Dr. Mashiur Rahman

Dr. Mashiur Rahman Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr. Mashiur Rahman, Singapore.

নামের পাশে ডক্টরেটের দীক্ষার টাস্কি খাইয়েন না ভাইজান! ঢাকাইয়া পোলা আমি—কি করমু বলেন? সবখানে রস খুইজা লই, দুঃখের গহ্বরেও মজা খুঁজতে পারি। দুঃখে গা ভিজাইলেও আনন্দে টইটুম্বুর হইয়া দিন-রাত্রি পার কইতাছি। নামের পাশে ডক্টরেটের দীক্ষার টাস্কি খাইয়েন না ভাইজান! গবেষণার নামে এমন যন্ত্রপাতি ভাঙা শুরু করছিলাম যে ল্যাবের গরিব মাইক্রোস্কোপগুলোও আমারে দেইখা কাঁদত। প্রফেসর সাহেব শেষমেশ হাতজোড় কইরা কইলেন, “বাপু, তোরে ডিগ্রি দিয়া বাইর কইরা দিলেই বাঁচি!”—এই ডিগ্রি তাই আসলেই ল্যাবের গায়ে বাঁচার লাইসেন্স।

তারপর হইল কাহিনি শুরু—এই দেশ ওই দেশ কইরা একেবারে গরুর গাড়ির ঘণ্টার মতন ঝনঝনাইয়া ঘুইরা বেড়াচ্ছি। কখনো ওথানে, কখনো তথানে, যেন বেদুইনেরও চাকরি নিয়া ফেলছি। কোনখানে যে ঠিকানা করি—সে প্রশ্নে এখনও সিলমোহর নাই।

জন্মগত আতলামি, এইডা বাদ দেই কেমনে? যেখানে যাই, খানিকটা ‘আতলা রঙ’ দিয়া আসতে হয়। জায়গা পাই নাই—শেষমেশ ফেসবুকেই ঘাঁটি বানাইলাম, ভাবলাম অন্তত আপনাগো মাথা ধরার লাইসেন্সটা তো ফ্রি।

তাই যদি নিয়মিত মাথা ধরাইতে চান, সাবস্ক্রাইব কইরা রাখেন। ইনবক্সে হাজির হইবো—কখনো দিবসের দুপুরে, কখনো রাতের শেষ প্রহরে—যেন একখানা ডিজিটাল গুনগুনানি। কখনোওবা “বৈঠকী কিসসা” লইয়া হাজির।

ঢাকাইয়া পোলা আমি—কি করমু বলেন? সবখানে রস খুইজা লই, দুঃখের গহ্বরেও মজা খুঁজতে পারি। দুঃখে গা ভিজাইলেও আনন্দে টইটুম্বুর হইয়া দিন-রাত্রি পার কইতাছি।

সবাই ভালো থাইকেন। বড় ভাইদের কদমবুছি, ছোটদের মাথায় আদর—এই ঢাকাইয়া পোলার তরফ থেইক্কা আপনেরে দিলাম । 😏

30/09/2025

বৈঠকি কিসসা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিখতে টাকা লাগে না
==== Dr. Mashiur Rahman ====

এই যে ভাইসব, দুনিয়ার বাতাসে এখন এআইর গন্ধ! রিকশা থেকে নেমে যদি চশমা মুছা–দেখবা—প্রতিটা মোড়ে মোড়ে এআই নাচতাছে। আপনি কফিশপে চা খান বা গুলিস্তানে ফুটপাতের ডিমের টোস্ট খান, এআই কিন্তু আপনার পিছে পিছে ঘুরতাছে। আর ভাইজানের পকেটে যদি এক টাকাও না থাকে—তাতেই বা কী! এআই শিখার জন্য লাগবো না টিউশনের বাকি মাইনা, লাগবো না ফুপুর সোনার চেইন বন্ধক। এই দুনিয়াত এখন এমন সব টুল ফ্রি যেগুলা দিয়া ফকিরও এআই গুরু হতে পারে—একেবারে হাত-মুখ মুছা ছাড়া!

