10/25/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            আমার খুবই জানতে ইচ্ছে করে 
যে ২০০৬ সালের পর বিএনপির যখন চরম দুঃসময়, দলের মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর অপসারিত হবার পর দলের হাল ধরেন প্রবীণ নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, যিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত দলের মহাসচিব ছিলেন, 
যখন দলের অনেক সিনিয়র নেতারা খালেদা জিয়ার সাথে মীরজাফরের মত বেঈমানি করেছিলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপির বিকল্প একটি নতুন ধারা তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন, 
যখন বিএনপির অবস্থা ছিল অনেকটা পানির স্রোতে খরকুটা ধরে বেঁচে থাকার মতো, তখন কতজন দলের সাথে বেঈমানি না করে সাহসের সাথে রাজপথে নেমেছিলেন?
দলের অস্তিত্ব রক্ষায় লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন? 
আমি নিজের ঢোল নিজে বাজাচ্ছি ব্যাপারটা সেরকম না মোটেই! আমি সত্য কথা বলছি! আমি তখন ঢাকার উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মেডিসিন বিভাগে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত ছিলাম! বরিশাল মেডিকেল কলেজ থেকে চলে আসার পরে, জীবনে কোনদিন ড্যাব করবো না বা দলীয় পরিচয়ে কোনো সুবিধা নিবো না বা চাকরী করবো না, সেই মানসিকতা নিয়ে ২০০৫ সালের শেষের দিকে উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেলে অনারারী মেডিকেল অফিসার পদে কাজ শুরু করি! আমার তৎকালীন রাজনৈতিক পরিচয় কোনদিন কাউকে দেইনি! তখনোও বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু কেউ কখোনো জানতোনা আমার রাজনৈতিক পরিচয়! 
একেবারে অডিনারী নিরীহ গো বেচারার মতো করে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে সেই সময়ে সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার হায়দার আলী স্যার এবং রেসিডেন্টসিয়াল সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার নুরুজ্জামান স্যরের সাথে কাজ করতে থাকি! 
দাবী নিয়ে বলতে পারি সেই সময়ে দীর্ঘ ৮ মাস অনারারী ডাক্তার হিসেবে কাজ করার পর আমি আমার স্বীয় যোগ্যতায় শেষ পর্যন্ত চাকুরি পেয়েছিলাম! উল্লেখ্য, আমার আগে উচ্চ পর্যায়ের তদবির ছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেলে এর আগে কারও কখনও চাকরি হয়নি!
নিজের দল যখন চরম বিপদে পড়েছিল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন বন্দী হয়েছিলেন, সেই চরম দূর্দিনে আমি আর চুপ থাকতে পারিনি! ২০০৬-০৭  সালে আমি এবং আমার কয়েকজন সহকর্মী যাদের মধ্যে ডাক্তার জিয়া ভাই, রোকন, আনার, হাসান সহ আরও ৫/৭ জনকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সক্রিয় হয়েছিলাম, ২০০৮-৯ সালের দিকে ডাক্তার অধ্যাপক ডোনার ভাই আমাদের হাসপাতালে আসলে আমাদের রাজনীতির গতি আরো অনেকগুণ বেড়ে যায়! 
সেই সময়েই আমি সহ মোট ৭/৮ জন ড্যাবের লাইফ মেম্বার হই! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তরা থেকে পল্টন, মতিঝিল, মগবাজার ড্যাবের অফিস, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, পিজি হাসপাতালে বিএনপির প্রায় সকল কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছি, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি । 
সেই সময়েই ২০১০-১১ সালে প্রথম উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ড্যাবের আহ্বায়ক কমিটির কেন্দ্র থেকে পাশ করিয়েছি যার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ছিলাম আমি! 
বর্তমান ড্যাবের মহাসচিব প্রিয় বড়ভাই ডাক্তার শাকিল ভাই, ডোনার ভাই, মোস্তাক রহিম স্বপন ভাই, আকরাম ভাই, লাবু ভাই,রফিক ভাই, নজরুল ভাই সহ ততকালীন আমার সহযোদ্ধা ড্যাবের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আমার কথার সকল ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দেবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
২০১২ সালের বিএমএ নির্বাচনে ঢাকা বিভাগের সেন্ট্রাল কাউন্সেলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম ! জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে সেসময় রাজনীতি করেছিলাম! কাউকে ভয় করে মাথা নত করিনি , বরং আমি সবসময়ই ছিলাম সাহসী কন্ঠস্বর! 
২০১৩ সালের ৩রা এপ্রিল আমেরিকা চলে আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারী সরকারকে কখনোই ভয় পাই নাই! আমেরিকা চলে আসার পরেও ফেইসবুকে অনবরত সবসময়ই অনেক লেখালেখি করেছি, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরাসরি সমালোচনা করেছি এবং নানান ধরনের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছি যার কারনে বর্তমানে নিজেদের দাবী করা অনেক জুলাই যোদ্ধারা নিজ নিজ প্রানভয়ে সে সময় আমাকে নিজেদের ফেইসবুকে বল্ক করে দিয়েছিলে বা আনফ্রেন্ড করে দিয়েছিলো!
যাক কথা আর বেশি দীর্ঘ করবো না, যে প্রশ্নটা করতে চেয়েছিলাম সেটা হলো ২০০৭-২০১৩ পর্যন্ত বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়া এবং জনাব তারেক রহমানের চরম দূর্দিনে বর্তমানে স্বঘোষিত বিএনপির জুলাই যোদ্ধাদের কতজন রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন, প্রতিবাদ প্রতিরোধ করেছিলেন বা দলের পাশে শক্তভাব দাড়িয়েছিলেন? আপনাদের সৎ সাহস থাকলে প্লিজ আমার প্রশ্নের উত্তর দেবেন! অপেক্ষায় থাকলাম🤔
এতক্ষন কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ🙏!
আমেরিকার ভার্জিনিয়া থেকে 
ডাক্তার এস এম আনোয়ার পারভেজ (এমডি)
সাবেক সাংস্কৃতিক এবং সাধারণ সম্পাদক 
বরিশাল মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ ২০০১-২০০৩
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ড্যাব
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল 
এবং লাইফ মেম্বার 
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)