Satsanga Sodepur

Satsanga Sodepur man making industry. ..of Sri Sri thakur anukul chandra

01/03/2024

সবাইকে জয়গুরু।
সবার জন্য একটি সুন্দর দিনের প্রত্যাশা রইলো পরমপিতার রাতুল চরণে---

আজকের অংশবিশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া।

বিষয়ঃ *সাধনা*

সৎদীক্ষা তুই এক্ষুণি নে
ইষ্টেতে রাখ সম্প্রীতি,
মরণ-তরণ এ-নাম জপে
কাটেই অকাল যমভীতি।১৭।

দীক্ষা-বিয়ের আনুষ্ঠানিক
সাম্যভাঙ্গা মন্থরতা,
আনেই জীবন-কর্ম্মশালায়
মন্দ-বধির অলসতা।১৮।



জয়গুরু।
বন্দে পুরুষোত্তমম্।।

উপরোক্ত অংশ শ্রীশ্রীঠাকুর বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' (প্রথম খন্ড) থেকে সংকলন করলাম মাত্র।

বিনয়াবনত :
শ্রী অশোক কুমার পাল
কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ।

03/08/2023
07/07/2023

*আসন্ন শ্রাবণ পরিক্রমা বিষয়ে পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের পূত নির্দেশ* —

১. মাতৃসম্মেলনের জন্য দীক্ষা পত্র সমীক্ষার কাজ যেন কোনোভাবেই ব্যহত না হয়।

২. প্রতিটি পিন কোডেই নিরবিচ্ছিন্নভাবে ডিপি ওয়ার্ক্স এর কাজ চালানোর পাশাপাশি মাতৃসম্মেলনের উদ্যোগ নিতে হবে।

৩. পূর্ববর্তী বছরগুলিতে যেভাবে নির্দিষ্ট কিছু মায়েদের বাড়িতে শ্রাবণ মাসে মাতৃসম্মেলন করা হতো – তা না করে দীক্ষা পত্র সমীক্ষার কাজের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া মায়েদের বাড়িতে বাড়িতে মাতৃসম্মেলন আয়োজন করতে হবে।

৪. মাতৃসম্মেলন করার আগে সেইদিন সেই অঞ্চলে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা দীক্ষা পত্র সমীক্ষার কাজে বাড়ি বাড়ি যাজন করতে হবে।

৫. দেড় ঘন্টার মাতৃসম্মেলনে গান-কীর্তন পরিবেশনের পর ২-৪ জন মূলত ডিপি ওয়ার্ক্স ও ব্যক্তিগত জীবনে ঠাকুরের দীক্ষা নিয়ে চলার আনন্দ ও উপলব্ধি প্রকাশ ক'রে কিছু কথা বলবে। অলৌকিক গল্প না ক'রে, ক'রে পাওয়ার বিষয়ে যাজন করতে হবে।

৬. যে সমস্ত মায়েরা বহুদিন ধরে মাতৃসম্মেলনের প্রথম সারিতে আছেন তারা ক্ষমতা আঁকড়ে না রেখে নতুনভাবে যুক্ত মায়েদের মাতৃসম্মেলন পরিচালনা, গান-কীর্তন, আলোচনাতে উৎসাহিত করতে হবে।

৭. যে মায়েদের বাড়িতে মাতৃসম্মেলন হবে তাদেরকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে হবে ঠাকুর সাজানোর কাজে, গান-কীর্তন অথবা ইষ্টপ্রসঙ্গ করার মাধ্যমে।

৮. এক‌টি বিষয়ে সকলকে সাবধান থাকতে হবে, যাতে কেউ সরাসরি ওই নতুন পরিবারটির কোনো কাজকেই ভুল বলে চিহ্নিত না করে। মিষ্টি কথায় সঠিকভাবে করার পদ্ধতিটি শিখিয়ে দিতে হবে।

৯. মাতৃসম্মেলনের প্রসাদে কোনোরূপ বাহুল্য প্রদর্শন করা ঠিক না। সামর্থ্য থাকলেও সকলেই যা করতে পারে সেভাবেই তা করা ভালো।

১০. বিবাহে ভুল আছে, স্বস্ত্যয়নী ব্রতধারী নয় ইত্যাদি বিভিন্ন অজুহাতে ইষ্টকাজে কাউকেই অচ্ছুত করে রাখা, অবহেলা করা চলবে না যদি না তার আচরণ ইষ্টবিরোধী হয়।

ঐ ফটোর মধ্যে ঠাকুর আছেন, ঐ সিংহাসনে ঠাকুর আছেন, ঐ বাড়ীতে ঠাকুর আছেন, ঐ দেবালয়ে ঠাকুর আছেন, ঐ মানুষের মধ্যে ঠাকুর আছেন এই...
23/11/2022

ঐ ফটোর মধ্যে ঠাকুর আছেন, ঐ সিংহাসনে ঠাকুর আছেন, ঐ বাড়ীতে ঠাকুর আছেন, ঐ দেবালয়ে ঠাকুর আছেন, ঐ মানুষের মধ্যে ঠাকুর আছেন এইটাকে খুঁজে যে দেখে সেই অজ্ঞানী,আর জ্ঞানী সেই যে বলে আমার মধ্যে ঠাকুর আছে। এটাই হচ্ছে জ্ঞানের কথা,আমার মধ্যে ঠাকুর আছে। মন্থন করলে যেমন ননীর উত্থান হয়,সেইরকম আমিও জাগিয়ে তুলব তোমাকে। আমার ভিতর থেকে তোমাকে প্রকাশ ঘটাব। আমি যেরকম ভাবি,ভাবার খাঁকতি আছে,সেটা আমারই খাঁকতি। এরকম করে নিরন্তর প্রকাশ করতে থাকি তাহলে মানুষ একদিন বলবে যে এই মানুষটা ঠাকুরের মানুষ। এর চলা,বলা,করা প্রত‍্যেকটা ঠাকুরের মতন। এর ভাবনা,চিন্তা সমস্ত কিছু। যা আমি ঠাকুরকে বুঝি সেইরকম আচরণে অভ‍্যাস করতে থাকি বুদ্ধি করে,করতে করতে একদিন সেটা সংস্কারে পরিণত হবে। এই যে বুদ্ধি করে ঠাকুর কিরকম বলেছেন সেটাকে বুঝে নিয়ে চলার চেষ্টা করি এটাই ঠাকুরত্ব জাগা। এই ঠাকুরত্ব না জাগলে কেউ তোমার কেন্দ্র নয়,ঠাকুরও নয়।

💐পরমপূজ‍্যপাদ প্রধান আচার্য দেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা💐

বিশ্বগুরু শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এবংতাঁর প্রতিষ্টিত সৎসঙ্গের কার্য্যপ্রণালী সম্পর্কে অমৃতবানী বলেগেলেন শ্রীশ্রী স্বা...
23/11/2022

বিশ্বগুরু শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এবংতাঁর প্রতিষ্টিত সৎসঙ্গের কার্য্যপ্রণালী সম্পর্কে অমৃতবানী বলেগেলেন শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব (বাবামণি)::
"এক নবযুগ সন্মুখে আসছে । সেই যুগে দীক্ষা থাকবে, কিন্তু দীক্ষাদাতা হবেন গৌণ । তিনি অনাদরের পাত্র হবেন না, বরং প্রভূত কৃতজ্ঞতার ভাজনই হবেন, কিন্তু দীক্ষা দান ক'রে তিনি মুণ্ডু কিনে নেবেন না, দীক্ষা দিয়ে তিনি সেই নিত্যগুরুরই শিষ্য তোমাকে করবেন, যাঁর শিষ্য তিনি নিজে । দীক্ষাদাতা সেই যুগে দীক্ষা-গ্রহীতার গুরু নন, গুরুভ্রাতা । সবাই তখন একই পথের যাত্রী মাত্র, কেউ বা অগ্রগামী, কেউ পশ্চাৎবর্ত্তী, কিন্তু সবাই একে অন্যের ভাই বা বোন, কেউ গুরু নন বা শিষ্য বা শিষ্যা নন । বহু-দেববাদে লাঞ্ছিত দেশে অবস্থার স্বাভাবিক পরিণতির যে গুরুবাদ, একলক্ষ্য জাগ্রত সমাজে তার রূপান্তর হবে । সবাই তখন এক গুরুর শিষ্য, শত শত গুরুর তখন প্রয়োজন নেই । সেই শুভদিনের প্রতীক্ষায় আমি এই নর-তনু বহন করে বেড়াচ্ছি ।"
(অখণ্ড-সংহিতা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ: ২৬, ২৭)
তাই বলছি, যারা এখনও যুগ পুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুরের সৎদীক্ষা পাননি, আসুন সেই আদি বীজনাম, দয়ালধামের সেই সৎনাম গ্রহণ করে এই দুর্লভ মানব জীবন তথা শ্রীশ্রীবাবামণির স্বপ্নটা স্বার্থক করে তুলুন । জয়গুরু ॥

সৎসঙ্গ নেদারল্যান্ড, ইউরোপ ।মহোৎসব ১৯/১১/২০২২ইং, 🙏🙏
23/11/2022

সৎসঙ্গ নেদারল্যান্ড, ইউরোপ ।
মহোৎসব ১৯/১১/২০২২ইং, 🙏🙏

 #সেদিন পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব একটি আলোচনা করছিলেন এক দাদা এসে শ্রীশ্রী আচার্য্যদেব কে উপদেশ দিচ্ছেন আপনারা নিজ...
16/11/2022

#সেদিন পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব একটি আলোচনা করছিলেন এক দাদা এসে শ্রীশ্রী আচার্য্যদেব কে উপদেশ দিচ্ছেন আপনারা নিজেদের একটি TV Channel খুলে প্রচার করতে পারেন,তখন পরম পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব গম্ভীর সুরে বলেন যে

● "ফাঁকা কলসি দেখেছেন? যখন ফাঁকা কলসি দিয়ে নদী যে জল নেওয়া হয় তখন কেমন বগ বগ শব্দ করে না?? আবার ভর্ত্তি কলসি নিয়ে জলে দিবেন দেখবেন কোনো শব্দ করবে না! ঠাকুর এর জগত মানুষ রা এমন পূর্ণ কলসি মত তাই তাদের আলাদা করে TV বা চ্যানাল বানিয়ে বসে বগ বগ করতে হয় না,আমাদের আচরণ বুঝিয়ে দিবে আমরা কী?"

প্রশ্নকর্তা চুপ এবং লজ্জিত!!

তারিখ: 20.09.22
নাটমণ্ডপ,সৎসঙ্গ,দেওঘর

13/11/2022

"""" #গ্রন্থ"""""" #প্রিয়পরমের কথা""""(৪৩)

👉।। বড়াল-বাংলোর(তখন ঠাকুর বাংলো নাম হয়নি)প্রশস্ত প্রাঙ্গণে প্রথমদিকে যখন কোন ঘরবাড়ী ছিল না, শীতকাল ছাড়া অন্য সময়ে শ্রীশ্রীঠাকুর রাতে প্রাঙ্গণেই বড় ত্রিপলের ছাউনির তলে শয়ন করতেন।তখনও এদিকে বিদ্যুৎ আসে নি।তাই, লম্ফ,হেরিকেন ইত্যাদি জ্বেলে রাতের কাজকর্ম্ম হ'ত। শ্রীশ্রীঠাকুর যখন শয়ন করতেন তখন একজন তাঁর বরবপু মৃদু মৃদু ঝাঁকিয়ে দিতেন,আর একজন বড় একখানি হাতপাখা দিয়ে তাঁকে হাওয়া করতেন।

বর্ত্তমানে যেখানে পার্লার গৃহ, একদিন রাতে ঐখানেই একটা বড় ত্রিপলের ছাউনির তলে শ্রীশ্রীঠাকুর নিদ্রিত।নিয়ত সেবক বঙ্কিমচন্দ্র রায় ধীরে ধীরে অঙ্গ-সংবাহন করছেন এবং ডাঃ প্যারীমোহন নন্দী খাটের পাশে দাঁড়িয়ে হাতপাখা দিয়ে টেনে টেনে হাওয়া দিচ্ছেন।

নিশুতি রাতের গভীর অন্ধকারে চারদিক ঢাকা।সমগ্র পৃথিবী ঘুমে অচেতন।

হঠাৎ বঙ্কিমদা মৃদুস্বরে প্যারীদাকে ডাক দিলেন, 'প্যারীদা! ঐ দেখ।' ততক্ষণে প্যারীদারও চোখ পড়েছে।দূর দারোয়া নদীর নিকট থেকে দু'টি উজ্জ্বল আলো ভেসে আসছে।তখনও ঠাকুরবাড়ীর পশ্চিম দিকে ঘরবাড়ী ওঠেনি।কাজেই ঠাকুরবাড়ীর প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়েই দারোয়া নদী পর্য্যন্ত পরিষ্কার দেখা যেত।আলো দুটি শ্রীশ্রীঠাকুরের দিকে ক্রমশঃ এগিয়ে আসছে।সেবক দু'জনেই সচকিত,কিন্ত বিস্মিত নন।কারণ,পূর্ব্বে এ-জাতীয় ব্যাপারের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় আছে। আলো দুটি শ্রীশ্রীঠাকুরের ছাউনির কাছাকাছি এসে কিছুক্ষণ স্থির হ'য়ে রইল,তারপর আবার দারোয়ার দিকে ফিরে মিলিয়ে গেল।

জানা জায়নি এরা কারা।হয়তো কোন বিশেষ আত্মা শ্রীশ্রীঠাকুরকে দর্শন ক'রে গেল।বঙ্কিমদা ও প্যারীদা পরদিন সকালে ঘটনাটি বিবৃত করেন।

ক্রমশ...

#সৎসঙ্গ #শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা #শ্রীশ্রীঠাকুর #অনুকূলচন্দ্র #ধর্ম

Joyguru aagami 18 December... panihati teswasti jagrihi utsab ER 49 Tomo borse sobar uposthiti ekanta bhabe kamona kori ...
12/11/2022

Joyguru aagami 18 December... panihati teswasti jagrihi utsab ER 49 Tomo borse sobar uposthiti ekanta bhabe kamona kori 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

🙏Jay Guru🙏       🙏 Good Morning🙏★"The fifth man will lead the way"★ ( )............................................... ....
10/11/2022

🙏Jay Guru🙏
🙏 Good Morning🙏

★"The fifth man will lead the way"★

( )............................................... ...........

said that the day will be like that if a man hides behind a rock, that rock will say out loud that there is a sinner behind me catch him.

Now Keshtada said how can we survive. I don't feel like taking it and tell me the way to live?

said he heard Keshtada Barakhoka may not be able, it may not happen in his (Sri Sri Barda's) son's time, it will start in his (Sri Sri Dada's) son's time, the "fifth" Purusha will show the way.
Now we need to know who this fifth man is. This fifth Purusha is Param Pujyapada Sri Sri Abinada.

Now let's see what the "fifth" man said to the people of the earth............................................... ................................
# I still don't know how much to do,
But before death I want to shake half the world.

someone feels that there is no one by my side, buy the JCD ticket and come....I am standing for you.

about Pujyapad Abinada............................................... ................................
Listen Abin, let me tell you one thing, I may not be able to see you at my age, your father may not be able to see it, but when you are as old as I am, you will see every person in the whole of India doing Tagore Tagore.


Ramakrishna Dev said I will come and Naren(Swami Vivekananda) will not come what happens?

Now that man has arrived. He told the world before turning 21-
" "

(collected)

 #কর্মফল 🚩⭕ কর্ণের রথের চাকা মাটিতে বসে গেলে তিনি তা মাটি থেকে তোলার জন্যে রথ থেকে নিচে নামেন। এই সময় তিনি নিরস্ত্র ছিলে...
10/11/2022

#কর্মফল 🚩

⭕ কর্ণের রথের চাকা মাটিতে বসে গেলে তিনি তা মাটি থেকে তোলার জন্যে রথ থেকে নিচে নামেন। এই সময় তিনি নিরস্ত্র ছিলেন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তৎক্ষণাৎ অর্জুনকে, কর্ণের উপর বান মেরে হত্যা করার নির্দেশ দেন। 🚩

⭕অর্জুনও ভগবানের কথা মতো কর্ণকে লক্ষ্য করে একের পর এক বান নিক্ষেপ করে। যা কর্ণ কে ভয়ংকর ভাবে বিদ্ধ করে। এতে কর্ণ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। 🚩

⭕মৃত্যু পূর্ববর্তী সময়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া কর্ণ ভগবান শ্রী কৃষ্ণ কে প্রশ্ন করেন, "এই তুমি ভগবান? এই তুমি করুনাময়? এই তোমার ন্যায্য বিচার ! যে একজন নিরস্ত্র কে হত্যা করার পরামর্শ দাও ? "🚩