শুনেন, প্রথমেই ধরেন Perplexity.ai। এইডা স্রেফ সার্চ ইঞ্জিন না, ভাইজান। গুগল যেমন ঘাড় বাঁকাইয়া লিংক ছুঁড়ে দেয়, এইডা তেমন না—প্রশ্ন করলেই হাড়ি-কলস খুলে সব দুধভাত ঢেলে দিবে। রেফারেন্সও দিবে, যেন খালার বাসায় বিরিয়ানি খাইতে গিয়া সঙ্গে পেঁপে আচারও ফ্রি! রিসার্চের নাম শুনলেই যে মাথা ব্যথা ওঠে, এইডা দিলেই পাঁচ মিনিটে মগজ ঠান্ডা, পোলাপানের গায়ের ঘাম শুকনা।

তারপর আছে ChatGPT—ওফ, এই নাম শুনে যদি না চেনেন, তবে আপনি ভাইজান এই গ্রহের লোকই না! এইডা দিয়া কবিতা লিখা থেকে শুরু করে প্রেমপত্র বানানো, কোডিং করা থেকে মামাতো ভাইর জন্য চাকরির দরখাস্ত—সবই এক্কেবারে হুড়মুড়! এমনকি এক কাপ চা খাইতে খাইতে আপনার গার্লফ্রেন্ডের মন জয় করবার জন্য ছন্দ বানিয়াও দিবে। আপনার পকেট ফাঁকা, কিন্তু এইডা তোর মগজের ঘাটে একেবারে ফুল স্পিডে চাল দিবে।

মেটার Llama? শুইনা হাসবে না ভাইজান, এইডা কোন খামারের “লামা” না, কসম! এইডা একখান ওপেন সোর্স এআই বাপকা মডেল। গবেষক হবেন, মডেল বানাইবেন—কেউ টোক দিব না। নিজের ঘরে বসে গেরামি লুঙ্গি পরে লামা ট্রেনিং দিয়া বিশ্ববিদিত হতে পারবেন—এইডা যে কি মজা, বুঝবেন ভাইজান!

গুগল মামাও পিছাইয়া নাই। Google AI Studio এমন জিনিস, কোডিং জানেন না? কিচ্ছু আসে যায় না। দুইটা বাটন টিপ দিলেই ভাইজান আপনেও অ্যাপ বানাইতে পারবেন, চ্যাটবট বানাইতে পারবেন। ভাবেন, হাটের মোড়ের সেলুনের নাপিতোও পর্যন্ত চাইলে নিজের চ্যাটবট বানাই ফেলতে পারে, আর আপনি শহুরে গলির গ্যাজেটবাজ হয়ে বসে থাকবেন? তার উপর Google Cloud-এর ফ্রি API—অনুবাদ কর, ছবি চিন, গলার আওয়াজে নাম বল—সব ফ্রি, যেন গুলিস্তান মার্কেটে সেল লাগছে!

মেশিন লার্নিং শিখতে চান? WEKA নামের পুরান খেলোয়াড় এখনো মাঠে ব্যাট ঘুরায়। বড় বড় ইউনিভার্সিটিতে এত বছর ধইরা দাপট। জটিল ডেটা নিয়া খেলা করতে তোর মাথা ঘুরে গেলেও WEKA দিয়া আপনি একেবারে গুলিস্তান-স্টাইল ফ্লেক্স করতে পারবেন।

শুধু টেক্সট বা ডেটা নয় ভাইরে, সাউন্ড-ভিডিওর জগতে মজাও আছে। Audacity দিয়া গান কাটছাঁট করেন, নয়েজ মাইরা ফেলের, নিজের কণ্ঠে ঝালমুড়ি মশলা দিয়া রিমিক্স বানান—যেন বিয়ের গায়ে হলুদে ডিজে ডাকতে হইলো না। আর Photopea? ফটোশপের হুবহু ভাই, কিন্তু এইডা খালি ব্রাউজারে খুললেই কাজ শুরু। মোবাইল নাড়লেই ছবি সাজবাজ, এক্কেবারে ফ্রি!

