![হিজামার মধ্যে রয়েছে নিরাময় সহীহ্" [বোখারী-৫২৯৪]◾ব্যথার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা করে যারা কোন প্রকার উপকার পা...](https://img4.findhealthclinics.com/364/498/422599753644988.jpg)
13/03/2024
হিজামার মধ্যে রয়েছে নিরাময় সহীহ্" [বোখারী-৫২৯৪]
◾ব্যথার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা করে যারা কোন প্রকার উপকার পাচ্ছেন না তাদের জন্য হিজামা খুবই উপকারী।একবার হিজামা করলেই ফলাফল বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
--------------
◾হিজামায় যে সকল রোগের চিকিৎসা করা হয়ঃ-🍀উচ্চ রক্ত চাপ
🍀এলার্জি☘️কোলেস্টেরল☘️এজমা বা হাপানী
🍀চর্মরোগ 🍀মাইগ্রেন ☘️মাথা ব্যথা ☘️বাত ব্যথা
☘️কোমর ব্যথা ☘️পায়ে ব্যথা হাটু ব্যথা☘️ঘাড়ে ব্যথা
☘️মাংস পেশির ব্যথা ☘️দীর্ঘ মেয়াদি মাথা ব্যথা
☘️মেরুদন্ড ব্যথা🍀গোড়ালি ব্যথা🍀স্পোর্টস ইঞ্জুরি
🍀গেটে বাত🍀চুল পড়া সমস্যা
🍀সায়েটিকা
🍀ঘুমের সমস্যা।🍀মানসিক সমস্যা🍀হতাশা
🍀স্মরন শক্তির দূর্বলতা🍀চর্মরোগ🍀প্যারালাইসি
🍀হাত পা অবশ🍀পায়ের পাতা ব্যথা
🍀ইউরিক এসিড🍀হরমোনাল সমস্যা
🍀লিভারের সমস্যা🍀হাড় ক্ষয়
🍀বডি ডিটক্স ইত্যাদি প্রায় সকল রোগের জন্য হিজামা করানো হয়।তাছাড়া নিকোটিনের ক্ষতির প্রভাব থেকে বাচঁতে ধুমপায়ীদের জন্য হিজামা খুবই উপকারি।
📌আমাদের সেন্টারে মাথার চুল না ফেলে হিজামা/কাপিং করানো হয়।তবে চুল ফেলে হিজামা/কাপিং করা উত্তম।
◾অনেক রোগীর কাছ থেকে জানতে পারি যে,হিজামা করাতে তারা প্রথমে খুব ভয় পায়,চিন্তা করে ব্যথা পাবো কিনা ইত্যাদি! আমি বলব হিজামা দেখতেই ভয় কিন্তু করতে আরাম। নতুন রোগী যারা তাদেরকে বলছি একবার হিজামা গ্রহন করেই দেখুন ভয় কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। ভয়কে জয় করে আজই হিজামা গ্রহণ করুন।
---------------
👉হিজামা কি?
হিজামা একটি বিজ্ঞান সম্মত সুন্নতি চিকিৎসা,যা ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত।হিজামার মাধ্যমে কাপ ব্যবহার করে দূষিত রক্ত(toxin)বের করা হয়,ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় নার্ভগুলো একটিভ হয়,শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরির হয় সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী।
নির্দিষ্ট একটি রোগের জন্য প্রতি মাসে ১বার করে মোট ৪ মাসে ৪বার হিজামা/কাপিং করালেই যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।তবে কারো কারো ক্ষেত্রে প্রথম থেরাপিতেই সম্পূর্ণ সুস্থতা চলে আসে ইনশাআল্লাহ।
-----------------
👉দূষিত রক্ত(Toxin) কি?
টক্সিন শরিরের নিরব ঘাতক।টক্সিন হল জৈব বিষ যা মানব দেহে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়,আবার শরিরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থায় মল, মূত্র,ঘাম এবং নিঃশ্বাসের সাথে টক্সিন বের হয়ে যায়।যদি উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমান নির্গত বর্জ্যের থেকে বেশি হয় তবে কিছু পরিমান এই দূষিত দেহে জমতে জমতে টক্সিনে পরিনত হয়।হজমে সমস্যা থাকলে,মলত্যাগে সমস্যা হলে,ঘাম না হলে,পরিমিত পানি পান না করলে শরিরে টক্সিন জমতে শুরু করে বা টক্সিন উৎপন্ন হওয়া সহজ হয়ে যায়।টক্সিন শরিরের কোষগুলোকে দূর্বল করে দেয়। যার ফলে আমরা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।প্রতিদিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে এই টক্সিন গুলো উৎপন্ন হয়,যেমনঃ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে,বাহিরের ভাজাপুড়া,মাছে বা ফলে থাকা ফরমালিন,পানিতে থাকা আয়রন বা আর্সেনিক,ধুমপানের অভ্যাস থাকলে,বায়ূ দুষণের কারনে আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে সীসা,অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি এর মত ক্ষতিকারক বস্তু সমুহ।মোটকথা প্রায় সকল মানব দেহেই টক্সিন বিদ্যমান,কারো পরিমানে কম অথবা বেশি।হিজামা/কাপিং এর মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ঐ সমস্যা লুকিয়া থাকা টক্সিনগুলো বের করে ফেলি।যার ফলে আপনি হবেন সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী।এই জন্যই সুস্থ অবস্থায় প্রতি চার মাস অন্তর হিজামা/কাপিং করা উত্তম।
--------------
👉নাইট্রিক অক্সাইড কি??