⭕সচ্চিদানন্দময় ভগবান শ্রী কৃষ্ণ স্মিত হেসে জবাব দেন, "চক্রব্যূহে অর্জুন পুত্র অভিমুন্যও নিরস্ত্র হয়ে গিয়েছিলো, যখন সকলে মিলে তাঁকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিলে... তাঁর মধ্যে তুমিও ছিলে । তখন তোমার এই ধর্মজ্ঞান কোথায় ছিলো কর্ণ? এ জগতে যে যেরূপ কর্ম করবে আমিও তাঁকে সেইরূপ কর্মফলই প্রদান করি। ইহাই আমার বিচার।"🚩

⭕অতএব... কর্ম করুন ভেবেচিন্তে। আপনি আজ কাউকে কষ্ট দিলে, যন্ত্রনা দিলে, অবজ্ঞা করলে, কারো দুর্বলতার সুযোগ নিলে.... আগামীতে আপনার জন্যেও সেই একই কর্মফল অপেক্ষা করে থাকবে এবং স্বয়ং তিনিই আপনাকে তা প্রদান করবেন।🚩

🚩💥হরে কৃষ্ণ💥🚩

"আমি অত শত বুঝিনা, আমি একটা জিনিস বুঝি, সাধারণ নিয়ম, ইঞ্জিন যে বেগে চলে বগিও সে বেগে চলে।বগি দ্রুত চলবে ইঞ্জিন আস্তে যা...
10/11/2022

"আমি অত শত বুঝিনা, আমি একটা জিনিস বুঝি, সাধারণ নিয়ম, ইঞ্জিন যে বেগে চলে বগিও সে বেগে চলে।বগি দ্রুত চলবে ইঞ্জিন আস্তে যাবে, ইঞ্জিন দ্রুত চলবে বগি আস্তে যাবে তা হয়না। ইঞ্জিন যে বেগে চলে ইঞ্জিনের পেছন পেছন বগি ও সে বেগে চলবে, সোজা কথা।
আমি যা করব যেমন ভাবে মানুষকে আমি অনুপ্রাণিত করবো, আমার বাক্য,কর্ম, আচরণে।আমার বাক্য,কর্ম,আচরণে আমি মানুষকে যেমন অনুপ্রাণিত করবো আমার দেখাদেখি পরিবেশের মানুষ যারা ঠাকুরকে মাথায় নিয়ে এগিয়ে চলছেন,তারাও সেইভাবেই অনুপ্রাণিত হবেন।তারাও তেমনতর করতে থাকবে।"
- #পূজনীয়_সিপাইদা

" #উৎচেতনী_মহোৎসব"(বাঁকুড়া) উৎসব সম্পর্কে।

(স্থান- #বৈতল_সৎসঙ্গ_বিহার)
(তাং-20/10/2019)

জয়গুরু

06/11/2022

🙏🙏🙏 Joyguru doyal ER kache sobar sudirghya istochhol jibon kamona Kori 🙏🙏🙏

04/11/2022

#আচার্য্যদেবের দর্শন প্রনামে এসেছেন এক মা। সম্প্রতি ওই মা'য়ের স্বামী গত হয়েছেন। তাদের কোন সন্তান নেই। এমতবস্থায় মা' টি কাতরতার সাথে আচার্য্যদেব কে বলছেন— উনি (স্বামী) থাকায় অনেক শক্তি পেতাম।
আচার্য্যদেব সব শুনে বললেন— শক্তি কেউ কাউকে দেয় না। শক্তি দেনেওয়ালা একমাত্র ঠাকুর। কেউ দু'দিন আগে, কেউ দু'দিন পরে যাবে—এটাই তো জগতের নিয়ম। যুক্তিটাকে বুঝতে হয়। আমি জানি কলসীর মধ্যের জলটা যদি আমি ফেলে দিই, তাহলে পুকুরের জলেই মিশবে। আবার যদি তুলি কলসী পূর্ণ হ'য়ে যাবে। পুকুরের জল, আর কলসীর জল—এটাই হচ্ছে ফারাক। দেহটা কলসী, পুকুরটা ঈশ্বর। এটাই হচ্ছে ভাবনার পদ্ধতি। এ-রকম করে ভেবে এগোতে হয়, নিজেকে যুক্তিতে খাঁড়া করতে হয়।

~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব

আলোচনা পত্রিকা, আশ্বিন ১৪২৯

30/10/2022

#ঠাকুরের দীক্ষা নিয়ে যদি কিছু অভ্যাস না করেন তাহলে হবে না কিন্তূ। এই অভ্যাসটাই যজন,যাজন ইস্টভৃতি। যজন মানে ঠাকুর বিষয়ে জানা। আমি ঠাকুরকে দেখেনি ,বড়দাকেও দেখেনি। ঠাকুরের বিষয়ে জানতে গেলে বই পড়তে হবে।
ছোটকাল থেকে আমি পড়ার ব্যাপারে আলসে। বই পড়তে পারতাম না। পড়তে গেলে অস্বস্তি হত। যখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি ,পাঁচ বছর বয়স। মনোজ স্যার হিন্দি পড়াতেন। একদিন মনোজ স্যার আমাদের কাছে শুনতে চাইলেন।
আমায় বললেন , তুমি তো সৎসঙ্গে থাকো , তুমি ঠাকুরের সম্বন্ধে কিছু বলো। আমাদের বাড়িতে ঠাকুরের জীবনী ছোটদের শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র পরানো হত। কিছু কিছু জানা ছিল। তা থেকে কিছু বলেছিলাম। সেদিন আমার মনে হয়েছে ঠাকুর সম্বন্ধে আরও কিছু জানা দরকার।