Craiyon নামের আরেক টেকের মাস্তান আছে। আপনে শুধু লিখবেন—“ডিম ভাজা চাঁদে”—এইডা মিনিটেই ছবি বানাই দিবে। আপনার স্বপ্নের আঁকিবুকি কাগজে তোলার ঝক্কি নাই—এআই দিয়া হেঁটে-হেঁটে সব আঁকা শেষ। আর Hugging Face? ওরে বাপরে! এইডা এআই মডেল আর ডেটার খোলা হাট। যত রকমের মডেল, তত রকমের পাগলামী, সবই এক ছাদের তলায়।

তো ভাইসব, আর বসে থাইকেন না। টাকাপয়সা নাই তাই বলে মাথার ঝালমুড়ি ভাজা বন্ধ কইরা রাখবা নাকি? ল্যাপটপ খোলের, এই ফ্রি টুলগুলা দিয়া এআই শিখা শুরু করেন। এই ঢাকাইয়া কবি মশকরা আর গলা ফাটাইয়া একদিন বলবা—“এই যে ভাই, দ্যাখো, এআইর পরের কাহিনী এখন আমার কলমে!”

বড়দের কদমবুছি আর ছোটদের আদর দিয়া বিদাই লইলাম এই ঢাকাইয়া কবি- আইজ আজ/রোজ মঙ্গলবার ১৫ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, ৮ই রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি তারিখে।

24/09/2025

নামের পাশে ডক্টরেটের দীক্ষার টাস্কি খাইয়েন না ভাইজান! গবেষণার নামে এমন যন্ত্রপাতি ভাঙা শুরু করছিলাম যে ল্যাবের গরিব মাইক্রোস্কোপগুলোও আমারে দেইখা কাঁদত। প্রফেসর সাহেব শেষমেশ হাতজোড় কইরা কইলেন, “বাপু, তোরে ডিগ্রি দিয়া বাইর কইরা দিলেই বাঁচি!”—এই ডিগ্রি তাই আসলেই ল্যাবের গায়ে বাঁচার লাইসেন্স।

তারপর হইল কাহিনি শুরু—এই দেশ ওই দেশ কইরা একেবারে গরুর গাড়ির ঘণ্টার মতন ঝনঝনাইয়া ঘুইরা বেড়াচ্ছি। কখনো ওথানে, কখনো তথানে, যেন বেদুইনেরও চাকরি নিয়া ফেলছি। কোনখানে যে ঠিকানা করি—সে প্রশ্নে এখনও সিলমোহর নাই।

জন্মগত আতলামি, এইডা বাদ দেই কেমনে? যেখানে যাই, খানিকটা ‘আতলা রঙ’ দিয়া আসতে হয়। জায়গা পাই নাই—শেষমেশ ফেসবুকেই ঘাঁটি বানাইলাম, ভাবলাম অন্তত আপনাগো মাথা ধরার লাইসেন্সটা তো ফ্রি।

তাই যদি নিয়মিত মাথা ধরাইতে চান, সাবস্ক্রাইব কইরা রাখেন। ইনবক্সে হাজির হইবো—কখনো দিবসের দুপুরে, কখনো রাতের শেষ প্রহরে—যেন একখানা ডিজিটাল গুনগুনানি। কখনোওবা “বৈঠকী কিসসা” লইয়া হাজির।

ঢাকাইয়া পোলা আমি—কি করমু বলেন? সবখানে রস খুইজা লই, দুঃখের গহ্বরেও মজা খুঁজতে পারি। দুঃখে গা ভিজাইলেও আনন্দে টইটুম্বুর হইয়া দিন-রাত্রি পার কইতাছি।

সবাই ভালো থাইকেন। বড় ভাইদের কদমবুছি, ছোটদের মাথায় আদর—এই ঢাকাইয়া পোলার তরফ থেইক্কা আপনেরে দিলাম । 😏