আমাদের শরীর গঠিত নাইট্রিক অক্সাইডের উপর যা ১৯৯৮ সালে আবিষ্কার হয়। আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের কাজ এই আশ্চর্য অণু কণার উপর নির্ভর করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড থেরাপি বর্তমান বিশ্বে বহুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অথচ হিজামাতে নাইট্রিক অক্সাইড প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয়। সাথে সাথে তৈরি হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া।
------------
❤হাদিসঃ
🌹রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন,"নিশ্চয়ই হিজামার মধ্যে রয়েছে নিরাময়(বুখারী-৫২৯৪/সহিহ মুসলিম-২২০৫)
🌹রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন,গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামা করো,কারন গরমে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে মৃত্যু হতে পারে(আল হাকিম-৭৪৬১)
🌹রাসুলুল্লাহ(সাঃ)বলেছেন,"আমি মিরাজের রাতে যাঁদের মাঝ দিয়ে গিয়েছি,তাদের সবাই আমাকে বলেছেন;হে মুহাম্মাদ আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করুন(সুনানে তিরমিযীঃ২০৫৩)
🌹রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক,সে দুষিত রক্ত বের করে মেরুদণ্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে(সুনানে তিরমিযীঃ২০৫২)
🌹যে ব্যক্তি আরবি চাঁদের মাসের ১৭তম,১৯তম এবং ২১তম দিনে হিজামা করাবে তা হবে সর্ব রোগের ঔষধ (আবু দাউদ-৩৮৬১)
🌹মানুষ চিকিৎসার জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করে তন্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম(আল হাকিম-৭৪৭০)
👉সুন্নাহ দিন হিসেবে সোমবার,মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার সকালে খালি পেটে হিজামা করা উত্তম তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনে যে কোন দিন হিজামা করা যায় ইনশাআল্লাহ✌️
-----------
📌আমরা জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে অভিজ্ঞ হিজামা থেরাপিষ্ট দ্বারা হিজামা/কাপিং করিয়ে থাকি।হিজামার কোন সাইড ইফেক্ট নেই।অভিজ্ঞ হাতে হিজামা/কাপিং করালে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া পাবেন না ইনশাআল্লাহ।যেখানেই হিজামা করাবেন অভিজ্ঞতা জেনে নিবেন,এতে আপনার জন্যই ভাল হবে ইনশাআল্লাহ।আমরা খুব যত্ন সহকারে এবং আরামদায়ক ভাবে হিজামা করে থাকি।
-----------------
👉হিজামা/কাপিং এর খরচ:
◾আমাদের সেন্টারে ১০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকার প্যাকেজ আছে,আপনার সুবিধামত বাজেটে হিজামা করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
◾গরীব অসহায় লোকদের জন্য স্পেশাল ডিস্কাউন্ট এর ব্যবস্থা আছে।
--------------
📌হিজামার পূর্বে যা করনীয়ঃ-
১) হিজামার পূর্বে গোসল করে আসলে ভালো হয়।
২)হিজামার পূর্বে সর্বনিম ২ ঘন্টা খালি পেটে থাকতে হয়,পানি খাওয়া যাবে।
৩)হিজামার পূর্বে কঠোর পরিশ্রম করা যাবে না।
৪)হিজামার পূর্বে গায়ে জ্বর থাকলে হিজামা করা যাবে না।
📌হিজামার পরে যা করনীয়ঃ-
১)হিজামার পর পানি খাবেন বেশি
২)হিজামার পর ওরস্যালাইন,মধু,কালোজিরা,খেজুর অথবা একটা সিদ্ধ ডিম খাবেন।হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীরা ওরস্যালাইন এবং ডিম খাবেন না।
৩)হিজামার পর যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক খাবার খেয়ে নিবেন।যেমন- ভাত মাছ মাংস ইত্যাদি।
৪)হিজামার পর ২৪ ঘন্টা গোসল করা যাবে না।
(বিশেষ প্রয়োজনে আমরা নিয়ম বলে দিব ইনশাআল্লাহ)
৫) ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাম ঝোড়ানো পরিশ্রম করা যাবে না।
৬) ৩ দিন সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না।
৭) প্রত্যেক গোসল শেষে হিজামার জায়গাগুলোতে অর্গানিক নারিকেল তেল,অলিভ ওয়েল অথবা কালোজিরা তেল ব্যবহার করবেন ৩ দিন।
-----------------
👉বিঃদ্রঃ-সেন্টারে আসার পূর্বে দয়া করে কল করে সিরিয়াল দিয়ে আসবেন।
চেম্বার :- বলুচরা , চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড সুপার মার্কেট (২য় তলা ) , বায়েজিদ , চট্টগ্রাম
01865-760916
01897-689058 (WhatsApp)