থেকেই তার এই রক্ত পায়খানা আরম্ভ হয়েছে, যদিও মাথায় ছাতা ছিল। এ্যাকোনাইটে শুধু শীতের ঠাণ্ডাতে রোগ হয় না, প্রচন্ড গরমেও রোগ হয়, এ কথাটা বারবার পড়া হয়েছে, মাস্টারমশাইরাও বলতেন। এখানে দেখলাম সেই কারণ --প্রচন্ড গরমে ঘুরে আসার পর থেকেই রক্ত পায়খানা আরম্ভ হল। তার সাথে খেয়াল করলাম হঠাৎ করে আরম্ভ হয়েছে। তাহলে ছোটবেলা থেকে যা পড়া হচ্ছে এ্যাকোনাইটের প্রথম কথা -- Sudden and Violent মিলে যাচ্ছে, এবং more the acute case , more the higher potency -যদি না রোগীর কোন প্যাথলজিকাল ক্ষতি না থাকে , এই দর্শণের উপরে ভিত্তি করে এ্যাকোনাইট ১০০০ শক্তি ১ ঘন্টা পরপর দিতে বলি। ৮-১০ বার খাওয়ার পরেই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছিল।
★ এ্যাডরিন্যালিন
এক রোগী একবার জানিয়েছিল তার তার বুকের মধ্যে যেন কিছু খেঁচে ধরছে।
( Constriction sensation ), বোরিকের বইয়ে পড়েছিলাম এই লক্ষন অ্যাড্রিনালিনে আছে, কিন্তু আবার ক্যাকটাসেও আছে। তবে অ্যাড্রিনালিনে এই ব্যাথার সাথে উৎকন্ঠা খুব বেশি থাকে, বইয়ে লেখা আছে। রোগীর ব্লাড প্রেসারও সব সময় বেশি থাকে।
এই ভদ্রলোক হাইপারটেনশনে ভুগছিলেন, তার সাথে বুকের এই কনসট্রিকসন লক্ষণটি পেয়ে অ্যাড্রিনালিন ৩০, দিনে দুই বার করে চার দিন দিয়েছিলাম, অর্থাৎ মোট আট ডোজ। এই ঔষধের এই কয়েকটা ডোজেই ভদ্রলোকের ওই অনুভূতি চলে যায়।
★ ইস্কুলাস হিপ
কলকাতার বেলেঘাটার এক চাউল ব্যবসায়ী। মলদ্বারের সমস্যা নিয়ে এসেছিল। মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ে না, কিন্তু সব সময় একটা অস্বস্তি ভাব --যেন মলদ্বারে সবসময় কাঁটা বা সুঁচ ফুটছে।
ইস্কুলাসের এটি একটি প্রধান লক্ষণ, তবে তার সাথে ইস্কুলাসের আর কিছু পাই কিনা জিজ্ঞাসা করতে জেনেছিলাম তার কোমরে সবসময় ব্যাথা থাকে । ইস্কুলাস ৩০, দিনে ২ বার করে ৫ দিন দিয়ে এক মাস পরে আসতে বলেছিলাম। তার মলদ্বারের আর কোন অসুবিধা হয় নি।
★ ইথুজা সাইনেপিয়াম
চিকিৎসার প্রথম জীবনে যখন অনেক তরুণ রোগী দেখতাম তখন ইথুজা দিয়ে দইয়ের টুকরোর মতন চাপ চাপ বমি করতে থাকা অনেক বাচ্চাকে সুস্থ করেছি।
★ এগারিকাস মাসকেরিয়াস
১) একটা তেইশ বছরের মেয়েকে বাবা মা বিয়ে দিতে পারছিল না। তার বাবার সাথে আমার বেশ পরিচয় ছিল। মেয়েটির মাথা প্রায় কাঁপতো, যাকে বলা হয় নডিং হেড। সব সিমপটমস মেলালে নেট্রাম মিউর আসছিল। কিন্তু নেট্রাম মিউর দুই-তিনবার দিলেও কোন উপকার পাইনি। এই লক্ষন তো একটা জার্ক বা মুভমেন্ট, এবং এগারিকাস যেহেতু নর্তন কম্পনের উপরে ভাল কাজ করে, সেই এ্যাঙ্গেলে চিন্তা করে এ্যাগারিকাস মাসকেরিয়াস ৩০, দিনে ২ বার করে ৫ দিন দিই। কি অদ্ভুত ব্যাপার -- যুবতী মেয়েটি এই ঔষধের ১০ ডোজেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছিল।
২) এক ভদ্রলোকের চুলকানি ছিল। লাল লাল ফোসকা পড়া, তীব্র জ্বালা করতো। ছয় মাস ধরে এ্যালোপ্যাথিক একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের আন্ডারে থাকলেও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারছিলেন না। এ্যাগারিকাসে লেখা আছে ঠিক এরকম ফোসকা পড়া চর্মরোগ হয়, জ্বালা করে, বিশেষ করে শীতকালে এবং কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এইরকম ঠান্ডা জায়গায় শীতকালে থাকলে। কিন্তু এনার শীতকালে বা ঠান্ডা থেকে হচ্ছিল না। সালফারের কিছু লক্ষণ থাকলেও সালফার পুরোপুরি সারাতে পারছিল না। চর্ম রোগের যা চরিত্র --লাল লাল ফোসকা পড়া এবং সাথে খুব চুলকানি, লক্ষনটাকে ইন্টারপ্রিটেশন করি এইভাবে ---চর্ম রোগের সব চরিত্র যখন মিলে যাচ্ছে, হোক না অন্য সময়, এ্যাগারিকাস একবার দিয়ে দেখা যাক। তবে এ্যাগারিকাসের আর কোন লক্ষন পাই কিনা খোঁজ করে জানতে পারি তার শিরদাঁড়া বা মেরুদন্ড খুবই স্পর্শকাতর, সামান্য স্পর্শই অসহ্য লাগে। এই লক্ষনটি এ্যাগারিকাস ও থেরিডিয়নের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ।
তাই এ্যাগারিকাস ৩০, দিনে ২ বার করে ৫ দিন দিয়েছিলাম। ম্যাজিকের মতন সুস্থ হয়েছিল ওই ভদ্রলোক।
★ এ্যাগনাস ক্যাসটাস
অনেকে পুরুষদের ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা ধ্বজভঙ্গে এ্যাগনাস, লাইকো, সেলিনিয়াম, ইত্যাদি ঔষধ প্রেসক্রিপশন করেন। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই কোন উপকার পান না। কারণ প্রতিটি ঔষধের মূল চরিত্রগত লক্ষণ থাকতে হবে।
এ্যাগনাস ক্যাসটাসের রোগীরা দেখতে বয়সের তুলনায় বৃদ্ধ লাগে, স্মৃতিশক্তি খুব দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং তাদের মন মেজাজ খুব খারাপ থাকে, অর্থাৎ সব সময় বিমর্ষ বা দুঃখিত ভাব। এই লক্ষন মিলিয়ে দিলে তবে কাজ হবে।
অনেক রোগীর উন্নতি করতে পেরেছি।
Dr.roben bormon sir to copy