তিন সাড়ে তিন বছর বয়স তখন। ক্ষমাদি (কুন্ডু)আমায় জামা - কাপড় পরাচ্ছে।
কী একটা কারনে রেগে গিয়ে ক্ষমাদিকে একটা কথা বলতেই মায়ের কানে পৌছে গেল। মা বললেন ,তুই বললি কেন ? আগে ক্ষমা চা । আমি ক্ষমা চাইব না। মা আমায় মারতে লাগল যতক্ষন না ক্ষমা চাইছি। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলাম ক্ষমাদির কাছে। এইভাবে আমার ক্ষমা চাইবার অভ্যাস হয়েছে। ক্ষমা চাইতে লজ্জা করে না আর এখন। বাবার সঙ্গে আমার খুব একটা গল্প হয় না। পরিবারের লোকজনদের সঙ্গেও হয় না। ঠাকুরের জন্মদিবসে আমরা আশ্রমিকেরা ঝাঁট দিয়ে ঠাকুরবাড়ি পরিস্কার - পরিচ্ছন্ন করি , বিনতি প্রার্থনায় আসি , সৎসঙ্গের আয়োজন করি ,একসঙ্গে আনন্দবাজারে প্রসাদ নিই।
বাবা একদিন আমাকে বন্ধুদের নিয়ে ডাস্টবিন পরিস্কার করার ডিউটি দিলেন। হাতে গ্লাভস পরে ডাস্টবিন ঘষতে ঘষতে আমার অহঙ্কার মনে হল যেন চলে গেছে ।সাধারনের মতোই হয়ে গেছি। তা না হলে জনসাধারন কী চাইছেন বুঝতে পারতাম না।
ঠাকুর বলেছেন বেশিরভাগ রোগের কারণই হচ্ছে মন। আগে মন দুষ্ট হয়।
এমন একটা মানুষ চাই যে কথা বলে মনের সঙ্গে মিশে মনের খবর নিয়ে সমস্যাটা ধরতে পারবে। আমি যদি গাড়িতে ঘুরি ,হাঁটার মর্ম বুঝতে পারব না। বাবা ছোট ছোট কাজ দিয়ে আমায় শিখিয়েছেন।
_ জানলা খোল , লাইট নেভা,নিজের থালা নিজে ধো , বাসনটা জায়গামতো রাখ ইত্যাদি। এইসবের মধ্য দিয়ে মানুষ নিখুঁত হয় , মানুষের সঙ্গে মিশে তখন কথা বুঝতে পারতে থাকে।
~পরমপূজনীয় অবিন দা

(আলোচনা ◆শ্রাবণ ১৪২৫/ আগস্ট ২০১৮◆ ৬৩৩)

28/10/2022

"ঈশ্বর অবাক হন তিনবার-
১)বৈশিষ্ট্য ভেঙে সব এক করতে যখন যাই - তখন।
২)ধর্ম্মের ধৃতি ঈশ্বর এক, অদ্বিতীয় জেনেও ধর্ম্মের অজুহাতে ভেদ সৃষ্টি ক'রে মানুষ যখন তা' মানে তখন।
৩) প্রণয়ের পাত্র প্রিয় বৈশিষ্ট্যপালী-আপূরয়মান- তাঁতে নিবদ্ধ না হয়ে প্রবৃত্তি পরিতৃপ্তির লোভে প্রণয়ের ব্যবসা করি যখন করি - তখন।"
- শ্রীশ্রীঠাকুর। ( আর্য্যপ্রাতিমোক্ষ-১২ ; ৪৯৮৮)

।। তোমার মাঝে আমার আমি, হয়ে আছি আমি'হারা।।"আজ এই শুভ জন্ম তিথিতে, প্রনাম তব শ্রীচরণে।।💝👏
28/10/2022

।। তোমার মাঝে আমার আমি, হয়ে আছি আমি'হারা।।"

আজ এই শুভ জন্ম তিথিতে, প্রনাম তব শ্রীচরণে।।💝👏

বন্দেপুরুষোত্তমম্, রা নন্দিত জয় গুরু সবাইকেই, জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভাতৃদ্বিতীয়ার শুভেচ্ছা।                   পরম প্রে...
27/10/2022

বন্দেপুরুষোত্তমম্, রা নন্দিত জয় গুরু সবাইকেই, জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভাতৃদ্বিতীয়ার শুভেচ্ছা।
পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুরের বাণী
অনুশ্রুতি গ্রন্থ
সন্তানচর্য্যা
----------
খারাপ দিকে অবাগ রোখ্
ছেলের যদি দেখতে পাস,
যা'তে ফেরে এমনতর
সম্ভব কঠোর শাসন ধাস্। ২৩
যে-অভ্যাস যে -ব্যবহার
চিন্তা-কথা-কায়দা তোদের,
ঐ সকলের সেচন পেয়ে
প্রকৃতির গজায় সন্তানের। ২৪
ছেলেপুলে দিতে এলেই
বাহবা দিয়ে সেইটি নিবি,
সৎদানের প্রবৃত্তিটিরে
ঐ তালেতে গজিয়ে দিবি। ২৫
* * *

26/10/2022

জীবনস্বামীকে পেছন ফিরে..
*************************
বিয়ের পর নতুন সংসারে এসে সতী নারী তার স্বামীকে মূখ্য করেই বাকী সকলের সাথে সম্পর্কে জড়ায়। শ্বশুর-শাশুড়ি-দেবর-ভাসুর-ননদ সকলকেই সে ভালবাসতে চেষ্টা করে, সকলের মন যুগিয়ে চলে সংসারে আনন্দ ও শান্তি বজায় রাখে,- কিন্তু স্বামীই তার মূল কেন্দ্র। স্বামীর মত আর কাউকে সে ভালবাসেনা, স্বামীর জায়গায় অন্য কাউকে বসায় না, স্বামীর নিন্দা সে সহ্য করেনা। স্বামীকে কেন্দ্র করেই সংসারে তার আবর্তন।

তেমনি,- এই বিশ্ব সংসারে জন্ম নিয়ে আমরা সকলেই যার যার মত বহু সম্পর্কে জড়িয়ে নিয়ত আবর্তিত হচ্ছি। নারীর শ্বশুর বাড়ীর সংসারের মতই আমরা এই বিশ্ব সংসারে নানা দায়ীত্ব পালন করে চলেছি, সকলের মন জুগিয়ে চলতে চেষ্টা করি।

কিন্তু আমাদের জীবনস্বামী কে? আমাদের সকলের জীবনেই এই ' স্বামী' যদি মূখ্য না থাকেন, তাঁকে কেন্দ্র করে যদি আমার সংসারজীবন আবর্তিত না হয়, তাঁর তুষ্টি যদি আমার জীবনচলনার উদ্দেশ্য না হয়,- তবে আমাদের জীবনের দশা অসতী নারীর জীবনের মত হয়। জীবনস্বামীকে ভুলে, তাঁকে পেছন ফিরে আমি যতই তেত্রিশ কোটি দেবদেবতার পূজা করি, নানা জ্ঞানগর্ভ ভাষন রাখি, খুব ভক্তি প্রদর্শন করিনা কেন,- সব বৃথা। এই ভক্তি ব্যাভিচার দুষ্ট। এই বহুধা বিভক্ত ভক্তি ভ্রষ্টাচার মাত্র,- তা কোন উপকারেই আসে না।

গুরুই হলেন আমাদের জীবনস্বামী,- তিনিই আমাদের জীবনকেন্দ্র,- তিনিই মূখ্য। তাই শাস্ত্রে বলে,-" গুরুর ব্রম্মা গুরুর বিষ্ণু গুরুর্দেবো মহেশ্বরঃ "। অর্থাৎ গুরুই ব্রম্মা, গুরুই বিষ্ণু, গুরুই মহেশ্বর। গুরুকে পূজা করলেই ব্রম্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর সহ তেত্রিশ কোটি দেবদেবতার পূজা হয়ে যায়। জীবনে গুরুকে মূখ্য করে, তাঁকে সবার উপরে রেখে আমি যতখুশী দেবদেবতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারি,- তখন সকল দেবদেবতার পূজা সার্থক হয়।

আর গুরুকে ভুলে, তাঁকে পেছন ফিরে, - আমি যতই দিবারাত্র কালী-দূর্গা-মহাদেব থেকে শুরু করে অমুক দেবতা, অমুক ঠাকুর, অমুক মহাপুরুষের চরনে মাথা ঠুকে চলি না কেন,- কোন লাভ নেই। সব পন্ডশ্রম,- সব আত্মপ্রচারের নাটকমাত্র।

********************
ডাঃ রাজেশ চৌধুরী
আগরতলা

26/10/2022

"""" #গ্রন্থ""""" #প্রিয়পরমের কথা"""""(৩৮)

👉।। আর একবার আর একটি লোক এসে শ্রীশ্রীঠাকুরকে বলে, 'আপনি তো অবতার।' শুনেই পরিহাসভরে ব'লে উঠলেন শ্রীশ্রীঠাকুর, 'ভালই কইছ।তুমিও যেমন অবতার, আমিও তেমনি অবতার। তবে আমি তোমার থেকে বয়সে বড়, এই যা।' শ্রীশ্রীঠাকুরের বলার মধ্যে এমন রকম ছিল যা' শুনে লোকটির মুখে আর কথা জোগাল না।সে চুপ ক'রে একপাশে বসল।

শ্রীশ্রীঠাকুর যখন খালি চোখে কসমিক রে দেখা যায় বলেছিলেন তখন আধুনিকশিক্ষায় শিক্ষিত বিজ্ঞাননবিশগণ তাঁর কথা হেসে উড়িয়ে দেন। একজন অল্পবয়সী বিজ্ঞানদিগগজ শ্রীশ্রীঠাকুরের ঐ সিদ্ধান্তকে 'পাগলের প্রলাপ' বলে মন্তব্য করলেন।কিন্তু তাঁরা জানেন না যে অবিদ্যা এবং বিদ্যা এক জিনিস নয়।তাঁরা তাঁদের আহৃত জ্ঞানের মাপকাঠিতে মাপতে চান অচিন্তনীয় জ্ঞানস্বরূপকে,যা' কোনদিনই সম্ভব নয়।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভাষায় এরাই 'অজ্ঞ,মূঢ়,সংশয়াত্মা'।

কিন্ত এদের সমালোচনার ভয়ে ঠাকুর কখনও তাঁর কথা বলতে ইতস্ততঃ করেন নি।কসমিক রে সম্বন্ধে তিনি বলেছেন, 'এগুলি অনবরতই বৃষ্টিধারার মতো ঝরছে।' বিজ্ঞান এই পর্য্যন্ত বলতে পেরেছে।কিন্ত তা' যে দেখা যায় তা' বিজ্ঞান এখনও বলতে পারে নি।ঠাকুর আরো বলেছেন, 'এগুলি পৃথিবীতে কাত হ'য়ে (তির্যকভাবে)পড়ছে।সাদা সাদা দেখতে। আর,মাটিতে প'ড়েই ছড়িয়ে পড়ছে।এ দেখা যায়। যে-জায়গার পেছনটা আধাঁর-আধাঁর অথচ সামনের দিকে আলো আছে,এমন জায়গায় এগুলির ক্ষরণ দেখা যায়।' আমি এসব কথা আগেও শুনেছি।

ক্রমশ....

#শ্রীশ্রীঠাকুর #অনুকূলচন্দ্রের #কথা #সৎসঙ্গ #কথা
#লিংক https://www.facebook.com/profile.php?id=100082600785671

Joyguru to everyone

26/10/2022

জয়গুরু বন্দেপুরুষোত্তমম্
~~~~~~~~~~
সুপ্রভাত, পরম পিতার রাতুল শ্রীচরণে প্রতি প্রত্যেকেরই সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল প্রার্থনা করি।
সবাই সুস্থ্য-স্বস্তি ও আনন্দে থাকবেন।
জয়গুরু🙏 জয়গুরু,

শরৎদা--- বৈষ্ণবশাস্ত্রে আছে, জীব কৃষ্ণের নিত্যদাস, তার অর্থ কী?

শ্রীশ্রীঠাকুর-- জীব কখনও কৃষ্ণ হয় না। আপনি কি আপনার বাবা হতে পারেন? ছেলে বাবারই দাস। কারণ, সে বাবারই দান, বাবা থেকেই তার উৎপত্তি। জীবও তেমনি ঈশ্বরের দান, ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট, তাই সে তাঁর দান। আবার, সে যত ঈশ্বরের প্রতি এই আনুগত্য বোধ নিয়ে চলে, ততই জীবনে অক্ষত অবস্থায় চলতে পারে, নচেৎ দুনিয়ার নানান টানে প'ড়ে কোথায় সে ছিন্ন- বিচ্ছিন্ন হ'য়ে যাবে তার কি ঠিক আছে? তাই বৈষ্ণব শাস্ত্রে আছে---

"জীব নিত্য কৃষ্ণদাস ইহা ভুলি গেলা।
মায়া-পিশাচী তায় গলায় বেড়িলা।।"

ঈশ্বরোপাসনার বেদী আবার ঐ পুরুষোত্তম, তাই জীবকে কৃষ্ণদাস বলা হয়েছে, ঈশ্বরদাস ব'লে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। কারণ অমূর্ত্ত ঈশ্বরের উপাসনায় মানুষের বৃত্তিপ্রবৃত্তির গায়ে হাত পড়ে না। এটাকে আবার নিত্যসম্বন্ধ বলা হয়েছে এইজন্য যে, জীব যতই উন্নত স্তরে উঠুক না কেন, সে জীবই এবং ঈশ্বর তার প্রভু। এই ভক্তি, অনুরতি, ও অনুগতিই তার জীবন। সাধনার সম্পদ বা সঞ্চয় তার যতই থাক না কেন, যে- মূহুর্ত্তে সে অহমিকায় মূলের সঙ্গে সংযোগহারা হবে, সেই মূহুর্ত্তেই সে শুকিয়ে উঠবে। ফলকথা, ঈশ্বর তার সত্তার সত্ত্ব, ঈশ্বর চিরপ্রভু, জীব চিরদাস। আমার এই রকমটাই ভাল লাগে। তা'ছাড়া দেখুন না, আপনি আপনার ছেলের বাবা হ'তে পারেন, কিন্তু আপনার বাবার কাছে আপনি ছেলেই---- তা' আপনি যত বড়ই হন না কেন, এ- জন্মের মতো এ-সম্বন্ধ অপরিবর্ত্তনীয়। ঈশ্বরের সঙ্গে জীবেরও তেমনি চিরকালের মতো অপরিবর্ত্তনীয় সম্বন্ধ।
****************************
পরমদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর, আলোচনা প্রসঙ্গে,
(প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৫২)

যতকাল জীবিত থাক, তুমি অগ্নিহোত্রী থাক, শিখাসূত্রকে বহন কর, আর, তোমার সব থাকা, সব চলা, সব জানা, সব পাওয়া ব্রাহ্মী-অনুবেদ...
26/10/2022

যতকাল জীবিত থাক, তুমি অগ্নিহোত্রী থাক, শিখাসূত্রকে বহন কর, আর, তোমার সব থাকা, সব চলা, সব জানা, সব পাওয়া ব্রাহ্মী-অনুবেদনায় সংস্থিত হয়ে তোমার জীবনসূত্রের ব্রাহ্মী-বেষ্টনায় সবিশেষের বিশেষত্ব নিয়ে নির্ব্বিশেষে সমাহিত হোক, আর এই-ই পরম সার্থকতা।

🌼শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র

( আর্য্যকৃষ্টি–৭৬ )

বন্দেপুরুষোত্তমম্, রা নন্দিত জয় গুরু সবাইকেই, জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।          পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুরের বাণী        ...
26/10/2022

বন্দেপুরুষোত্তমম্, রা নন্দিত জয় গুরু সবাইকেই, জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুরের বাণী
অনুশ্রুতি গ্রন্থ
স্বাস্থ্য ও সদাচার
------------
জ্ঞান-গবেষণা নিত্য করিস্
তপস্যাতে রত থেকে,
বিরোধ-বুদ্ধি হটিয়ে চলিস্
সদাচার আর শৌচ রেখে,
এই চলনে চ'লে রে তুই
ভেবে সংস্কার সাক্ষাৎ কর,
মস্তিষ্ক টার তীক্ষ্ম প্রভায়
হ'তে পারিস্ জাতিস্মর। ৬৬
স্পর্শ-দোষে জীবাণু ধায়
সংস্রবেতে মন---
এই বুঝে তুই চলিস্-ফিরিস্
বুঝলি বিচক্ষণ ?৬৭
ক্ষুধাই যদি জাগে
তেমনি খাস্ যা'য় সতেজ থাকিস্,
এড়িয়ে লোভের রাগে। ৬৮।
* * *

25/10/2022

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন,—
“মা আমার দীপান্বিতা”।

মা-কালীর মধ্যে তিনি নিজের মাকেই প্রত্যক্ষ করেছেন। একবার ছাত্রবস্থায় তিনি এক সঙ্গীর সাথে দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিনীমন্দিরে যান। তখন দ্বিপ্রহরের পূজা সাঙ্গ হয়েছে। উপস্থিত সবাইকে প্রসাদ বিতরণ করা হ’চ্ছে। শ্রীশ্রীঠাকুর প্রসাদ পাওয়ার আগেই মন্দিরের দরজা বন্ধ হ’য়ে গেল। তখন আর প্রসাদ দেওয়া হবে না। কিন্তু ঠাকুর তখন ক্ষুধার্ত। প্রসাদ না পেয়ে অভিমানে তিনি মন্দিরের বারান্দায় একটি গাছের ছায়ায় যেয়ে শুয়েছেন। ধীরে ধীরে ঘুমিয়েও পড়লেন। তারপর স্বপ্ন দেখছেন মা আসছেন, শ্যামা, এলোকেশী, সিঁথিতে সিঁদুর, লালপেড়ে শাড়ী পরা। তাঁর এক হাতে এক গ্লাস জল, আর এক হাতে একটা রেকাবীতে বরফি সন্দেশ। এই রূপ বর্ণনা করতে করতে শ্রীশ্রীঠাকুর বহুবার বলেছেন, “দেখতে একেবারে ঠিক আমার মায়ের মত।” মা এসে আস্তে আস্তে ব’সে শ্রীশ্রীঠাকুরের মাথাটি কোলে নিয়ে তাঁর মুখের কাছে সন্দেশ ধ’রে আদর ক’রে বলছেন, ‘খা’। ঠাকুর অভিমানভরে বলছেন, “না, আমি খাব না। তখন আমার খিদে পেয়েছিল। কিন্তু তখন আমাকে প্রসাদ দেওয়া হ’ল না কেন ? আমি আর খাব না।” তখন মা সশ্নেহ হেসে বললেন, “অত লোকের সামনে কি আমি আসতে পারি ?” এর পর মা ব’সে ব’সে পরম আদরে ঠাকুরকে ঐ সন্দেশ আর জল খাওয়ালেন। ঘুম ভেঙ্গে উঠে শ্রীশ্রীঠাকুর বোধ করছেন যে তাঁর খিদে বা পিপাসা কিচ্ছু নেই। কিছু পরে তিনি দক্ষিণেশ্বর থেকে কলকাতায় চ’লে এলেন। ভেতরটা তাঁর এমনই হ’য়ে ছিল যে কলকাতা পর্য্যন্ত হেঁটে আসার পরেও তাঁর কোন খিদে বা পিপাসার বোধ ছিল না।

এ মা কি রহস্যাবৃতা ভয়ঙ্করী শিলামূর্ত্তিমাত্র ? যার সে উপলব্ধি নেই, তার কাছে তাই। কিন্তু উপলব্ধিবান ব্যক্তিত্বের কাছে তিনি চির-শ্নেহময়ী সন্তানমঙ্গলবিধায়িনী জননী।
তাই, ইং ১৯৫৬ সালের ২রা নভেম্বর দেওয়ালির দিনে পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র অনবদ্য এক ছন্দে প্রদান করলেন এক মহাবাণী
“আজ দীপালি,
মা আমায় দীপান্বিতা,
মা আমার জীবন-আলোক,
মায়ের এক হাতে অসৎ-নিরোধী অসি,
অন্য হাতে বর ও অভয়
বাৎসল্যের পরম আশ্রয়,
তাই মা শিবানী, শুভানী,
আমার মা কল্যাণী কালী,
সত্তার সাত্বত সম্বেগ
অস্তিত্বের অমৃত-উৎস
জীবনের যোগ-নর্ত্তনা,
সেই এই যে
আমার মা।”

ইষ্টানুগ মাতৃভক্তি যার জীবনে অটুট থাকে, পূজার বেদীতে প্রতিষ্ঠিতা প্রতিমা তার কাছে স্বীয় গর্ভধারিণীরই প্রতিরূপ হ’য়ে ধরা পড়েন। মা-কালী তার কাছে আর কালোরূপা থাকেন না। তিনি হয়ে পড়েন “দীপ অন্বিতা” (দীপান্বিতা), উজ্জ্বলবরণা।
দানবনিধনার্থে তাঁর মহাভৈরবী রুদ্রমূর্ত্তি দেখে তাঁর সন্তান কখনও ভয় পায় না। সন্তান তো জানে, এ আমার মা, দুষ্টকে শাসন করছেন। তাঁর ঐ রূপ দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয় পাপীরা। অপরাধবোধ যাদের আছে, তারাই মায়ের ভয়াল মূর্ত্তিতে ভয় পায়। যেমন সিংহী যখন গর্জ্জন করে, মানুষের বা অন্যান্য পশুদের তখন ভয়ে প্রাণ শুকিয়ে যায়। কিন্তু ঐ সিংহীর বাচ্চাটি মনের আনন্দে মায়ের কাছেই খেলা করে, মা হাঁটলে মায়ের পায়ে পায়েই ঘুরতে থাকে। তার বুক কাঁপে না। কারণ, সে জানে এ তো আমার মা।

সুত্র : শ্রীশ্রীঠাকুরের দৃষ্টিতে দেবদেবী।

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
25/10/2022

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

Address

C. R . Road Natagarh
Kolkata
700113

Telephone

+918296777611

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Satsanga Sodepur posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Satsanga Sodepur:

Share



You may also like