24/09/2025

বৈঠকী কিসসা: পড়ুয়ার ভান এবং অন্যান্য কিসসা
=== Dr. Mashiur Rahman ===

বাল্যকালে, নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার মতোই, আমার মস্তিস্কে এক অভূতপূর্ব তত্ত্বের উদয় হলো। আমি তার নাম দিলাম "দণ্ড-পঠন দ্বান্দ্বিকতা" বা ইংরেজিতে যাকে বলে, The Duality of Cane and Canon। তত্ত্বটি অতি সরল: গৃহে দণ্ডের আগমন ও বই পড়ার পরিমাণ পরস্পর ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ, আব্বাজানের করকমলে বেত যত কম শোভা পাবে, আমার জ্ঞানসমুদ্রে অবগাহন তত বাড়বে।

এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের পর, ক্লাস টু-এর আমি নিজেকে প্রায় গ্যালিলিওর সমগোত্রীয় ভাবতে শুরু করলাম। বুঝলাম, সংসারে নির্বিঘ্নে বাঁচতে হলে হয় বীর হতে হয়, নয়তো বিদ্বান হওয়ার ভান করতে হয়। বীর হওয়ার মতো পেশিশক্তি ছিল না, তাই দ্বিতীয় পথটিই বেছে নিলাম। ফলস্বরূপ, আমার পঠন-পাঠনের বহর এমত বাড়িয়া গেল যে, বাড়ির সকলে ভাবিতে লাগিল, এ ছেলে কনিষ্ঠ বিদ্যাসাগর না হইয়া যায় না।

আমার সে সাধনা ছিল এক মহাযজ্ঞ। আব্বাজানের সমক্ষে যখন আমার ভূগোল বই খোলা থাকিত, তিনি কি আর জানিতেন যে, সেই টেক্সটবুক নামক রাষ্ট্রের আশ্রয়ে সেবা প্রকাশনীর মাসুদ রানা নামক এক স্বাধীন প্রজাতন্ত্র দিব্যি চলিতেছে? আমার চোখ তখন সুদূর মিশরের মরুভূমিতে পিরামিডের রহস্যভেদ করিতেছে, আর মুখ হইতে নির্গত হইতেছে, "পদ্মা, মেঘনা, যমুনা—আমাদের তিন প্রধান নদী।" এই যে চক্ষু ও জিহ্বার মধ্যে এক অদ্ভুত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, যাহাকে ফরাসিতে বলে *double entendre*, ইহা আমি সেই বয়সেই রপ্ত করিয়াছিলাম। আমার মস্তিষ্ক যেন ছিল এক দুই-ইঞ্জিনবিশিষ্ট বিমান, যার এক ইঞ্জিন চলিত সিলেবাসের পথে, অন্যটি কল্পনার জগতে।

এই সাধনার এমনই তেজ যে, একবার গভীর রাত্রে নিদ্রার ঘোরে শুনিলাম, রান্নাঘরে বিড়াল হাঁড়ি ফেলিয়াছে। আর যায় কোথা! আমার অর্ধচেতন মন ভাবিল, আব্বাজান আকস্মিক পরিদর্শনে আসিয়াছেন। আমি ঘুমের মধ্যেই তারস্বরে হাঁক ছাড়িলাম, "Two ones are two, two twos are four..."। আব্বাজান দেখিয়া ভাবিলেন, ছেলের আত্মা পড়াশোনার চাপে দেহ ছাড়িয়া কেবল বইয়ের জগতে আশ্রয় লইয়াছে। তিনি বিচলিত হইয়া আমাকে এক বিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন করিলেন।

সেই ডাক্তার ছিলেন এক বিচক্ষণ ব্যক্তি। তিনি আমার নাড়ি টিপিয়া, চক্ষু দেখিয়া, এবং আমার সারাদিনের রোজনামচা শুনিয়া বলিলেন, "ভয়ের কারণ নাই। আপনার পুত্রের কোনো মানসিক বিকার হয় নাই, হইয়াছে 'অতিরিক্ত জ্ঞান-বিকার' । ঔষধ একটাই—প্রত্যহ দুই ঘণ্টা করিয়া টেলিভিশন দর্শন এবং গল্পের বইয়ের সহিত পাঠ্যপুস্তকের বিচ্ছেদ ঘটানো।" আমি তো শুনিয়া আহ্লাদে আটখানা! এ যে স্বয়ং ধন্বন্তরির বিধান!

