04/12/2025
শীতকাল কেন ওজন কমানোর জন্য পারফেক্ট?
২০ টা কারণে শীতে ওজন কমানো সহজ, সেগুলো কি? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
🔥 ১) আমাদের শরীরের একটা নিদৃষ্ট তাপমাত্রা আছে, শীতকালে সেটা বজায় রাখতে বাড়তি এনার্জি লাগে। ফলে ন্যাচারালি অন্যসময়ের চেয়ে শীতেকালে বেশি ক্যালরি বার্ন হয়।
❄️ ২) শীতে আমাদের শরীরে Brown Fat সক্রিয় হয়। যা আমাদের মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে ওজন কমাতে দারুণ ভূমিকা রাখে।
☕️ ৩) শীতে গরম পানীয়, হার্বাল টি, লেবু-গরম পানি, মধু গরম পানি, স্যুপ এই জাতীয় জিনিস খেলে আরাম পাওয়া যায় যা স্ন্যাকিং এর ক্রেভিংস কমায়, ফলে অপ্রয়োজনিও খাওয়া কম হয়।
🥘 ৪) শীতের খাবার হয় Diet-Friendly. যেমন স্যুপ, ডাল, স্ট্যু, খিচুড়ি, শীতের সবজি, অনেক ঝাল ঝাল খাবার এগুলো তুলনা মূলক কম ক্যালরির হয়, কিন্তু পেট ভরে রাখে অনেকক্ষন।
😴 ৫) শীতের রাত লম্বা হবার কারণে ঘুমানোর সময় বেশি পাওয়া যায়, যাতে ঘুমের মান ভালো হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঘুমের মান ভালো হলে হরমোন এর ব্যালেন্স ঠিক থাকে যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
🍜 ৬) ক্ষুধার বোধ আসে Ghrelin Hormone থেকে যেটা প্রাকৃতিক ভাবেই শীতকালে কিছুটা suppressed থাকে। তাই ক্ষুধার বোধ ও একটু কম হয়।
🥶 ৭) যেকোনো এক্সারসাইজ বা একটিভিটি শীতে করলে বেশি ক্যালরি বার্ন হয়। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে নিজের তাপমাত্রা বজায় রাখতে বেশি শক্তি ব্যবহার করতে হয়।
🙃 ৮) শীতে নড়াচড়া কম হয় বলে খাবার ধীরে হজম হয়, পেট বেশিসময় পর্যন্ত ভরা থাকে, ফলে ক্ষুধা ও কম লাগে।
💪 ৯) শীতে একটিভিটি করতে গেলে সহজে ক্লান্তি আসেনা তাই দীর্ঘ সময় ধরে একটিভিটি করা যায়।
🍋 ১০) শীতে ভিটামিন সি যুক্ত ফল পাওয়া যায় যা ইমিউনিটি এবং ফ্যাট মেটাবলিজম বাড়ায়।
🍦 ১১) শীতে একটু হলেও কম আইসক্রিম / ঠান্ডা পানীয় / অন্য কোনো ঠান্ডা ডেজার্ট এর ক্রেভিং হয় আর এগুলো অনেক বেশি হাই ক্যালোরির হয়ে থাকে।
🍵 ১২) শীতে নরমালি মশলা বা হারবাল জিনিস পত্র যেমন আদা, মধু, দারচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, কালো জিরা, গোল মরিচ এগুলো বেশি ব্যবহার করা হয় যা Blood sugar ও fat burn–এ সাহায্য করে।
🏠 ১৩) শীতের রাত বড় হবার কারণে বাসায় পরিবারের সাথে সময় কাটানো হয় বেশি। যার ডাইরেক্ট কোনো সম্পর্ক নাই ওজন কমানোর সাথে কিন্তু এটা মেন্টাল হেলথ এর উপর পজিটিভলি প্রভাব ফেলে।
🫛 ১৪) শীতের শাক, সবজি গুলো অপেক্ষাকৃত কম ক্যালরি, এগুলো ফাইবার রিচ বলে পেট ভরা রাখে অনেক্ষন এবং অনেক ভ্যারাইটি থাকে বলে খেতে বোর লাগে না।
🫙 ১৫) শীতে অনেকে ওয়ার্ম ওয়াটার খান, যা হজমে সহায়ক এবং ফ্যাট মেটাবলিসম বাড়ায়।
☀️ ১৬) শীতে অনেকেই D3 সাপ্লিমেন্ট নেন। যাতে ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়ে যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
🧬 ১৭) ঠান্ডায় থাইরয়েড হরমোনের কার্যক্রম সামান্য বেড়ে যায়। যাতে ক্যালরি বার্ন বৃদ্ধি পায়।
⏰ ১৮) তাড়াতাড়ি অন্ধকার হয়ে যাওয়ার কারণে শীতে মানুষ তুলনামূলক ভাবে আগে রাতের খাবার খেয়ে ফেলে। যা ভাল হজম এর অন্যতম শর্ত।
🧠 ১৯) নুতুন বছর আসার আগে মানুষ কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে চায়, তাই মনস্তাত্ত্বিক ভাবে একটা ফ্রেশ স্টার্ট এর প্রস্তুতি নেয়। নতুন রুটিন, নতুন ডিসিপ্লিন অনেক সময় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
💧 ২০) আমরা অনেকে সময় ক্ষুধা আর তৃষ্ণা কে আলাদা করতে পারিনা। অনেক সময় তৃষ্ণা কেও ক্ষুধা বলে মনে করি, এবং অনেক কিছু খেয়ে ফেলি। শীতে তৃষ্ণা কম লাগে ফলে ভুল হবার সম্ভাবনাও কম হয়।
পোস্ট টা উপকারী মনে হলে প্লিজ শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ।