03/09/2014
আপনাদের খাবারের ম্যানুতে প্রতিদিন রসুনকে প্রাধান্য দিন ।
লেখক:
ডাঃ বেনজীর আহমেদ
ডি এইচ এম এস , ঢাকা
জেনারেল ফিজিশিয়ন টু ক্রনিক এন্ড কমপ্লিকেটেড ডিজিজেস
হোমিও আরোগ্য ভবন
২৪৯/২ উত্তর গোড়ান, সিপাইবাগ ঢাকা- ১২১৯
মোবাইল ঃ- ০১৯১১৩৯৭৮৭৮
১টা রসুন থেতোকরে ঘরে রাখলে ঘর জীবাণু মুক্ত থাকে। রসুনে রয়েছে অষুষ ঝঁষঢ়যরফ যা সব ধরনের জীবাণু নাশ করার শক্তি রাখে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মহারথি হিপোক্রেটস লিখেছেন যে আমাদের বনৌষধীর মধ্যে রোগ প্রতিরোধে রসুনের স্থান প্রধান।
জার্মানীতে ৮০টি ব্লাড প্রেসারের রোগীকে রসুন প্রয়োগ করা প্রায় ক্ষেত্রে বিশেষ উপকার পাওয়া গেছে।
জার্মানী গবেষকরা লক্ষ করেছেন যে, রসুনের ই,পড়ষর এবং টাইফয়েডের জীবাণু নাশ করার শক্তি আছে।
ব্রাজিলের একটি চিকিৎসক সম্প্রদায় রসুনকে ব্যাবহার করেছেন অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি, টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েডের ক্ষেত্রে।
রাশিয়ান চিকিৎসকরা বলেছেন এর দ্রব্যশক্তি পেনিসিলিনের তুল্য।
রসুনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ , বি , সি , ও ডি এছাড়াও রয়েছে পটাসিয়াম,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস,আয়রন,আয়োডিন এবং উগ্রশক্তির জীবাণুনাশক অ্যাক্রোলিন ,ক্রোটনক,অ্যালিডিহাইড, অ্যলাইল সালফাইড ও ভোলাটাইল টারপেনিস।
রসুন এ্যাজমার জন্য অত্যন্ত কার্যকরি ঔষধ. ৫-১০ ফোটা রস অল্প দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
৫-১০ ফোটা রসুনের রস ৪-৬ ফোটা পর পর কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে ফুসফুসের কোষের মধ্যস্থিত জমাট কফকে তরল করে বাইরে নিক্ষেপ করে প্রচুর অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে ফুসফসকে হালকা করে দেয় এবং রোগী সুস্থ বোধ করে।
রসুন পুরুষ ও মহিলার চেহারার বলিরেখা এবং অকালে বৃদ্ধের মতো হয়ে যাওয়া রোধ করে। ২/১ কোয়া রসুন বেটে কাঁচা আমলকির ২/১ চামুচ রসের সাথে মিশিয়ে খেলে পুরুষ ও মহিলার বয়সের ছাপ চলে যায় এবং যৌবন অটুট থাকে।
ভাতের সাথে টাটকা ঘোল এবং আধকোয়া রসুন কিছুদিন নিয়মিত খেলে হার্ড্ডিসার শিশুও নাদুস নুদুস হয়ে যায়।
রসুনের রস নিয়মিত মাথায় দিলে চুল পাকে না ।
কানে কম শোনার জন্য সম পরিমান রসুন ও আদার রস গরম করে ফোটা ফোটা করে কানে দিলে শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
রসুন ক্রিমি নাশক ৫-১০ ফোটা মাত্রায় রসুনের রস শোয়ার সময় একবার খেলে গোল ও গুড়া ক্রিমি বের হয়ে যায়।
রসুন নারীর পক্ষে সন্তান প্রদ। আয়ুস্কর। যুবতী অঙ্গসৌষ্ঠবের সমতা রক্ষক। মাসিক ¯্রাব বন্ধহয়ে গেলে রসুনের রস ব্যাবহারে পুনরায় তা প্রবাহিত হয়।
১৮৫২ সালে ডাঃ পেট্রোস রসুনকে হোমিওপ্যাথিতে প্রর্বতন করেন। হোমিওপ্যাথিতে এটা অষরঁস ঝধঃরাধ নামে পরিচিত।
রসুন একক ভাবে না খেয়ে কোন কিছুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া ভাল।
৫-১০ ফোটা মাত্রায় হোমিও মাদার টিংচার ও খেতে পারেন।