সেই হইতে আমার পাঠাভ্যাস এক বিচিত্র রূপ লইল। পড়ার নেশাটা রহিয়া গেল, কিন্তু উহার কোনো বাছ-বিচার রহিল না। হাতের কাছে যাহা পাই, তাহাই পড়ি। শৌচালয়ে রাখা হারপিকের বোতলের গায়ে লেখা রাসায়নিক সংকেতগুলি আমার কাছে প্রাচীন মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক বলিয়া মনে হয় এবং উহার ব্যবহারবিধি যেন কোনো পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অনুশাসন। সে লেখা আমি এমনই মুখস্থ করিয়াছি যে, প্রয়োজনে হারপিকের গুণাগুণ লইয়া একখানা ক্ষুদ্র পুস্তিকাই লিখিয়া ফেলিতে পারি।

কিন্তু হায়! সকল সাধনারই পতন আছে। আমার এই জ্ঞানতৃষ্ণার সাগর আসিয়া শুকাইয়া গিয়াছে এক মরীচিকার পিছনে, যাহার নাম ফেসবুক। ইহার পাতা উল্টাইতে উল্টাইতে যতই নিম্নে অবতরণ করি, ততই মনে হয়, এ তো পড়া নয়, এ যেন এক অতলান্ত পাতালপুরীর দিকে যাত্রা। নামিতেই থাকি, নামিতেই থাকি। ইহার কি কোনো তল নাই? জানি না, এই নিম্নগামিতাকে অধঃপতন বলা চলে কি না। ফারসি কবি বলিয়াছেন, "হর কস বে-খোদ রফত, উ বে-মঞ্জিল রসিদ" (যে নিজেকে হারাইয়াছে, সে-ই লক্ষ্যে পৌঁছাইয়াছে)। আমি তো ফেসবুকের অতলে নিজেকে হারাইয়াছি, কিন্তু মঞ্জিল কোথায়? সে কথা ভবিষ্যতের গর্ভে। আপনারা ভালো থাকুন। খোদা হাফেজ।

আপাতত, সেই অতলান্ত কূপে ডুবিয়া যাহারা এই রসালো জ্ঞানলিপি পাঠ করিলেন, তাঁহাদের কাছে অনুরোধ, এমন "বৈঠকী কিসসা" - জাতীয় হাস্যরসের স্বাদ পাইতে হইলে আমার পাতাটি লাইক ও সাবস্ক্রাইব করিতে ভুলিবেন না। তাহাতে এই "দণ্ড-পঠন দ্বান্দ্বিকতা" সার্থক হইবে।

আপনারা ভালো থাকুন। খোদা হাফেজ।

বৈঠকি কিসসা: হেলিকপ্টারের নতুন ব্যবহার==== Dr. Mashiur Rahman ====আমাগো পাড়ার পোলাপাইনের বহুতদিনের প্ল্যান আছিল - হেলিকপ...
12/09/2025

বৈঠকি কিসসা: হেলিকপ্টারের নতুন ব্যবহার
==== Dr. Mashiur Rahman ====

আমাগো পাড়ার পোলাপাইনের বহুতদিনের প্ল্যান আছিল - হেলিকপ্টারে চড়ার। মনের শখ আছিল আর কি! পোলাপাইনদের নিয়া ঢাকার আকাশে ঘুরুমু, এক চক্কর মেরে আসুমু বুড়িগঙ্গার উপরে! কিন্তু ভাইজান, হেলিকপ্টার নিয়া এখন তো মহা মুসিবত। সকল দেশের প্রধানমন্ত্রীরা হেলিকপ্টার কিইন্যা ছাদের মাথায় দাঁড় করাইয়া রাখতাছে, কখন পালাইতে হইবো কে জানে!

তয় একটা জিনিস কি জানেন ভাইজান, এইডা নতুন ফ্যাশন না। আগের লিডাররাও হেলিকপ্টার দিয়া চপ্পট পালাইছিলো! কি মনে করতে পারতাছেন না? দাড়ান একটু মনে কইরা দিই-

প্রথমেই মনে পড়লো ২০০১ সনে আর্জেন্টিনার দে লা রুয়া এর কথা। সেই দেশে দাঙ্গা লাগলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ছাদ থেইকা হেলিকপ্টারে চইরা পলাইয়া গ্যাছে। তারপরে মনে পড়লো ১৯৭৫ ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষের ঘটনা। সাইগন পড়ার সময় দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নুয়েন ভান থিউ দেশ ছাইড়া উড়াল। আমেরিকানরাও এক্কেবারে চকবাজারের ইফতার রাশের মত হেলিকপ্টার দিয়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উদ্ধার খেলাইছে।

ভাইজান, সেই ইতিহাসের দিনগুলার ট্রেন্ডখানা আজকালকালও চালু আছে। আমাগো বাংলাদেশে আগস্ট ২০২৪ এ শেখ হাসিনা ১৫ বছরের শাসনের পরে ছাত্র আন্দোলনের চাপে হেলিকপ্টারে চইরা ভারতে টুপুস। এরপরে পড়শুদিন নেপালের কেপি শর্মা অলি দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে সেনার হেলিকপ্টারে ঝুলে পালাইছে। মন্ত্রী ভাইদের তো দেখছে মানুষ হেলিকপ্টারের নিচে ঝুলতাছে, একদম নবাবপুরের লাইটের তারের মত!

এখন দোকানদাররে যদি বলি, “ভাই, হেলিকপ্টার চাই।” প্রথমেই উনি জিগাইবো—“আপনে কি প্রধানমন্ত্রী নাকি?” কারণ হেলিকপ্টার এখন তো ভাই: এক্সপ্রেস পালানোর বাহন, ছাদের উপরে স্ট্যান্ডবাই, দাঙ্গার টাইমে এমার্জেন্সি এক্সিট। আমাগো ছেলেরে নিয়া চক্কর মারার প্ল্যান তো এখন পুরা লস। সবাই ভাববো আমি বুঝি কোন দেশের বস!

হেলিকপ্টার এখন আর শখের জিনিস না—এইডা অইয়া গেছে পলিটিক্যাল সারভাইভাল কিট। যার হেলিকপ্টার নাই তার রাজনীতি করা মানে মিষ্টি খেতে গিয়া টাকা না নেওয়া—এক্কেবারে ফালতু! এইটাই এখন নিউ নরমাল, বুঝলেন ভাইজান?

তো আমার হেলিকপ্টারে চড়ার প্ল্যান আপাতত ক্যানসেল। যতদিন না এই ট্রেন্ড ফিনিশ হয়, ততদিন বাস-রিকশা-সিএনজির রাইডেই চলতে হইবো। আর যদি কখনো প্রধানমন্ত্রী হই, প্রথম কাজ হেলিকপ্টার কেনা—তবে সেইডা চকবাজারের ফুচকা ট্যুরের জন্য, পলানোর জন্য না! তবে কে জানে, কিনলেই হয়তো মাথায় পালানোর চিন্তা ঘুরে বেড়াইবো। এইডাও এক রকমের ভাইরাস, ভাইজান! হাহাহা!

পুনশ্চ: যদি কারো হেলিকপ্টার দোকানের ঠিকানা জানা থাকে, আমারে একটু জানাইয়্যা দিয়েন। কিন্তু দোকানদাররে বলিয়েন, “ভাই, আমি প্রধানমন্ত্রী না, শুধু ফ্রি রাইড নেবো।” হাহাহা!

আইজ শুক্রবার ২৮শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকাইয়া কবি মশিউর হেলিকপ্টারে চড়তে না পাইরা মনের দুক্ষে এই কথাখান লিইখ্যা গেল। ইতিহাসে লেইখ্যা রাইখেন। চড়ত না পারলে কি করুম, ছবিখানা এআই দিয়্যা আঁকাইয়া লইলাম।

#ঢাকা #বাংলাদেশ #রম্য

Address

Singapore

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Mashiur Rahman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Mashiur Rahman:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram